এ ভাবেই ভাঙচুর করা হল হাসপাতাল।
চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে রোগী মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে। ভাঙচুর-তর্কাতর্কি-হাতাহাতির জেরে বন্ধ থাকল কার্ডিওলজির আউটডোর। চূড়ান্ত ভোগান্তিতে পড়তে হল রোগীদের। মঙ্গলবার খাস কলকাতার বুকে এমনটাই ঘটল। হাসপাতাল থেকে বেশি দূরে নয় বেনিয়াপুকুর থানা। কিন্তু, তা সত্ত্বেও সামলানো গেল না উন্মত্ত জনতাকে। তাণ্ডবের সাক্ষী হলেন রোগী থেকে হাসপাতালের কর্মী ও জুনিয়র ডাক্তারেরা। এই ঘটনার জেরে আরও এক বার বেআব্রু হয়ে পড়ল শহরের হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
কী হয়েছিল এ দিন?
পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে খবর, এ দিন সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ হাসপাতালে আসেন বছর ষাটেকের মহম্মদ ইদ্রিশ। তিলজলার বাসিন্দা ওই ব্যক্তি হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়েই হাসাপাতালে আসেন। ইমার্জেন্সি বিভাগে নিয়ে যাওয়ার আগে তাঁর ইসিজি করানো হয়। সেখান থেকে হাসপাতালে ভর্তির জন্য কার্ডও তৈরি করানো হয়। কার্ডিওলজি বিভাগে ভর্তির আগে তাঁকে আউটডোরে বসানো হয়। এর পর তাঁকে কার্ডিওলজি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই মারা যান তিনি। ওই প্রৌঢ়ের মৃত্যুর খবর শোনামাত্রই হাসপাতালে শুরু হয় ভাঙচুর। অভিযোগ, হাসপাতালে চড়াও হয় প্রায় দু’শো লোক। হাসপাতালের দরজা-জানলা ভাঙচুর করে তারা। কার্ডিওলজি বিভাগে ঢুকেও যথেচ্ছ ভাঙচুর চালানো হয়। জুনিয়র ডাক্তার-সহ হাসপাতাল কর্মীদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনার জেরে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ওই বিভাগে ভর্তি রোগীরা। প্রায় ৪০ মিনিট বন্ধ থাকে কার্ডিওলজি বিভাগের আউটডোর। চরম দুর্ভোগে পড়েন আউটডোরে অপেক্ষারতরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বেনিয়াপুকুর থানার পুলিশ। হাসপাতালের প্রিন্সিপাল ও পুলিশের মধ্যস্থতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে এই ঘটনার দায় নিতে চাননি রোগীর আত্মীয়স্বজন। উল্টে বেনিয়াপুকুর থানায় লিখিত ভাবে তাঁরা জানিয়েছেন, রোগীর চিকিৎসায় কোনও গাফিলতি হয়নি।
এই চিঠিই থানায় জমা দিয়েছে রোগীর পরিবার।
সবিস্তার পড়তে ক্লিক করুন।
আরও পড়ুন
গর্তে পড়ে শিশুর মৃত্যু পার্ক স্ট্রিটে
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy