ছবিটা কি সত্যিই বদলাবে? জাতীয় আদালতের নির্দেশের পরে আদিগঙ্গা নিয়ে এমনই কৌতূহল পরিবেশকর্মীদের।
এত দিন শুধু তার নামের সঙ্গেই গঙ্গা জুড়ে ছিল। কিন্তু ছিটেফোঁটাও কদর জুটত না। বরং নদীর চেহারা ছেড়ে তার হাল হয়েছে শহরের নিকাশি নালার মতো! এ বার আদালতের নির্দেশে গঙ্গার সঙ্গে জুড়ে গেল ভাগীরথী-হুগলির প্রাচীন শাখা। সম্প্রতি জাতীয় পরিবেশ আদালত নির্দেশ দিয়েছে, আদিগঙ্গাকে জাতীয় গঙ্গা সাফাই প্রকল্পের (ন্যাশনাল মিশন ফর ক্লিন গঙ্গা) আওতায় আনতে হবে। সংস্কার করতে হবে তার পুরো শরীরের।
কলকাতার হেস্টিংসের কাছে আদিগঙ্গা ও গঙ্গার সঙ্গমস্থল। ভাটার সময় ওই এলাকা দিয়ে গেলে পচা গন্ধে গা গুলিয়ে ওঠে। পরিবেশবিদদের অনেকেই জানাচ্ছেন, আদিগঙ্গার জল এসে গঙ্গায় পড়ার ফলে তার জলও দূষিত হচ্ছে। শুধু গঙ্গা সাফ করে দূষণ ঠেকানো যাবে না। আদিগঙ্গা তো শহরের নিকাশি নালা। তাকে সংস্কার না করলে সেই নোংরা জল তো গঙ্গায় মিশবেই! রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের প্রাক্তন মুখ্য আইনি অফিসার বিশ্বজিৎ মুখোপাধ্যায়ের মন্তব্য, ‘‘গঙ্গা দূষণ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের গঠিত কমিটি আগেও এমন প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু তাতে তখন কান দেওয়া হয়নি।’’ এ দিনের নির্দেশের পরেও তাই পরিবেশকর্মীদের অনেকেই সন্দিহান, আদিগঙ্গা সংস্কারের পথ এর ফলে কতটা মসৃণ হবে তা নিয়ে। তাঁরা বলছেন, আগেও বহু বার এমন নানা বিষয়ে আদালত নির্দেশ দিলেও কাজের কাজ তেমন হয়নি। যদিও জাতীয় পরিবেশ আদালতের এই নির্দেশকে সাধুবাদ জানিয়েছেন তাঁরা।