সাংবাদিক সম্মেলনে বিধাননগর পুরসভার মেয়র সব্যসাচী দত্ত। —নিজস্ব চিত্র।
নামজাদা দোকানের বিরিয়ানি বা বহুজাতিক সংস্থার পিৎজ়াও নিরাপদ নয়। ক’দিন আগেই বিধাননগর পুরসভার পক্ষ থেকে এগারোটি রেস্তরাঁ থেকে ৩৩টি নমুনা সংগ্রহ করেছিল পুরসভার স্বাস্থ্য দফতর।
সেই নমুনা রাজ্য সরকারের পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছিল। সেই পরীক্ষায় অনেক খাবারই খাওয়ার অযোগ্য বলে ঘোষণা করা হয়েছে।
পুরসভার পক্ষ থেকে মেয়র সব্যসাচী দত্ত জানিয়েছেন, পুর এলাকার চিনার পার্কে আমিনিয়া রেস্তরাঁ থেকে চিকেনের পাঁচটি রান্না করা পদের নমুনা নেওয়া হয়েছিল। তিনটি কাঁচা মাটনের নমুনা এবং একটি রান্না মাটনের পদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। আমিনিয়ার এই সব খাবারেই বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটিরিয়ার হদিশ পাওয়া গিয়েছে পরীক্ষাগারে। রিপোর্টে পরিষ্কার উল্লেখ করা হয়েছে ওই খাবার ব্যবহারের যোগ্য নয়।
আরও পড়ুন
বজবজের সেই মাংস এতটাই পচা যে পরীক্ষার অযোগ্য, জানাল সিআইডি
ঠিক একই রকম ভাবে সল্টলেকের ডমিনো’জ থেকে বার্বিকিউ চিকেনের পদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। সেই নমুনা পরীক্ষা করতে গিয়েও সেখানে ইস্ট এবং কলিফর্মের অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছেন মেয়র। তিনি বলেন, “এই সব রেস্তরাঁতে আমি খেতে যাব না। অন্যদেরও বলব না যেতে।”
ভাগাড়কাণ্ড প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই কলকাতা পুরসভা বিভিন্ন রেস্তরাঁ থেকে খাবারের নমুনা সংগ্রহ শুরু করে। তার মধ্যে দু’টি রেস্তরাঁ থেকে সংগ্রহ করা মাংসে ব্যাকটিরিয়া পাওয়া যায়। এই রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর তদন্ত শুরু করে এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ (ইবি)। ইবি সূত্রে খবর, ওই দুই রেস্তরাঁর মালিককে তলব করা হয়েছে।
আরও পড়ুন
জানলা-দরজা ভেঙে আসানসোলগামী ট্রেন দাঁড় করিয়ে লুঠ
বুধবার সাংবাদিক সম্মেলন করে মেয়র বলেন যে, পুর আইনে এই রেস্তরাঁগুলির বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার কোনও সুযোগ নেই। সব্যসাচী দত্তের কথায়: “আমরা এই রিপোর্ট রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের কাছে পাঠিয়েছি। তারা খতিয়ে দেখে ঠিক করবে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
মেয়র বলেন, এই রেস্তরাঁগুলিকে ইতিমধ্যেই সতর্ক করা হয়েছে। এই পরীক্ষার প্রক্রিয়া বজায় রাখা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy