এমনই হাল। ছবি: প্রদীপ আদক।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক বার অন্তত এই রাস্তায় আসুন। তা হলে হয়তো শহরের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা স্ট্র্যান্ড রোডের দুর্দশা ঘুচবে! এই ভাবনাতেই আকুল এখন ওই রাস্তা দিয়ে হাওড়ার দিকে ফেরা নিত্যযাত্রীরা।
প্রায় ছ’-সাত মাস ধরে স্ট্র্যান্ড রোডের এক দিকের অংশের পিচ তুলে গর্ত করে রাখা। আবার সেই গর্তের পাশেই সার দিয়ে দাঁড় করানো গাড়ি। ফলে আরও সরু হয়েছে রাস্তা। আর সেই রাস্তা দিয়ে চলতে গিয়ে যানজটে ফেঁসে ভোগান্তি হচ্ছে সাধারণ মানুষের।
যেমন হাইকোর্ট থেকে বাসে হাওড়া স্টেশনে আসেন ডানকুনির বাসিন্দা দেবাদিত্য বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, ‘‘দীর্ঘ দিন ধরে রাস্তা খোঁড়া। মাত্র দেড় –দু’ কিমি রাস্তা পেরোতেই দু’ঘণ্টার বেশি সময় লাগছে।’’ কলকাতা থেকে হাওড়া যাওয়ার এই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার এমন হালে প্রতিনিয়ত যানজটে ফেঁসে নাজেহাল হতে হচ্ছে বহু নিত্যযাত্রীকেই।
কী হাল স্ট্র্যান্ড রোডের?
ফেয়ারলি ক্রসিং থেকে হাওড়া সেতুর কিছুটা আগে পর্যন্ত প্রায় ৫০০ মিটার রাস্তায় খোঁড়াখুড়ি হয়েছে। হাওড়ার দিকে মুখ করে দাঁড়ালে রাস্তাটির ডান পাশ থেকে প্রায় মাঝখান পর্যন্ত পিচের আস্তরণ তুলে নেওয়া হয়েছে। ফলে স্ট্র্যান্ড রোড চওড়ায় কমেছে। তার উপরে রাস্তার ধারে যে সব দোকান-অফিস আছে, সেখান আসা ছোট গাড়ি ও লরিও পার্ক করা হচ্ছে সঙ্কীর্ণ এই রাস্তার ধারেই। যার জেরেই বাড়ছে যানজট। খোঁড়া অংশের কোথাও কোথাও আবার ডাঁই করে রাখা আছে বালি-সিমেন্ট। স্থানীয় এক দোকানদার সুরজ পাণ্ডে বলেন, ‘‘পুরসভা অনেক দিন ধরেই কাজ করছে। তবে সরকারি কাজ তো, কবে শেষ হবে কে বলতে পারে!’’ স্থানীয় সূত্রের খবর, রাস্তার এক পাশে কংক্রিট করা। অন্য দিকে যেখানে কাজ চলছে, সেখানে আগে পিচ করা হয়েছিল। কিন্তু কংক্রিটের রাস্তা থেকে পিচ রাস্তার উচ্চতা ছিল বেশ কিছুটা উঁচু। ফলে যানবাহন চলতে গিয়ে এক দিকে বিপজ্জনক ভাবে হেলে পড়ছিল।
কলকাতা পুরসভা সূত্রের খবর, নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামের সামনে থেকে হাওড়া সেতুর কিছুটা আগে পর্যন্ত প্রায় ২ কিমি স্ট্র্যান্ড রোডের ওই অংশে ট্রাম লাইন পাতা ছিল। সেই লাইন এবং ইট তুলে নিয়ে রাস্তাটি পাশের কংক্রিটের সঙ্গে সমান করে পিচ করার প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। সেই জন্যই ফেয়ারলি ক্রসিং থেকে হাওড়া সেতুর দিকে প্রায় ৫০০ মিটার অংশে খোঁড়াখুড়ি হয়েছে। ২৫ জুলাই মেয়র পারিষদ রতন দে, পুরসভার সড়ক বিভাগের আধিকারিক এবং কলকাতা পুলিশের ট্রাফিক কর্তারা যৌথ ভাবে এলাকাটি পরিদর্শন করেন।
তবে ওই অংশটি দীর্ঘ দিন ধরে খঁুড়ে রাখায় সমস্যা হচ্ছে বলে স্বীকার করে রতন দে বলেন, ‘‘যৌথ পরিদর্শনে সিদ্ধান্ত হয়েছে বৃষ্টি কমলেই পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে রাত ১০টার পর থেকে স্ট্র্যান্ড রোডে কাজ শুরু করা হবে। এক মাসের মধ্যেই প্রকল্পের কাজ শেষের পরিকল্পনা আছে।’’ কিন্তু এতটুকু অংশের কাজটি শেষ করতে এত সময় লাগছে কেন? রতনবাবুর দাবি, ‘‘সমস্যা আছে। সমাধানের চেষ্টা করছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy