অস্বাস্থ্যকর: স্তূপীকৃত এই নির্মাণসামগ্রীই ছড়াচ্ছে ধুলো। নিজস্ব চিত্র
ভিআইপি রো়ডের কলেজ মো়ড়ের কাছাকাছি দাঁড়ালেই হাঁচি শুরু হয়ে যায় অনেকের। বাতাসে ধূলিকণার পরিমাণ এতটাই বেশি। এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, জানলা খোলা রাখলেই বাড়িতে ধুলোর আস্তরণ পড়ে যাচ্ছে। গত বছর দুয়েক ধরে কাশি ও ফুসফুসের রোগ বেড়ে গিয়েছে তাঁদের। তাঁরা জানান, কলেজ মোড়ে ডাঁই করে রাখা পূর্ত দফতরের বালি ও পাথরকুচির স্তূপ থেকেই এই ধুলো ছড়াচ্ছে।
বায়ুদূষণের নিরিখে কলকাতা দেশের মধ্যে প্রথম সারিতে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) এই দূষণের মাত্রাকে নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে। বায়ুদূষণের জন্য বারবার জাতীয় পরিবেশ আদালতের তিরস্কার সইতে হয়েছে রাজ্য সরকারকে। কিন্তু পরিবেশকর্মীরা বলছেন, দূষণের বিপদ যে প্রশাসনের কাছে গুরুত্ব পায় না, কলেজ মোড়ের এই ইমারতি দ্রব্যের স্তূপ সেটাই প্রমাণ করছে।
পরিবেশকর্মীরা বলছেন, গাড়ির ধোঁয়া থেকে দূষণ নিয়ে বারবার অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু গত কয়েক বছরে অনিয়ন্ত্রিত নির্মাণও বায়ুদূষণের অন্যতম কারণ হয়ে উঠেছে। তা নিয়ে আদালতও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। সেই পরিস্থিতিতে পূর্ত দফতর কী ভাবে এমন কাজ করল, সেই প্রশ্নও তুলেছেন পরিবেশকর্মীরা। রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের একটি সূত্র জানাচ্ছে, দূষণ এড়িয়ে নির্মাণকাজের জন্য একটি নির্দিষ্ট গাইডলাইন রয়েছে। সেই অনুযায়ী কাজ করলে সমস্যা হওয়ার কথা নয়। কিন্তু সরকারি দফতরই সেই গাইডলাইন মানে না।
বারাসত হাইওয়ে ডিভিশনের (২) এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার কনকেন্দু সিংহ বলেন, ‘‘ম্যাস্টিক তৈরি করে একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রার মধ্যেই গরম অবস্থায় সেটি রাস্তায় ঢালতে হয়। তাই যেখানে রাস্তার কাজ হয়, তার থেকে খুব বেশি দূরে উপকরণ রাখা যায় না। ঠিকাদার সংস্থাকে দু’সপ্তাহ আগে নোটিস দিয়ে বলা হয়েছে ওই সব উপকরণ সরিয়ে নিয়ে জায়গাটি খালি করে দিতে।’’ কনকেন্দুবাবু এই দাবি করলেও শনিবার রাত পর্যন্ত ওই মালপত্রের দায়িত্বে থাকা কর্মীরা কিন্তু মালপত্র সরানোর বিষয়ে কোনও কথা জানাতে পারেননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy