Advertisement
E-Paper

South Dum Dum: বেহাল নিকাশির দিকেই আঙুল দক্ষিণ দমদমের

পুরসভা সূত্রের খবর, বেশ কিছু জায়গায় জল জমার একাধিক কারণ রয়েছে। যেমন, মাঠকল এলাকায় ভাগাড়ের পাশে খালের আয়তন কমে গিয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৫:৫৫
ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

ভারী কিংবা অতি ভারী বৃষ্টি হলেই দু’তিন দিন ধরে জল জমে থাকছে দক্ষিণ দমদম পুরসভার বিভিন্ন এলাকায়। বাগজোলা-সহ সমস্ত খাল ভর্তি থাকার কারণেই জমা জল সরছে না বলে প্রথমে জানিয়েছিলেন পুর কর্তৃপক্ষ। কিন্তু জল জমে থাকার কারণ বিশ্লেষণ করতে গিয়ে আরও একাধিক বিষয় চিহ্নিত করেছে পুরসভা। আগামী বছরের মধ্যেই সমস্যা মেটানো যাবে বলে মনে করছেন পুর কর্তৃপক্ষ।

মাঠকল, জ’পুর, কালিন্দী-সহ বেশ কয়েকটি এলাকা আপাতত চিন্তায় ফেলেছে দক্ষিণ দমদম পুর কর্তৃপক্ষকে। ওই সব এলাকায় জল সরাতে অনেক সময় লেগে যাচ্ছে। পাশাপাশি, ১২, ১৩, ১৪, ১৭, ১৮, ১৯ ও ২০ নম্বর ওয়ার্ডের বেশ কিছু অংশেও জল জমার সমস্যা পুরোপুরি মেটেনি বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের। এবং তার জন্য বেহাল নিকাশি ব্যবস্থার দিকেই আঙুল তুলেছেন তাঁরা।

যদিও অভিযোগ পুরোপুরি মানতে নারাজ পুর কর্তৃপক্ষ। পুরসভা সূত্রের খবর, বেশ কিছু জায়গায় জল জমার একাধিক কারণ রয়েছে। যেমন, মাঠকল এলাকায় ভাগাড়ের পাশে খালের আয়তন কমে গিয়েছে। এ ছাড়া, সেখানে নর্দমা রয়েছে রাস্তার চেয়ে উঁচুতে। রাস্তা উঁচু না করলে জল নর্দমায় গিয়ে পড়বে না বলে জানাচ্ছেন পুর প্রশাসনের একাংশ। তবে পুর কর্তৃপক্ষ জানান, ভাগাড়ের দায়িত্বে থাকা সংস্থার সঙ্গে ইতিমধ্যেই কথা হয়েছে। বর্ষার পরে খালের সংস্কার করা হবে। তাতে জল জমা কমবে।

জ’পুর ও কালিন্দীতেও জল জমার সমস্যায় ভুগছেন বাসিন্দারা। কালিন্দীর আকৃতি অনেকটা নৌকার মতো। ফলে জল বেরোতে পারছে না। পুরসভা সূত্রের খবর, যন্ত্রের সাহায্যে নিকাশি নালা থেকে প্লাস্টিক ও থার্মোকল-সহ প্রচুর বর্জ্য বার করা হয়েছে। এর পরে জল জমলেও তাড়াতাড়ি বেরিয়ে যাবে বলে আশা।

পুর কর্তৃপক্ষের দাবি, নিকাশি নালার সংস্কার-সহ সমস্যার স্থায়ী সমাধানের লক্ষ্যে কাজ চলছে। একটি পাম্পিং স্টেশন তৈরি করা হচ্ছে। সেই কাজ শেষ হলে ১৭ থেকে ২০ নম্বর ওয়ার্ডে জল জমার সমস্যা নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে দাবি তাঁদের।

যদিও এর বাইরে মধুগড়, পূর্ব সিঁথি-সহ বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডের একাধিক জায়গায় জল জমার সমস্যা রয়েছে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, সমস্যার পিছনে সব চেয়ে বড় কারণ অবরুদ্ধ নিকাশি। পুর কর্তৃপক্ষের অবশ্য দাবি, নালা কোথাও অবরুদ্ধ হয়ে রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে। তবে শুধু সেই কারণেই এলাকায় জল জমেছিল, এমনটা নয়।

দক্ষিণ দমদম পুরসভার মুখ্য প্রশাসকের দাবি, বাগজোলা-সহ বেশ কয়েকটি খাল টইটম্বুর থাকায় এলাকা থেকে বৃষ্টির জমা জল সরাতে সময় লেগেছে। খালের সংস্কার নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশাসন আলোচনা করেছে। তবে পুরসভার কয়েকটি ওয়ার্ডে কিছু সমস্যা রয়েছে। তার সমাধানে ইতিমধ্যেই পরিকল্পনা করা হচ্ছে। সেগুলি বাস্তবায়িত হলে আগামী বছর এলাকায় জল জমার সমস্যা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।

Dum Dum
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy