Advertisement
৩০ এপ্রিল ২০২৪
Soil Smuggling

কেষ্টপুর খাল থেকে লরি ভর্তি মাটি ‘পাচার’? সন্দেহ সল্টলেকে

রাতের অন্ধকারে মাটি বোঝাই লরি চলাচল করায় রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে অনেক দিন ধরেই ডেপুটি মেয়রের কাছে অভিযোগ আসছিল। তিনি জানান, ওই রাতে রাস্তায় থাকা লোকজন একসঙ্গে ছ’টি লরি আটকে রাখেন।

Representative Image

—প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ মার্চ ২০২৪ ০৭:৩১
Share: Save:

কেষ্টপুর খাল থেকে কি মাটি পাচার হচ্ছে? সল্টলেকের বৈশাখী মোড়ে শনিবার রাতের একটি ঘটনায় তেমনই সন্দেহ দানা বেঁধেছে। এই প্রশ্ন তুলেছেন বিধাননগরের ডেপুটি মেয়র অনিতা মণ্ডল। তিনি যে ওয়ার্ডের পুরপ্রতিনিধি, সেই ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে শনিবার রাতে মাটি বোঝাই ছ’টি লরি আটক করেন স্থানীয় মানুষ। অভিযোগ, লরির সঙ্গে থাকা লোকজন মাটি তোলার উপযুক্ত কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। তার পরেই ওই প্রশ্ন তুলেছেন অনিতা।

রাতের অন্ধকারে মাটি বোঝাই লরি চলাচল করায় রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে অনেক দিন ধরেই ডেপুটি মেয়রের কাছে অভিযোগ আসছিল। তিনি জানান, ওই রাতে রাস্তায় থাকা লোকজন একসঙ্গে ছ’টি লরি আটকে রাখেন। এর পরে তাঁকে ফোন করে খবর দেন। খবর দেওয়া হয় স্থানীয় বিধাননগর পূর্ব থানাতেও। যদিও পুলিশ লরিগুলি নিজেদের জিম্মায় না রেখেসেগুলিকে ছেড়ে দেয়। পুলিশের দাবি, তারা লরিগুলিকে জিম্মায় নেয়নি। কারণ, পরে স্থানীয় লোকজনই মাটি তোলার কাগজপত্র দেখে লরিগুলিকে ছেড়ে দিয়েছেন।

অনিতা জানান, কোথা থেকে মাটি তোলা হয়েছে, লরিগুলি আটকে তা জানতে চাওয়া হলে লরিতে থাকা লোকেরা জানান, কেষ্টপুর খাল থেকে মাটি তুলেছেন তাঁরা। এমনকি, সেচ দফতরের নামও করা হয় বলে অনিতার দাবি। তিনি জানান, ২০২২ সালের একটি মাটি তোলার কাগজ ছাড়া সরকারি কাজের আর কোনও নথি দেখাতে পারেননি লরিতে থাকা লোকেরা। উল্টে পুলিশের সঙ্গে বোঝাপড়ার কথা বলে স্থানীয়দের প্রভাবিত করার চেষ্টা করেন।

ডেপুটি মেয়র বলেন, ‘‘সেচ দফতরের আধিকারিকের পরিচয় দিয়ে এক জনের সঙ্গে কথা বলানো হয়। কিন্তু সেই মাটি কোথায় যাচ্ছে, কোন সংস্থা তুলছে, কিছুই কেউ বলতে পারেননি। এমনকি বিধাননগর পুরসভার এক শীর্ষ কর্তার নাম, পুলিশের সঙ্গে বোঝাপড়ার কথাও বলা হয়। যে কারণে মাটি পাচারের সন্দেহ তৈরি হয়েছে।’’

উল্লেখ্য, সল্টলেক লাগোয়া নিউ টাউনের গ্রাম এলাকা বা পার্শ্ববর্তী শাসন এলাকা থেকে মাটি পাচারের অভিযোগ প্রায়ই উঠে থাকে। তেমন কোনও মাটি পাচারের চক্র বিধাননগরেও সক্রিয় হচ্ছে কি না, সেই প্রশ্ন তুলছেন ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। ওই রাতে যাঁরা মাটি বোঝাই লরিগুলি আটকেছিলেন, তাঁরা লরিগুলির নম্বর লিখে রেখেছেন। তাঁদের অভিযোগ, লরির গায়ে মাটি তোলার কোনও অনুমতিপত্র তাঁরা দেখতে পাননি।

একই দাবি ডেপুটি মেয়রেরও। তিনি বলেন, ‘‘আমরা পুলিশকে বলেছিলাম, লরিগুলি নিয়ে যেতে। পুলিশ রাজি হয়নি। তারা জানায়, অত লরি রাখার জায়গা নেই। তবে আমরা কোনও অভিযোগ করলে পুলিশ তদন্ত করবে বলেছে। আমি দু’-তিন দিনের মধ্যে পুলিশে অভিযোগ জানাব।’’

পলি পড়ার কারণে বছরখানেক আগে কেষ্টপুর খাল কাটা হয়েছিল। সেই সময়ে খাল থেকে তোলা পলি পাড়ের জমিতেই রাখা হয়েছিল। তার ফলে ওই সব এলাকায় দুর্গন্ধও ছড়ায়। সেই সব জমানো মাটি তোলা হচ্ছে কি না, তা নিয়ে খোঁজখবর নেওয়া হবে বলেও অনিতা জানিয়েছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Soil Smuggling Salt Lake
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE