Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
সল্টলেক

ব্যস্ত রাস্তাই যেন গ্যারাজ, দর্শক পুলিশ

কোনও গাড়ির সারাই চলছে। কোনওটি মেরামতি হবে বলে দাঁড় করানো। কোনওটি আবার সারাই হয়ে যাওয়ার পরেও রাস্তা আটকে পড়ে রয়েছে, কারণ মালিক বা চালক গাড়ি নিতে আসেননি।

এ ভাবেই চলছে গাড়ি সারাই। ছবি: শৌভিক দে।

এ ভাবেই চলছে গাড়ি সারাই। ছবি: শৌভিক দে।

প্রবাল গঙ্গোপাধ্যায়
শেষ আপডেট: ১৩ অগস্ট ২০১৫ ০০:০১
Share: Save:

কোনও গাড়ির সারাই চলছে। কোনওটি মেরামতি হবে বলে দাঁড় করানো। কোনওটি আবার সারাই হয়ে যাওয়ার পরেও রাস্তা আটকে পড়ে রয়েছে, কারণ মালিক বা চালক গাড়ি নিতে আসেননি।

কোনও গ্যারাজ নয়। সল্টলেকের ফার্স্ট অ্যাভিনিউ আর নয়াপট্টির সংযোগস্থলে অত্যন্ত ব্যস্ত ওই রাস্তা এ ভাবে কার্যত দখল করে ফেলা হয়েছে। অভিযোগ, তবুও তা চোখে পড়ে না পুলিশের। নিত্যযাত্রীরা জানাচ্ছেন, গাড়ি দাঁড় করিয়ে রাখার ফলে রাস্তা সরু হয়ে যাচ্ছে। ফলে দিনের ব্যস্ত সময়ে রোজই যানজটে নাকাল হচ্ছেন তাঁরা।

সল্টলেক থেকে পাঁচ নম্বর সেক্টরে প্রবেশের যে ক’টি রাস্তা রয়েছে, তার মধ্যে একটি নয়াপট্টি আর ফার্স্ট অ্যাভিনিউয়ের সংযোগস্থল। ওই রাস্তাই আবার টেকনোপলিস হয়ে নিউ টাউনে মিশেছে। সল্টলেকের ২ নম্বর সেক্টরের দিক থেকে নিউ টাউন যাওয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা সেটি। এ হেন রাস্তা এ ভাবে কার্যত গ্যারাজে পরিণত হয়ে যাওয়া সত্ত্বেও তা কেন প্রশাসনের নজর এড়িয়ে যাচ্ছে, প্রশ্ন উঠেছে তা নিয়ে।

বিধাননগর কমিশনারেটের ডেপুটি কমিশনার (ট্রাফিক) শিবানী তিওয়ারি বলেন, ‘‘রাস্তার উপরে ওই ভাবে গ্যারাজ থাকার কথা নয়। বিষয়টি জানতাম না। খোঁজ নিয়ে দেখছি।’’

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, নয়াপট্টি থেকে টেকনোপলিসের দিকে যেতে একটি ছোট আইল্যান্ড তৈরি হয়েছে। গ্যারাজগুলি আগে সেখানেই ছিল। পরে উঠে এসেছে নয়াপট্টি আর ফার্স্ট অ্যাভিনিউয়ের সংযোগস্থলের সেতুর সামনেই। তিন-চার বছর ধরেই গ্যারাজগুলি রয়েছে সেখানে। শুধু রাস্তাই নয়, রাস্তার পাশের গলিতেও রমরমিয়ে চলছে গ্যারাজের কারবার। কোনটি কার গ্যারাজ, কেউ বলতে পারলেন না। তবে নয়াপট্টির মোড় থেকে ভিতরের গলি পর্যন্ত কমবেশি চল্লিশটি ছোটো-বড় গ্যারাজ রয়েছে। যার মধ্যে রাস্তার উপরেই ৮-৯টি।

একটি গ্যারাজের কর্মী আদিত্য চক্রবর্তী জানান, বর্তমানে তাঁরা যেখানে রয়েছেন, আগে তার উল্টো রাস্তায় ছিলেন। সৌন্দর্যায়নের কাজ হওয়ায় ফার্স্ট অ্যাভিনিউ আর নয়াপট্টির সংযোগস্থলে উঠে এসেছেন। তাঁর কথায়, ‘‘আমরা তো গ্যারাজে কাজ করি। মালিক এ বিষয়ে বলতে পারবেন।’’ সেই গ্যারাজের দেওয়ালে লেখা ফোন নম্বরে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তা পরিষেবা সীমার বাইরে বলে জানানো হয়।

স্থানীয় বিধাননগর বিধানসভার বিধায়ক সুজিত বসু নিজেও প্রশাসনকে অনুরোধ করেছেন এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে। সুজিতবাবু বলেন, ‘‘ওই রাস্তাটি সারানোও হবে। তার জন্য ২১ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছে। গ্যারাজগুলিকে বলা হয়েছে, রাস্তার গাড়ি চলাচল ব্যাহত করে ব্যবসা করা বরদাস্ত করা হবে না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE