সরকারি মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ হতে হলে ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি। কিন্তু অভিযোগ উঠেছে, কলকাতার ডি এন দে হোমিওপ্যাথিক কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষ শ্যামলকুমার মুখোপাধ্যায়ের এর কোনওটিই নেই। ২০১৬ সালে তাঁর নিয়োগ নিয়ে স্বাস্থ্য দফতরে যে অভিযোগ জমা পড়েছিল, তার ভিত্তিতে তৈরি হওয়া রিপোর্টেও বলা হয়েছে, শ্যামলবাবুর দাখিল করা শংসাপত্র সবই ভুয়ো। যদিও অভিযোগ, ওই রিপোর্টের ভিত্তিতে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
সেন্ট্রাল কাউন্সিল অব হোমিওপ্যাথির নিয়মানুযায়ী, হোমিওপ্যাথি মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ হতে হলে প্রার্থীর ব্যাচেলর ইন হোমিওপ্যাথি মেডিসিন অ্যান্ড সার্জারি (বিএইচএমএস)-র পরে এক বছরের ইন্টার্নশিপ এবং এমডি থাকা বাধ্যতামূলক। কিন্তু শ্যামলবাবু যেখান থেকে পাশ করেছেন, সেই ক্যালকাটা হোমিওপ্যাথি মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের খাতায় বিএইচএমএস-বলে তাঁর নামই নেই।
নিয়ম বলছে, ডিপ্লোমা (ডিএমএস) করার পরে কেউ যদি স্নাতকোত্তর ডিগ্রি পান, তা হলেও অধ্যক্ষ পদে বসা যায় না। শ্যামলবাবুর দাবি, ‘‘হোমিওপ্যাথি নিয়ে ডিপ্লোমা করেছিলাম ঠিকই। কিন্তু সরকারই এক সময়ে অভিজ্ঞতা বিচার করে আমাদের বিএইচএমএস-র সমকক্ষ বলেছিল।’’ স্বাস্থ্য দফতরের হোমিও বিভাগের একাংশ বলছে, রাজ্যের নির্দেশিকায় স্পষ্ট বলা আছে, যাঁরা ১৯৮৩-র আগে ডিপ্লোমা পাশ করেছেন তাঁরাই এই সুবিধা পাবেন। শ্যামলবাবু ডিপ্লোমা পাশ করেছেন ১৯৮৭ সালে। ফলে তাঁর ক্ষেত্রে ওই সুবিধা প্রযোজ্য নয়।
স্বাস্থ্য দফতরে জমা পড়া ওই রিপোর্ট নিয়ে মুখ খুলতে চাননি কোনও কর্তা। ডিজি (হোমিওপ্যাথি) অদিতি দাশগুপ্ত থেকে শুরু করে ডিজি (আয়ুষ) দেবাশিস বসু বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে বলেন, ‘‘যা বলার স্বাস্থ্যসচিব বলবেন।’’ স্বাস্থ্যসচিব আর এস শুক্লর বক্তব্য, ‘‘এত কিছু জিনিস আমার একার পক্ষে খোঁজ করা সম্ভব নয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy