সাধন পাণ্ডে।
আইন আইনের জায়গায় থাকল। মিষ্টি-স্রষ্টারাও তাঁদের জায়গায়। তবে খাদ্য-নিরাপত্তা ও মান নির্ণয় কর্তৃপক্ষের (এফএসএসএআই) সঙ্গে টানাপড়েনে মিষ্টি ব্যবসায়ীরা পাশে পেয়ে গেলেন ক্রেতা-সুরক্ষা মন্ত্রী সাধন পাণ্ডেকে।
এফএসএসএআই-এর ফরমানে বলা হয়েছিল, ১ অক্টোবর থেকে মিষ্টি বিপণির বিভিন্ন মিষ্টি কত দিনের মধ্যে খাওয়া যাবে, তার তারিখ উল্লেখ করতে হবে। এ নিয়ে মিষ্টি ব্যবসায়ীদের আপত্তি শুনে বৃহস্পতিবার সাধনবাবু বলেন, ‘‘অনেক দোকানই রোজ অত লিখতে হিমশিম খাবে। তা হলে বরং বোর্ডে হাতে লেখা হোক রসগোল্লা এক দিনে, সন্দেশ দু’দিনে বা কালাকাঁদ কত দিনে খেতে হবে। তারিখ লেখার দরকার নেই।’’ তবে এফএসএসএআই-এর পূর্ব এবং উত্তর-পূর্বের অধিকর্তা, কর্নেল প্রমোদ শাহজি দহিতুলে বললেন, ‘‘মন্ত্রীর বক্তব্য নিয়ে কিছু বলব না। আমরা রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের ইনস্পেক্টরদের সহায়তায় কাজ করি।’’
সাধনবাবু মিষ্টি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে তাঁর বৈঠকের বিবরণ এফএসএসএআই-কে পাঠিয়ে দেবেন বলে জানিয়েছেন। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের খাদ্য-নিরাপত্তা আয়োগের কর্তা তপন রুদ্রও বৈঠকে ছিলেন। তবে সাধনবাবুও বলেছেন, ‘‘কোন মিষ্টি কত দিন ধরে খাওয়া যাবে, তা বলা হলেও ট্রেতে রাখা সব মিষ্টি একই দিনে তৈরি কি না, সেটা কী ভাবে বোঝা সম্ভব? কোনও বাসি মিষ্টি গছানো হলেই বা ক্রেতারা কী ভাবে বুঝবেন? এটার নিষ্পত্তি এখনও হল না।’’ তবে মিষ্টি-স্রষ্টাদের দাবি, বিশ্বাসই তাঁদের ব্যবসার ভিত্তি। বাংলার অনেক মিষ্টিই দিনেরটা দিনেই খাওয়া হয়।
সাধনবাবুও স্বাস্থ্য দফতরকে সঙ্গে নিয়ে মিষ্টির দোকানে আচমকা হানা দিয়ে উপাদানের মান যাচাইয়ের কথা বলেছেন। মিষ্টি-স্রষ্টাদের অভিযোগ, দুধ বা পুরসভার জলের মান যাচাইয়ের পরিকাঠামো তাঁদের নেই।
খাদ্য-নিরাপত্তা আধিকারিক তপনবাবু অবশ্য আশ্বাস দেন, এন্টালির কনভেন্ট রোডে জনস্বাস্থ্য ল্যাবরেটরিতে তাঁরা মিষ্টি ব্যবসায়ীদের নিখরচায় উপকরণের গুণমান যাচাই করাতে দেবেন। এ দিনের বৈঠকে মিষ্টি উদ্যোগ ও পশ্চিমবঙ্গ মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী সমিতি, দু’টি মঞ্চের প্রতিনিধিরাই আসেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy