ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রচুর পরিমাণ বাজি। —নিজস্ব চিত্র।
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ, প্রশাসনের সতর্কবার্তা, তা সত্ত্বেও কালীপুজোয় শহর জুড়ে চলছে বাজি বিক্রি। এবং তা রুখতে শুরু হয়েছে ব্যাপক পুলিশি ধরপাকড়। কালীপুজো এবং দীপাবলির আগের রাতেই বাজি বিক্রির অভিযোগে কলকাতার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার রাতে কসবা, রিজেন্ট পার্ক এবং উল্টোডাঙা থানা এলাকা থেকে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে শব্দবাজি আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে।
কোভিড পরিস্থিতিতে জনস্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে সব ধরনের বাজি বিক্রি এবং পোড়ানো নিষিদ্ধ করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। তবে সেই নির্দেশের পরও রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বাজি কেনাবেচা পুরোপুরি বন্ধ করা যায়নি। গত কালও তার হেরফের হয়নি। পুলিশ জানিয়েছে, বাজি রাখার অভিযোগে গত কাল কসবার থানা এলাকা থেকে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। ব্রজেন মিস্ত্রি নামে ওই যুবক কসবার জি এস বোস রোডের বাসিন্দা। গত কাল রাত ৯টা নাগাদ নিজের বাড়ির কাছে ২টি নাইলনের ব্যাগে করে প্রায় ২৮ কিলোগ্রাম বাজি নিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। তাঁর কাছে কোনও বৈধ কাগজপত্রও ছিল না।
আরও পড়ুন: কালীপুজোয় রবিবার গভীর রাত পর্যন্ত খোলা থাকবে দক্ষিণেশ্বর মন্দির
আরও পড়ুন: শহরে পাশ করবে পুলিশ? পরীক্ষা শুরু কয়েক ঘণ্টায়
পুলিশ-প্রশাসনের তরফে এ বার কালীপুজো এবং দীপাবলিতে বাজি বিক্রি এবং পোড়ানো বন্ধ রাখার অনুরোধ করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশ অমান্য করে বাজি পোড়ালে বিপর্যয় মোকাবিলা আইনে সর্বোচ্চ ২ বছরের সাজা হতে পারে বলেও প্রচার করা হচ্ছে। তবে এ নিয়ে একাংশের বিশেষ হেলদোল নেই। কসবার মতোই রিজেন্ট পার্কে থেকে বাজি বিক্রি চলেছে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে গত কাল রাতেই ওই এলাকায় অভিযান চালায় পুলিশ। রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ শীতলা পার্ক এলাকায় বাজি বিক্রি করছিলেন এক যুবক। তাঁর দোকান থেকে তিনটি ব্যাগ ভর্তি প্রায় ১০০ কিলোগ্রাম বাজি উদ্ধার করা হয়েছে। আশিস সাউ নামে ২৮ বছরের ওই যুবককে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। উল্টোডাঙা থানা এলাকা থেকেও বাজি বিক্রির জন্য এক ব্যক্তিকে পাকড়াও করেছে পুলিশ। বছর বিয়াল্লিশের গোপাল দাস উল্টোডাঙার বাসন্তী কলোনিতে বাজি বিক্রি করছিলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy