সায়ন প্রধান। —ফাইল চিত্র।
উচ্চ মাধ্যমিকে অষ্টম হয়ে যোধপুর পার্কের পাথফাইন্ডার এইচএস পাবলিক স্কুলের ছাত্র সায়ন প্রধান জানিয়েছিল, সর্বভারতীয় মেডিক্যালের প্রবেশিকা পরীক্ষা নিট-ও খুব ভাল হয়েছে তার। কিন্তু সেই পরীক্ষায় সে যে একেবারে রাজ্যে প্রথম এবং সর্বভারতীয় র্যাঙ্কিংয়ে দ্বাদশ হবে, এতটা আশা করেননি কেউই। বুধবার নিটের ফল বেরোনোর পরে কলকাতার রিজেন্ট পার্কের বাসিন্দা ওই ছাত্র জানাল, এমবিবিএসের পরে কার্ডিয়োলজি নিয়ে এমডি করতে চায় সে। এসএসকেএম থেকেই এমবিবিএস করতে চায় সায়ন। তার কথায়, “কিছু দিন আগে প্রভিশনাল আনসার কি প্রকাশিত হয়। আমার হিসাবে ৭২০ ভেবেছিলাম। কিন্তু পেয়েছি ৭১৫।”
উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের পড়ুয়া হলেও মেডিক্যালের জন্য সে সিবিএসই-র একাদশ ও দ্বাদশের এনসিইআরটি-র পাঠ্যবই পড়েছে বলে জানিয়েছে সায়ন। তার কথায়, “ভবিষ্যতে যারা নিটে ভাল করতে চায়, তাদেরও এনসিইআরটি-র বই খুব খুঁটিয়ে পড়তে হবে। নিটে যে হেতু নেগেটিভ মার্কিং আছে, তাই খুব সতর্ক হয়ে উত্তর দিতে হবে।” একই সঙ্গে উচ্চ মাধ্যমিক এবং নিটে জোড়া সাফল্য এল কী ভাবে? সায়ন জানায়, একাদশ থেকেই নিটের প্রস্তুতি নেওয়া শুরু হয়েছিল। সেই সঙ্গে শহরের একটি কোচিং সেন্টারে সে ক্লাস করত। নিটের জন্য ভাল করে প্রস্তুতি নিলে বোর্ডের প্রস্তুতি অনেকটাই হয়ে যায় বলে মত তার।
সর্বভারতীয় এবং রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্সে দেখা গিয়েছে, মেধা তালিকায় উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের পড়ুয়াদের টেক্কা দিয়ে বেরিয়ে গিয়েছে সিবিএসই বোর্ডের পড়ুয়ারা। উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য জানিয়েছিলেন, উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষার্থীরা যাতে জয়েন্টে ভাল ফল করতে পারে, তার জন্য বিজ্ঞানের পাঠ্যক্রম এনসিইআরটি-র অনুকরণে করা হচ্ছে। নিটে দেখা গেল, সিবিএসই এবং আইসিএসই বোর্ডের পড়ুয়াদের রাজ্যে টেক্কা দিয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের পড়ুয়া সায়ন। সায়নও অবশ্য বলল, “উচ্চ মাধ্যমিকের বিজ্ঞানের পাঠ্যক্রম একটু বেশি। বিজ্ঞানের বইগুলো খুব মোটা। ওই সব বইয়ের পাশাপাশি এনসিইআরটি-র বই পড়েই জোড়া সাফল্য এসেছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy