Advertisement
E-Paper

দুই বাসের রেষারেষিতে প্রাণ গেল তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রের, এ বার সল্টলেক! বাস ভাঙচুর, পথ অবরোধ

মঙ্গলবার স্কুল থেকে ফিরছিল শিশুটি। সল্টলেকের ২ নম্বর গেটের সামনে সল্টলেক-হাওড়া রুটের বাসের ধাক্কায় প্রাণ হারায় সে। এর আগে বেহালা, বাঁশদ্রোণীতে পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারায় দুই স্কুলপড়ুয়া।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০২৪ ১৪:৩২
সল্টলেকে দুর্ঘটনায় মৃত্যু শিশুর।

সল্টলেকে দুর্ঘটনায় মৃত্যু শিশুর। ছবি: সংগৃহীত।

আবার কলকাতায় পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু এক স্কুলপড়ুয়ার। মঙ্গলবার সল্টলেকে দু’টি বাসের রেষারেষিতে মৃত্যু হল চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রের। মায়ের সঙ্গে স্কুল থেকে স্কুটিতে চেপে ফিরছিল শিশুটি। সল্টলেকের ২ নম্বর গেটের সামনে সল্টলেক-হাওড়া রুটের বাসের ধাক্কায় স্কুটি থেকে পড়ে যায় সে। শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে তার মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনার জেরে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন স্থানীয়েরা। অবরোধকারীদের সঙ্গে দফায় দফায় কথাবার্তা বলে পুলিশ। শেষ পর্যন্ত অবরোধ প্রত্যাহার করেন স্থানীয়েরা। এর আগে বেহালা, বাঁশদ্রোণীতে প্রাণ হারিয়েছিল দুই স্কুলপড়ুয়া।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত শিশুর নাম আয়ুষ পাইক। বয়স ১১ বছর। সে কেষ্টপুরের একটি স্কুলে পড়ত। মঙ্গলবার মায়ের সঙ্গে স্কুল থেকে স্কুটিতে চেপে ফিরছিল তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রটি। তার বাড়ি মানিকতলায়। সে সময় সল্টলেকের রাস্তায় দু’টি বাসের রেষারেষি চলছিল। তার মধ্যে একটি বাসের ধাক্কায় স্কুটি থেকে পড়ে যায় শিশুটি। পরে হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। শিশুটির মাকেও ভর্তি করানো হয়েছে হাসপাতালে। এর পরেই পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন স্থানীয়েরা। পুলিশের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে পথ অবরোধ করেন, বাস ভাঙচুর করেন।

এর আগে গত অক্টোবর মাসে মহালয়ার দিন সকালে বাঁশদ্রোণীতে এক ছাত্রকে জেসিবি ধাক্কা দেয় বলে অভিযোগ। রাস্তায় খোঁড়াখুঁড়ির জন্য ওই এলাকায় ছিল জেসিবিটি। নবম শ্রেণির ওই ছাত্র কোচিং সেন্টার যাচ্ছিল। পথে তাকে ধাক্কা দেয় জেসিবি। তার মাথায় চোট লাগে। আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানেই তার মৃত্যু হয়। এই মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়েরা। রাস্তার বেহাল দশাকেই তাঁরা দায়ী করেন। পাটুলি থানার ওসিকে কাদাজলে দাঁড় করিয়ে রাখার অভিযোগ ওঠে।

২০২৩ সালের অগস্টে বেহালায় পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ যায় দ্বিতীয় শ্রেণির এক পড়ুয়ার। সৌরনীল সরকার নামে ওই ছাত্রকে পিষে দেয় লরি। লরির ধাক্কায় আহত হন তার বাবাও। তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ডায়মন্ড হারবার রোডেই সৌরনীলের দেহ আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়েরা। দফায় দফায় পুলিশ-বিক্ষোভকারীদের মধ্যে খণ্ডযুদ্ধ বাধে। পুলিশের ভ্যান এবং মোটরবাইকে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ভাঙচুর করা হয় সরকারি বাস। বিশাল পুলিশবাহিনী গিয়েও পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণে আনতে না পেরে ফাটায় কাঁদানে গ্যাসের শেল। পাল্টা জনতার ছোড়া পাথরের ঘায়ে আহত হয়েছেন কয়েক জন পুলিশকর্মী। প্রায় চার ঘণ্টা পর উদ্ধার করা হয় সৌরনীলের দেহ।

Salt Lake
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy