Advertisement
E-Paper

স্কুলের সামনে থেকে ‘অপহৃত’ শিক্ষিকা, পরে উদ্ধার

মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে ছ’ঘণ্টার মধ্যে অপহৃত এক স্কুল শিক্ষিকাকে উদ্ধার করল পুলিশ। শুক্রবার সকাল পৌনে ৭টা নাগাদ ওই শিক্ষিকাকে সাদার্ন অ্যাভিনিউয়ের একটি স্কুলের সামনে থেকে অপহরণ করা হয় বলে অভিযোগ। দুপুর দেড়টা নাগাদ তাঁকে সোনারপুর থেকে উদ্ধার করা হয়। অপহরণের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন তিন জন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ জুলাই ২০১৬ ১৫:০৫

মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে ছ’ঘণ্টার মধ্যে অপহৃত এক স্কুল শিক্ষিকাকে উদ্ধার করল পুলিশ। শুক্রবার সকাল পৌনে ৭টা নাগাদ ওই শিক্ষিকাকে সাদার্ন অ্যাভিনিউয়ের একটি স্কুলের সামনে থেকে অপহরণ করা হয় বলে অভিযোগ। দুপুর দেড়টা নাগাদ তাঁকে সোনারপুর থেকে উদ্ধার করা হয়। অপহরণের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন তিন জন।

পুলিশ জানায়, নন্দিতা ঘোষ (৫২) নামে ওই শিক্ষিকা মানিকতলার বাসিন্দা। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, সোনারপুর এলাকার এক কেব্‌ল টিভির ব্যবসায়ীর বোনকে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে লাখ দেড়েক টাকা নিয়েছিলেন নন্দিতাদেবী। তার মধ্যে সুদ-সহ ৮০ হাজার টাকা তিনি শোধ করেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। অভিযোগ, তার পরে আড়াই বছর ধরে ওই মহিলার সঙ্গে চাকরি এবং বাকি টাকা ফেরত দেওয়া নিয়ে টালবাহানা করছিলেন তিনি।

তদন্তকারীরা জানান, শুক্রবার সকালে ওই স্কুলের অভিভাবকেরা দেখতে পান, নন্দিতাদেবীকে জোর করে একটি গাড়িতে তুলছে জনা চারেক ব্যক্তি। স্কুল কর্তৃপক্ষকে অভিভাবকেরাই সব জানান। বিষয়টি নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে ওই স্কুলের তরফে সকাল ১০টা নাগাদ টালিগঞ্জ থানায় নন্দিতাদেবীকে অপহরণের অভিযোগ দায়ের করা হয়।

অভিযোগ নথিভুক্ত হওয়ার পরেই পুলিশ তদন্তে নেমে নন্দিতাদেবীর মোবাইলে ফোন করে। কিন্তু ফোন বেজে গেলেও তিনি ধরেননি। এর পরে নন্দিতাদেবীর মোবাইল টাওয়ারের লোকেশন চিহ্নিত করে তদন্তকারীরা দেখেন, তিনি রয়েছেন সোনারপুরের কাছে। টালিগঞ্জ থানার তদন্তকারীরা যোগাযোগ করেন সোনারপুর থানার সঙ্গে। দুই থানার পুলিশ গিয়ে সোনারপুর থানা থেকে কিছু দূরে একটি বাড়ি থেকে নন্দিতাদেবীকে উদ্ধার করে। তদন্তকারীদের দাবি, নন্দিতাদেবীকে স্কুলের সামনে থেকে গাড়িতে করে তুলে নিয়ে গিয়েছিলেন ওই কেব্‌ল ব্যবসায়ী, তাঁর বোন, স্ত্রী এবং গাড়ির চালক। ওই ব্যবসায়ী অমিত পালের বোন অর্পিতা কোলে, স্ত্রী তনুশ্রী পাল এবং গাড়িচালক প্রসেনজিৎ রায়কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

নন্দিতাদেবীর সহকর্মী, পরিজন এবং পড়শিদের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ আরও জেনেছে, তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক ব্যক্তি এবং ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে শোধ না করার অভিযোগ রয়েছে। এই কাজে অনেক ক্ষেত্রে নন্দিতাদেবী স্কুলের নাম ব্যবহার এবং প্রধান শিক্ষিকার স্বাক্ষরও জাল করেছিলেন বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। ভারপ্রাপ্ত গোয়েন্দা প্রধান বিশাল গর্গ এ দিন বলেন, ‘‘নন্দিতাদেবীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ উঠলেও কোনও লিখিত অভিযোগ আমাদের কাছে এর আগে জমা পড়েনি। শুক্রবার রাত পর্যন্ত ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে পাল্টা কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি।’’ ধৃতদের জেরা করে পুলিশ ঘটনা সম্পর্কে সবিস্তার জানার চেষ্টা করছে।

আরও পড়ুন: গাড়ির ধাক্কায় স্কুলের ভ্যান উল্টে জখম ৫

School teacher kidnapped Kolkata
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy