দীর্ঘ ২৫ বছর আগে, ১৯৯৫ সালে একসঙ্গে একই স্কুল থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিলেন তাঁরা। তার পরে কালের নিয়মে দূরে দূরে চলে গিয়েছেন সকলে। বর্তমানে চল্লিশোর্ধ্ব সেই সহপাঠীদের কেউ কর্মসূত্রে এ রাজ্যে, কেউ আবার ভিন্ রাজ্যে বা বিদেশে থাকেন। কিন্তু করোনা অতিমারি পরিস্থিতি ফের পাশাপাশি এনে দাঁড় করিয়েছে বরাহনগর রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রম উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৯৯৫ সালের ব্যাচের সেই সব ‘কিশোর’কে। প্রাক্তন সহপাঠীদের পরিবারের কোনও সদস্য অথবা স্কুলশিক্ষকদের কেউ আক্রান্ত হলে তাঁদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়ানোর অঙ্গীকার করেছেন তাঁরা। এ জন্য অক্সিজেন সিলিন্ডার থেকে শুরু করে মাস্ক, পাল্স অক্সিমিটার— কিনে রেখেছেন সবই।
কী ভাবে করোনা মিলিয়ে দিল তাঁদের? ওই ব্যাচেরই এক ছাত্র অভিষেক গঙ্গোপাধ্যায় বলছেন, “১৯৯৫ সালে পাশ করার ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে ক্লাসের সবাইকে নিয়ে একটা গ্রুপ তৈরি হয়েছিল। সেই গ্রুপের মাধ্যমেই একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল আমাদের।
কিন্তু করোনা অতিমারির সময়ে আমরাই ঠিক করি, সমাজের প্রতি দায়িত্ববোধ থেকেই আমাদের কিছু করা দরকার। ‘মিশন ৯৫’ নাম দিয়ে তাই কাজ শুরু করি।”