সোমবার সকাল ১০টা বাজতে না বাজতেই সাখাওয়াত মেমোরিয়াল গভর্নমেন্ট গার্লস হাইস্কুলের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী সোহিনী মুখোপাধ্যায় হাজির হয়ে গিয়েছিল স্কুলে। সঙ্গে বাবা গণেশ মুখোপাধ্যায়। স্কুলে প্রতিষেধকের প্রথম ডোজ় নেওয়ার পরে সোহিনী বলছে, “এখন স্বস্তিবোধ হচ্ছে। এত দিন প্রতিষেধক পাইনি বলে বাইরে বেরোতে একটু ভয় লাগত। কোনও ভাবে সংক্রমিত হলে বাড়ির বড়রাও আমাদের থেকে আক্রান্ত হয়ে যেতে পারেন, সেই আতঙ্কও কাজ করত। এখন সেই ভয় কাটল। নির্দিষ্ট সময় পরে দ্বিতীয় ডোজ়টা নিয়ে নিতে হবে।” গণপরিবহণে চেপে এ বার সে অনেকটাই নিশ্চিন্তে স্কুলে আসতে পারবে, জানাচ্ছে সাঁতরাগাছির বাসিন্দা সোহিনী।
কলকাতা পুরসভা এলাকায় সোমবার থেকে শুরু হয়েছে কমবয়সিদের প্রতিষেধক দেওয়ার কাজ। এ দিন পুরসভার ১৬টি বরোর ১৬টি স্কুলে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের (১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সি) প্রতিষেধক দেওয়ার পরে আজ, মঙ্গলবার আরও ৩৪টি স্কুলে এই প্রতিষেধক দেওয়া শুরু হবে বলে জানিয়েছেন ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ। তিনি বলেন, “সব মিলিয়ে মঙ্গলবার ৫০টি স্কুলে প্রতিষেধক দেওয়া হবে। সরকারি স্কুল বাদে মঙ্গলবার আরও ১৭টি বেসরকারি স্কুলে প্রতিষেধক প্রদানের কাজ হবে। তবে স্কুলগুলিকে এ জন্য ইউনিক আইডি তৈরি করতে হবে।”
ছোটদের প্রতিষেধক প্রদানের জন্য কার্যত তৈরি বেসরকারি স্কুলগুলিও। যেমন সাউথ পয়েন্ট স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, আজ, মঙ্গলবার সেখানে ২৫০ জন পড়ুয়াকে প্রতিষেধক দেওয়া হবে। সকাল ৯টা থেকে তাদের জুনিয়র স্কুলে শিবির করে ওই কাজ চলবে। শিবির চলবে আগামী ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত। এ জন্য ইতিমধ্যেই পড়ুয়াদের জন্য স্কুলে অপেক্ষা করার ঘর থেকে পর্যবেক্ষণ কক্ষ— সবই তৈরি।