মত্ত অবস্থায় থানায় হাজির হলেন এক যুবক। হাতে মদের বোতল। তাঁর দায়ের করা অভিযোগ গ্রহণের পরেও পুলিশ ইচ্ছাকৃত ভাবে কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ তুলে শুরু করলেন গালিগালাজ। পুলিশকর্মীরা প্রতিবাদ করলে মারধরও করলেন তাঁদের। হাতে থাকা বোতল দিয়ে এক পুলিশকর্মীকে আঘাত করলে জখম হন তিনি। পরে অন্য পুলিশকর্মীরা এসে ওই যুবককে নিরস্ত করে উদ্ধার করেন থানায় উপস্থিত কর্মীদের।
পুলিশের অভিযোগ, শনিবার রাতে এমনটাই ঘটেছে বাঁশদ্রোণী থানায়। যুবককে ঘটনাস্থল থেকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, ঋষিন্দ্রনাথ ঘোষ নামে ওই যুবক পেশায় মেরিন ইঞ্জিনিয়ার। বাড়ি বাঁশদ্রোণী থানার আদিগঙ্গা রোডে। শনিবারই পারিবারিক গোলযোগ নিয়ে তিনি স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে ওই থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। রাতে মত্ত অবস্থায় ঢুকে দাবি তিনি করেন, তখনই স্ত্রী-সহ সব অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে হবে। তা নিয়েই শুরু হয় হইচই।
পুলিশ সূত্রের খবর, ঘটনার দিন অভিযোগ দায়েরের সময়ে এক দফা কথা কাটাকাটি হয়েছিল ঋষিন্দ্রের সঙ্গে পুলিশকর্মীদের। ১৫ হাজার পাউন্ড এবং কয়েক লক্ষ টাকা মূল্যের সোনার গয়না নিয়ে আর ফেরানো হয়নি বলে তিনি প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেন স্ত্রীর বিরুদ্ধে। এর এক ঘণ্টা পরেই তিনি মদের বোতল হাতে ফিরে আসেন থানায়। পুলিশের দাবি, মত্ত অবস্থায় যুবককে দেখে তাঁকে সামলানোর চেষ্টা করেন ডিউটি কনস্টেবল অরূপ দেবচৌধুরী। মদের বোতল নিয়ে সরকারি দফতরে ঢোকা যায় না, সে কথাও জানান তিনি। কিন্তু কিছু না শুনেই ওই যুবক তাঁকে মদের বোতল দিয়ে ঘাড়ে আঘাত করেন। তা দেখে আরও দুই কনস্টেবল বিকাশ বাগ ও পার্থসারথি ঘোষ ওই যুবককে ধরতে যান। অভিযোগ, তাঁদেরকেও ঘুষি, লাথি মারেন ঋষিন্দ্র। শেষে অনেকে মিলে পাক়ড়াও করেন তাঁকে। তদন্তকারীরা জানান, থানায় ঢুকে কর্তব্যরত সরকারি কর্মীকে মারধরের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে ঋষিন্দ্রকে। পরে আদালতে পেশ করা হলে সেখান থেকে জামিনে ছাড়া পেয়েছেন তিনি। তবে ওই যুবকের দায়ের করা অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রের দাবি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy