Advertisement
E-Paper

আকাশপথ আজও আকাশকুসুম

বছর পেরিয়ে যায়, তবুও পুরমন্ত্রীর সাধের আকাশপথ বা স্কাইওয়ে প্রকল্প আজও বাস্তবায়িত হল না। রাজ্যের তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্র সেক্টর ফাইভের এই প্রকল্পটি আজও বিশ বাঁও জলে। প্রশাসন কিংবা খোদ পুরমন্ত্রীও ওই প্রকল্প নিয়ে কোনও সদুত্তর দিয়ে উঠতে পারেননি। মাত্র ৪৩২ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের পাঁচ নম্বর সেক্টরে প্রতি দিন যাতায়াত করেন লক্ষাধিক মানুষ। গাড়ির চাপও দিনে দিনে বাড়ছে।

কাজল গুপ্ত

শেষ আপডেট: ১৬ মে ২০১৫ ০০:২২
এ ভাবেই চলছে যাতায়াত। ছবি: শৌভিক দে।

এ ভাবেই চলছে যাতায়াত। ছবি: শৌভিক দে।

বছর পেরিয়ে যায়, তবুও পুরমন্ত্রীর সাধের আকাশপথ বা স্কাইওয়ে প্রকল্প আজও বাস্তবায়িত হল না। রাজ্যের তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্র সেক্টর ফাইভের এই প্রকল্পটি আজও বিশ বাঁও জলে। প্রশাসন কিংবা খোদ পুরমন্ত্রীও ওই প্রকল্প নিয়ে কোনও সদুত্তর দিয়ে উঠতে পারেননি।

মাত্র ৪৩২ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের পাঁচ নম্বর সেক্টরে প্রতি দিন যাতায়াত করেন লক্ষাধিক মানুষ। গাড়ির চাপও দিনে দিনে বাড়ছে। এই অবস্থায় রিং রোড প্রকল্পের নামে ওই এক চিলতে তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রের চারপাশে গোলাকৃতি রাস্তাও তৈরি হয়েছে। প্রশাসনিক সংস্থা নবদিগন্ত পরিকল্পনা করেছিল, এলাকার চারধার দিয়ে যানবাহন চলাচল করানো হবে। কিন্তু সেক্টর ফাইভের মধ্যে যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করা হবে।

পাশাপাশি সেক্টর ফাইভে নির্দিষ্ট কিছু স্থানে ফুডকোর্টেরও চিন্তাভাবনা করেছে নবদিগন্ত। সব মিলিয়ে সেক্টর ফাইভের ভিতরে তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীদের সে ক্ষেত্রে যাতায়াতের ব্যবস্থা করার প্রয়োজন রয়েছে। সেই নিরিখেই দায়িত্ব হাতে নিয়েই কয়েক বছর আগে পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম পাঁচ নম্বর সেক্টর পরিদর্শন করার পরে জানিয়েছিলেন, ভিতরে চলাচলের জন্য স্কাইওয়ে প্রকল্প করা হবে।

দেখতে দেখতে কেটে গিয়েছে কয়েক বছর। কিন্তু এক চুলও এগোয়নি সেই কাজ। কেন? প্রশাসন সূত্রে খবর, পুরমন্ত্রীর ওই পরিকল্পনা ঘোষণার পরে প্রাথমিক কাজ শুরু হয়েছিল। জমি চিহ্নিত করা হয়েছিল। প্রাথমিক খসড়াও তৈরি হয়েছিল। কিন্তু ওটুকুই। এর পরে জমি জটিলতায় দীর্ঘ দিন ধরে সেই কাজ আর এগোয়নি। পরে সেই জটিলতা কাটলেও নতুন করে সমস্যা দেখা দেয়। নয়া মেট্রো প্রকল্প নিউ গড়িয়া-এয়ারপোর্ট রুটের মধ্যে স্কাইওয়ে প্রকল্পের চিহ্নিত করা জমির একটি বড় অংশ পড়ে যায়। তাতেই আটকে রয়েছে এই প্রকল্প।

প্রশাসনের এক আধিকারিকের কথায়, মেট্রো প্রকল্পের মধ্যে ওই জমির অধিকাংশই ঢুকে গিয়েছে। এখন বাকি জমিতে কাজ শুরু করতে বললেও তা সম্ভব হবে না। আবার পাঁচ নম্বর সেক্টরে জমি পাওয়াই কঠিন। ফলে আপাতত ওই প্রকল্প নিয়েই অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে প্রশাসনের অন্দরেই।

এ দিকে তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীদের অভিযোগ, রাজ্যের কর্মসংস্থান এবং সরকারি আয় বাড়ানোর ক্ষেত্রে এই অঞ্চলকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে অথচ পরিকাঠামো নিয়ে পরিকল্পনার এত অভাব কেন? বিশেষত পাঁচ নম্বর সেক্টরের সঙ্গে যেখানে আন্তর্জাতিক বাজারের দৈনন্দিন সম্পর্ক রয়েছে। তাঁদের অনেকেরই দাবি, অবিলম্বে পাঁচ নম্বর সেক্টরের পরিকাঠামোর দিকে বাড়তি গুরুত্ব দিক সরকার।

প্রশাসনের এক কর্তা জানান, সরকার বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে বলেই স্কাইওয়ের মতো ব্যয়বহুল পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। জটিলতায় আটকে রয়েছে। সমাধানের চেষ্টা চলছে। এ প্রসঙ্গে বারবার চেষ্টা করেও পুরমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।

kajal gupta sector five garia airport metro firhad hakim
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy