কী ভাবে? স্রেফ জালিয়াতি করে।
মৃত বাবাকে জীবিত দেখিয়ে তাঁর হয়ে পেনশনের টাকা তুলে নিচ্ছিল সেই ছেলে। তা-ও টানা সাত বছরেরও বেশি সময় ধরে। যে ব্যাঙ্ক থেকে জালিয়াতি করে টাকা নেওয়া হচ্ছিল, তাদের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে শুক্রবার ওই যুবককে আহিরীটোলা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অনিন্দ্য মুখোপাধ্যায় নামে ওই যুবক মোবাইল সারানোর ব্যবসা করে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, ২০০৮-এর ৮ ডিসেম্বর মারা যান অনিন্দ্যর বাবা অম্লান মুখোপাধ্যায়। তিনি রেলে চাকরি করতেন। অবসর নেওয়ার পরে পেনশন তুলতেন এক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের নিমতলা ঘাট স্ট্রিট শাখা থেকে। কিন্তু ২০০৮-এ মারা যাওয়ার পরেও অম্লানবাবুর ভুয়ো লাইফ সার্টিফিকেট পেশ করে পেনশন তুলেছে তাঁর ছেলে। পুলিশের বক্তব্য, ব্যাঙ্কে অনিন্দ্য বলত বাবা অসুস্থ। তাই তাঁর হয়ে সে পেনশন তুলছে।
পুলিশ জানায়, পেনশনের ক্ষেত্রে প্রতি বছর লাইফ সার্টিফিকেট জমা দিতে হয়। প্রথম দিকে সেগুলি দেখে ঠিক মনে হলেও পরে সন্দেহ হয় ব্যাঙ্কে। সম্প্রতি তাঁরা অনিন্দ্যকে বাবার জন্য একটি গ্রাহকের পরিচয় জানার ফর্ম (কেওয়াইসি ফর্ম) দিয়ে সেটি পূরণ করে আনতে বলেন। কিন্তু তা জমা দিতে পারেনি অনিন্দ্য। তখন ব্যাঙ্ক-কর্তৃপক্ষ দেখা করতে চান অম্লানবাবুর সঙ্গে। অনিন্দ্য তাঁদের জানায়, তাঁর বাবা গড়িয়াহাটের কাছে ডোভার লেনে আলাদা থাকেন। কিন্তু ওই ঠিকানায় অম্লানবাবুর খোঁজ মেলেনি। এর পরেই শুক্রবার জোড়াবাগান থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ব্যাঙ্ক-কর্তৃপক্ষ। রাতে অনিন্দ্যকে গ্রেফতারের সময়ে অম্লানবাবুর ডেথ সার্টিফিকেটটিও উদ্ধার করেছে পুলিশ।
‘প্রতারণা’, ধৃত প্রযোজক। ছবির নাম ‘প্রতারক’। শ্যুটিং শেষ হলেও টাকার অভাবে মুক্তি পাচ্ছে না। টাকা জোগাড় করতে প্রতারণার আশ্রয় নেওয়ার অভিযোগে পুলিশের হাতে ধরা পড়লেন খোদ প্রযোজক!
শুক্রবার বসিরহাট থেকে দেবাশিস বসু বল ওরফে মিল্টু নামে কলকাতার নেতাজিনগরের বাসিন্দা ওই প্রযোজককে ধরে পুলিশ। বসিরহাটে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে আয়কর দফতরের আধিকারিক সেজে তিনি টাকা হাতাচ্ছিলেন বলে অভিযোগ। ধৃতকে আদালতে তোলা হলে তাঁর চার দিনের পুলিশি হেফাজত হয়।