প্রতীকী চিত্র।
আজ, বুধবার জামাইষষ্ঠী। কব্জি ডোবানো জামাই-আদরের দিন। কিন্তু এ যেন উলটপুরাণ! এ বার জামাইরাই খাবার আনিয়ে শ্বশুর-শাশুড়ির রসনা-তৃপ্তির দায়িত্ব নিয়েছেন!
পঞ্চায়েত দফতরের সামগ্রিক এলাকা উন্নয়ন পর্ষদ আজ থেকে এক সপ্তাহের জন্য রকমারি খাবার সরবরাহের আয়োজন করেছে। বরাত নিতে গিয়ে দেখা গিয়েছে, শহরবাসী বয়স্ক শ্বশুর-শাশুড়ির জন্য খাবারের বায়না দিচ্ছেন বিদেশবাসী বহু জামাই।
তালিকায় আছে পোলাও, সাদা ভাত, পটল-চিংড়ি, মাছের পাতুরি, সর্ষে ইলিশ, মুরগির ঝোল, গলদা চিংড়ির মালাইকারি, কচি পাঁঠার ঝোল, চাটনি, পাঁপড়, মিষ্টি এবং পান।
সিঙ্গাপুরে কর্মরত ইঞ্জিনিয়ার শাশ্বত দাস দমদমের শ্বশুরবাড়ির জন্য সরু চালের ভাতের সঙ্গে পোলাও, সর্ষে ইলিশ, পটল-চিংড়ি, কচি পাঁঠার ঝোলের বরাত দিয়েছেন। ফোনে শাশ্বত বললেন, “এত কাল এই দিনটায় ওঁরা আমাদের খাওয়াতেন। এ বার না হয় আমরা কিছু করি।” যা শুনে শ্বশুর সীতাংশুশেখর পালের কম বয়সে জামাইষষ্ঠীর দিন মনে পড়ছে।
পর্ষদের সচিব সৌম্যজিৎ দাস বলেন, “বিদেশ থেকে ৫০ জন জামাই, কলকাতার বাসিন্দা শ্বশুর-শাশুড়ির জন্য অনলাইনে বায়না দিয়েছেন।” পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের কথায়, “কোভিড আর উৎসব, দুটোকে মাথায় রেখেই কোভিড-বিধি মেনে খাবার পৌঁছে দেওয়া হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy