Advertisement
E-Paper

বৃদ্ধা মাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখায় অভিযুক্ত ছেলে-বৌ

মিতাদেবীর ছেলে খোকন দাস সোনারপুর ভূমি রাজস্ব দফতরের কর্মী। পুত্রবধূ রীতা দাসের দাবি, ‘‘শাশুড়ির বয়স প্রায় নব্বই ছাড়িয়ে গিয়েছে। এ দিক ও দিক চলে যান। সেই কারণেই গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়।’’ স্থানীয়দের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে সোমবার বিকেলে মিতাদেবীর বাড়িতে যান পল্লববাবু।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২০১৭ ০৩:২২
সাহায্য: গাছের সঙ্গে বাঁধা অবস্থায় মিতাদেবী। পাশে রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার চেয়ারম্যান পল্লব দাস। সোমবার। নিজস্ব চিত্র

সাহায্য: গাছের সঙ্গে বাঁধা অবস্থায় মিতাদেবী। পাশে রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার চেয়ারম্যান পল্লব দাস। সোমবার। নিজস্ব চিত্র

বৃদ্ধা মাকে গাছের সঙ্গে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখার অভিযোগ উঠল পুত্র ও পুত্রবধূর বিরুদ্ধে। রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের চলপাড়া এলাকার ঘটনা। স্থানীয় সূত্রে খবর, সম্প্রতি এলাকাবাসীর একাংশ পুরসভার চেয়ারম্যান পল্লব দাসের কাছে অভিযোগ করেন, মিতা দাস নামে এক নব্বই বছরের বৃদ্ধাকে তাঁর পুত্র ও পুত্রবধূ নিয়মিত বাড়ির সামনের রাস্তায় একটি গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখেন।

মিতাদেবীর ছেলে খোকন দাস সোনারপুর ভূমি রাজস্ব দফতরের কর্মী। পুত্রবধূ রীতা দাসের দাবি, ‘‘শাশুড়ির বয়স প্রায় নব্বই ছাড়িয়ে গিয়েছে। এ দিক ও দিক চলে যান। সেই কারণেই গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়।’’ স্থানীয়দের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে সোমবার বিকেলে মিতাদেবীর বাড়িতে যান পল্লববাবু। তিনি পৌঁছে দেখেন, গাছের সঙ্গে দড়ি দিয়ে বাঁধা অবস্থায় রয়েছেন ওই বৃদ্ধা। পল্লববাবু
বাঁধন খুলে মিতাদেবীকে ঘরে পৌঁছে দেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, সারা বছর, এমনকী শীতকালেও সকাল থেকে ওই বৃদ্ধাকে বাড়ির বাইরে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়। তাঁকে মশা কামড়ায়। গায়ে মাছি বসে।

আরও পড়ুন: ফের দুর্ঘটনা সল্টলেকে, বাসের ধাক্কায় জখম শিশু

পল্লববাবু সোমবার বলেন, ‘‘এই ঘটনাকে অমানবিকতা ছাড়া আর কী বলা যায়। বৃদ্ধ বয়সে মায়ের যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। উল্টে মাকে কষ্ট দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পরিস্থিতির উপরে নজর রাখছি। ফের এমন হলে কঠিন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পিছপা হব না।’’ তবে শাশুড়িকে দেখভাল করার জন্য আয়া রাখা হয়েছে বলে এ দিন চেয়ারম্যানের কাছে দাবি করেন রীতাদেবী। চেয়ারম্যান রীতাদেবীকে প্রশ্ন করেন, ‘‘আয়া থাকলে বেঁধে রাখার প্রয়োজন হচ্ছে কেন?
আয়াই তো ওঁর দেখাশোনা করবেন, দেখবেন যাতে না এ দিক ও দিক চলে না যান।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘এ বার বাড়িতে দিয়ে গেলাম। ফের এমন করা হচ্ছে খবর পেলে আইনত ব্যবস্থা নেব।’’

Crime Torture Mita Das মিতা দাস সোনারপুর
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy