Advertisement
০১ মে ২০২৪
South Dumdum Municipality

দক্ষিণ দমদম পুর হাসপাতালে রোগ নির্ণয়ের পরীক্ষায় পিপিপি মডেল

অনেক বছর আগে পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি বসানো হয়েছিল। পুরকর্তাদের একাংশের দাবি, সেই যন্ত্রপাতিগুলির আধুনিকীকরণের প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।

৩০ শয্যার দক্ষিণ দমদম পুর হাসপাতালে বিভিন্ন রোগ নির্ণয়ের ব্যবস্থা রয়েছে।

৩০ শয্যার দক্ষিণ দমদম পুর হাসপাতালে বিভিন্ন রোগ নির্ণয়ের ব্যবস্থা রয়েছে। প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ জানুয়ারি ২০২৩ ০৮:৪৮
Share: Save:

পুরসভা আগেই জানিয়েছিল ব্যয় সঙ্কোচের কথা। এ বার এক কদম এগিয়ে পুর হাসপাতালের প্যাথলজি দফতরের কাজ পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ বা পিপিপি মডেলে করার পরিকল্পনা নিয়েছে দক্ষিণদমদম পুরসভা। এ কথা শোনার পরেই পুর এলাকার বাসিন্দাদের একাংশ আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, এতে পরীক্ষার খরচ বাড়বে। তবে পুরসভার দাবি, পিপিপি মডেলে গেলেও ব্যয় একই রাখার চেষ্টা চলছে।

৩০ শয্যার দক্ষিণ দমদম পুর হাসপাতালে বিভিন্ন রোগ নির্ণয়ের ব্যবস্থা রয়েছে। অনেক বছর আগে পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি বসানো হয়েছিল। পুরকর্তাদের একাংশের দাবি, সেই যন্ত্রপাতিগুলির আধুনিকীকরণের প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। পাশাপাশি,বহু রোগ নির্ণয়ের ব্যবস্থা এই হাসপাতালে নেই। যেমন, এখানে শুধু রক্তের নির্দিষ্ট কয়েকটি পরীক্ষার ব্যবস্থা রয়েছে। অনেক ক্ষেত্রেই রোগীদের অন্যান্য পরীক্ষারপ্রয়োজন হলে তাঁরা অন্য হাসপাতালে যেতে বাধ্য হন। সব মিলিয়ে যেধরনের আধুনিকীকরণের চাহিদা রয়েছে, তা পুরসভার একার পক্ষে বহন করা কষ্টকর। তাই রক্ত-সহ বিভিন্ন পরীক্ষার কাজ বা প্যাথলজির পরিষেবা পিপিপি মডেলে দেওয়ার পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে। এটি শুরু হলে বাসিন্দারা যেমন উপকৃত হবেন, তেমনই পুরসভার অনেকটাই ব্যয় সঙ্কোচ হবে বলে আশা পুরকর্তাদের।

যদিও বিরোধীদের একাংশের কথায়, সাধারণ পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রেও পিছিয়ে পড়ছে পুরসভা। ব্যয় সঙ্কোচের যুক্তি দেখিয়ে বেসরকারি করণের পথে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। পুরকোষাগারের অবস্থা বেহাল হলে বিনোদনমূলক পরিষেবায় লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করা হচ্ছে কেন, সেই প্রশ্নও তুলছেন তাঁরা।

অন্য দিকে, খরচ বাড়ার আশঙ্কা করছেন বাসিন্দারা। স্থানীয় এক বাসিন্দা তমাল ঘোষের কথায়, ‘‘শুধুমাত্র সরকারি ব্যবস্থাপনায়সুলভে রক্ত পরীক্ষা করা সম্ভব ছিল। পিপিপি মডেল হলে সেই খরচ বাড়বে।’’ যদিও পুরকর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, পরীক্ষাগুলির ব্যয় একই রাখার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

দক্ষিণ দমদম পুরসভার চেয়ারম্যান পারিষদ (স্বাস্থ্য) সঞ্জয় দাস জানান, পুরসভার আর্থিক সীমাবদ্ধতা রয়েছে। অথচ স্বাস্থ্য পরিষেবার উপরে প্রতিদিন চাপ বাড়ছে। তাই পিপিপি মডেলে যাওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। তবে রোগ নির্ণয়ে যাতে ব্যয় না বাড়ে, সেই বিষয়ে পুরসভারনজর রয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

South Dumdum Municipality Hospital PPP Model
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE