অনুপস্থিত: পুর ভবনে মেয়রের ঘরের দেওয়ালে এখনও নেই শোভন চট্টোপাধ্যায়ের ছবি। শুক্রবার। নিজস্ব চিত্র
প্রাক্তন হয়েছেন বেশ কয়েক মাস আগে। অথচ, প্রাক্তনদের ছবির তালিকায় এখনও ঠাঁই পাননি শোভন চট্টোপাধ্যায়। কবে পাবেন? মেলেনি কোনও স্পষ্ট উত্তর।
কলকাতা পুরসভায় মেয়রের ঘরে ঢুকলেই নজরে পড়বে চার দিকের দেওয়ালে ফ্রেমবন্দি নানা ছবি। ওঁরা সবাই প্রাক্তন মেয়র। তবে সেই ছবির ভিড়ে এখনও জায়গা হয়নি সদ্য-প্রাক্তন শোভন চট্টোপাধ্যায়ের।
মেয়রের ঘরে তাঁর চেয়ারের ডান দিকের দেওয়াল থেকে ওই ছবির সারি শুরু হয়ে পৌঁছে গিয়েছে বাঁ দিকের দেওয়ালের মাঝামাঝি পর্যন্ত। দিন কয়েক আগে কলকাতা সফরে এসে বাংলাদেশের মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বর্তমান মেয়র ফিরহাদ হাকিমের ঘরে গিয়েছিলেন। ওই সব ছবির বিষয়ে মেয়রের কাছে জানতে চান তিনি। মেয়র জানান, সেই ব্রিটিশ আমল থেকে এ পর্যন্ত কলকাতার মেয়র হয়েছেন যাঁরা, ছবিগুলি তাঁদেরই। কিন্তু শোভনের ছবি যে সেখানে নেই, তখনই বিষয়টি সকলের নজরে আসে।
দেখা যায়, ছবির সারি শুরু হয়েছে কলকাতার প্রথম মেয়র চিত্তরঞ্জন দাশকে দিয়ে। সেই আমলের সুভাষচন্দ্র বসু, যতীন্দ্রমোহন সেনগুপ্ত, বিধানচন্দ্র রায় থেকে শুরু করে পরবর্তী কালের কমলকুমার বসু, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের ছবিও রয়েছে। কিন্তু তার পরে আর নেই। পুরসভার এক আধিকারিক জানান, কেউ মেয়র পদ থেকে বিদায় নিলে তার পরেই তাঁর ছবি সেখানে রাখা হয়। সেই হিসেবে কলকাতার প্রথম মেয়র থেকে শুরু করে মোট ৩৬ জন প্রাক্তন মেয়রের ছবি রয়েছে সেখানে। বাদ শুধু শোভন চট্টোপাধ্যায়। এখনও তাঁর ছবি দেওয়ালে রাখা হয়নি। এ বিষয়ে ওই আধিকারিক আর কিছু বলতে চাননি।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
শোভনবাবু গত নভেম্বরে মেয়র পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। ডিসেম্বর থেকে নতুন মেয়র ফিরহাদ হাকিম দায়িত্বে এসেছেন। পরে কাউন্সিলর ভোটে জিতে পাকাপাকি ভাবে মেয়র হিসেবে শপথও নিয়েছেন তিনি। প্রায় সাড়ে তিন মাস তো হতে চলল। প্রাক্তন মেয়রদের ছবির তালিকায় এখনও কেন শোভনবাবুর ছবি রাখা হল না? প্রশ্নটি করা হয়েছিল পুর কমিশনার খলিল আহমেদকে। তাঁর সংক্ষিপ্ত জবাব, ‘‘হয়ে যাবে।’’ কিন্তু দেরির কোনও ব্যাখ্যা দিতে পারেননি পুরসভার কেউ। অথচ, সুব্রত মুখোপাধ্যায় বা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বিদায় নেওয়ার পরে তাঁদের ছবি যথাসময়েই দেওয়ালে স্থান পেয়েছিল। খোদ মেয়রকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘ছবি টাঙানো যে দফতরের কাজ, তারা বিষয়টি দেখছে।’’
সেই দফতরের কেউ কেউ অবশ্য নানা জল্পনায় মশগুল। তাঁদের প্রশ্ন, শোভন কি আবার ফিরবেন? তবে ওই দফতরের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘এক বার বিদায় নিলে ছবি তো বসবেই।’’ কিন্তু দেরি কেন? এ প্রশ্নের অবশ্য উত্তর মেলেনি। এ বিষয়ে কথা বলতে শোভনবাবুর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। জবাব
দেননি মেসেজেরও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy