Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

বাড়িতে বসেই টাটকা মাছ, পৌঁছে দেবে নিগম

নলবন, গোলতলা, রাজারহাটে অবস্থিত নিগমের জলাশয়গুলি থেকে নানা প্রজাতির টাটকা মাছ ন্যায্য মূল্যে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়াই নিগমের উদ্দেশ্য। নিগম ঠিক করেছে, মাসিক বেতনের ভিত্তিতে মহিলাদের নিয়োগ করা হবে। তিন চাকার গাড়ির পিছনে থাকবে রেফ্রিজারেটর-বক্স।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

মেহবুব কাদের চৌধুরী
শেষ আপডেট: ১৯ জুন ২০১৭ ০১:৪০
Share: Save:

কথায় আছে, মাছেভাতে বাঙালি। কিন্তু সেই বাঙালির পাতে নিয়মিত মাছ পড়াটাই এখন যেন কষ্টসাধ্য। অফিস আর কাজের চাপে বাজারের থলি হাতে নিয়ে বেরোনোর সময় পান না অনেকেই। ইন্টারনেটে কেনাবেচায় অভ্যস্ত বাঙালির পাতে এ বার টাটকা মাছ তুলে দিতে এগিয়ে এল রাজ্য মৎস্য উন্নয়ন নিগম।

টাটকা মাছ বাড়ি বাড়ি পৌঁছনোর পাশাপাশি বেকার মহিলাদের স্বনির্ভর করতে তাঁদের দিয়ে মাছ বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য মৎস্য দফতর। মৎস্যমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহের কথায়, ‘‘মহারাষ্ট্রের ধাঁচে এ রাজ্যে অত্যাধুনিক ব্যাটারিচালিত গাড়িতে মাছ বিক্রি করা হবে। চলতি মাসেই মহারাষ্ট্র থেকে চারটি গাড়ি আনা হচ্ছে। প্রথমে কলকাতা ও শহরতলিতে দশটি গাড়িতে মাছ বিক্রি করা হবে। পরে তা ছড়িয়ে দেওয়া হবে জেলায় জেলায়।’’

নলবন, গোলতলা, রাজারহাটে অবস্থিত নিগমের জলাশয়গুলি থেকে নানা প্রজাতির টাটকা মাছ ন্যায্য মূল্যে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়াই নিগমের উদ্দেশ্য। নিগম ঠিক করেছে, মাসিক বেতনের ভিত্তিতে মহিলাদের নিয়োগ করা হবে। তিন চাকার গাড়ির পিছনে থাকবে রেফ্রিজারেটর-বক্স। সেই গাড়িতে করে সরবরাহ করা হবে মাছ। নিগমের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সৌম্যজিৎ দাসের কথায়, ‘‘রুই, কাতলা, মৃগেল, কালবোস ছাড়াও থাকবে বাটা, পাঙাশ, তেলাপিয়া, ট্যাংরা, পাবদা, কই, চিংড়ি প্রভৃতি।’’

আরও পড়ুন: নারকেল তেল খাওয়া ক্ষতিকর! দাবি বিজ্ঞানীদের

এ রকম গাড়িতে করেই পৌঁছবে মাছ। —নিজস্ব চিত্র।

বছর দেড়েক আগে মুম্বই আইআইটি-র অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক কিশোর মুন্সির উদ্ভাবনায় তিন চাকার ব্যাটারিচালিত গাড়িটি প্রথম বাজারে আসে। সেই গাড়িতে করে ইতিমধ্যেই আনাজ, দুধ বিক্রি শুরু করেছেন মুম্বই ও পুণের মহিলারা। সৌম্যজিৎবাবু বলেন, ‘‘মহারাষ্ট্রে প্রচলিত তিন চাকার ব্যাটারিচালিত প্রতিটি গাড়ির দাম প্রায় দে়ড় লক্ষ টাকা।’’

দফতর সূত্রে খবর, সকাল-বিকেল দু’টি শিফটে মাছ বিক্রি হবে। সকালে নিগমের জলাশয় থেকে জ্যান্ত মাছ ডেলিভারি করবেন যে মহিলারা, তাঁরাই আবার বিকেলে বেরোবেন রান্না করা খাবার নিয়ে। বিকেলের খাদ্য তালিকায় থাকবে মাছের ফ্রাই, ফিঙ্গার, রোল, কাবাব, বিরিয়ানি-সহ রকমারি ভাজা।

নিগমের এক আধিকারিক জানান, বিক্রেতা মহিলাদের সঙ্গে এলাকার যোগাযোগ যেন ভাল হয়, সে দিকে নজর রাখতে হবে। প্রতিটি বাড়ির ফোন নম্বর বিক্রেতাদের নিজেদের কাছে রাখতে হবে। বিক্রেতার ফোন নম্বরও থাকতে হবে বাড়িতে। মৎস্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর ইচ্ছানুযায়ী, রকমারি মাছ বাঙালির পাতে পৌঁছে দেওয়াই আমাদের উদ্দেশ্য।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE