রাজ্য চায় আমরি-মামলার শুনানি হোক প্রতি দিন।
আমরি-কাণ্ডের বিচারে দীর্ঘসূত্রতা নিয়ে আগেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপর্ব কী ভাবে দ্রুত শেষ করা যায়, রাজ্যের কাছে তা জানতে চেয়েছিলেন হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী। মঙ্গলবার তাঁর আদালতে রাজ্য জানাল, সরকার চায় নিম্ন আদালতে আমরি-মামলার শুনানি প্রতিদিন হোক। এ দিন সরকার পক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) শাশ্বতগোপাল মুখোপাধ্যায় আদালতে এ কথা জানিয়েছেন।
আমরি-কাণ্ডের চার্জশিট থেকে তাঁর নাম বাদ দেওয়ার আবেদন জানিয়ে হাইকোর্টে মামলা করেছেন ওই হাসপাতালের অন্যতম ডিরেক্টর তথা চিকিৎসক মণি ছেত্রী। সেই মামলার শুনানি চলাকালীন সপ্তাহখানেক আগে নিম্ন আদালতে বিচারের দীর্ঘসূত্রতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন বিচারপতি বাগচী। তিনি পিপি-কে জানিয়েছিলেন, বিচারের কাজে দেরি হওয়ায় এক দিকে আমরি-কাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলি যেমন অসহায় বোধ করছে, তেমনই অস্বস্তিতে রয়েছেন অভিযুক্তেরা।
এ দিন সরকারি কৌঁসুলি আদালতে আরও জানান, বিচারের অগ্রগতি নিয়ে প্রতি ছ’মাস অন্তর মূল্যায়ন করা যেতে পারে। একই সঙ্গে তাঁর বক্তব্য, বিচার যাতে দ্রুত শেষ হয়, তা যেমন সরকার পক্ষকে দেখতে হবে, তেমনই অভিযুক্তদের আইনজীবীদেরও এই ব্যাপারে সহযোগিতা প্রয়োজন।
এ কথা শুনে বিচারপতি বাগচী জানতে চান, সরকার পক্ষের সব সাক্ষীর কাছে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আদালতে হাজিরার সমন সময়মতো পাঠানো হচ্ছে কি না। পিপি জানান, পাঠানো হচ্ছে। বিচারপতি বাগচী বলেন, সরকার পক্ষের সাক্ষীদের মধ্যে এমন যদি কেউ থাকেন যিনি চাকরি থেকে অবসর নিয়েছেন, তা হলে নির্দিষ্ট দিনে তাঁর আদালতে হাজিরা থাকা নিশ্চিত করতে হবে। নির্দিষ্ট দিনে আদালতে হাজির না হলে প্রয়োজনে তাঁর পেনশন আটকানো যেতে পারে।
পিপি আদালতে এ দিন জানান, আলিপুর জেলা আদালতের অতিরিক্ত জেলা বিচারক (৩) মামলার বিচার শুরু করেছেন। সরকার পক্ষের এক সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে। তিনি হাসপাতালের নকশা করেছিলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy