E-Paper

পর পর চুরিতে আতঙ্ক নিউ টাউনে, নামেই থানার প্যানিক বোতাম

নিউ টাউনে চুরি, ছিনতাই ঠেকানো-সহ জরুরি পরিস্থতির মোকাবিলায় রাস্তায় প্যানিক বোতাম বসানো হয়েছিল। যেগুলির সংযোগ থানার সঙ্গে থাকার কথা ছিল।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৪ ০৮:১০

—প্রতীকী চিত্র।

চোরের উপদ্রবে ঘুৃম ছুটেছে নিউ টাউনের কয়েকটি ব্লকের বাসিন্দাদের। ফ্ল্যাটের একতলার গ্যারাজ থেকে পাঁচিল টপকে সাইকেল বার করে নিয়ে যাওয়া, রাস্তার ধারের দোকান ভেঙে মালপত্র বার করে নেওয়া— একের পর এক ঘটনায় উদ্বেগে বাসিন্দারা। অভিযোগ,
ঘটনার খবর পেয়ে দু’-এক বার পুলিশ ব্লকে ঘুরে গেলেও বন্ধ হয়নি চুরি। নিউ টাউনের অ্যাকশন এরিয়া-১ এর একাধিক ব্লক থেকে ওই অভিযোগ এসেছে। যে কারণে ব্লকগুলির তরফে এলাকায় নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগের পরিকল্পনার কথাও ভাবা হচ্ছে।

সেখানকার একে, এআই, এএলের মতো বিভিন্ন ব্লকের বাসিন্দারা জানান, সিসি ক্যামেরায় চোরের ছবি দেখা যাচ্ছে। পুলিশকে সেই ফুটেজও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কাজের কাজ কিছু হয়নি। এএল ব্লকের আবাসিক সংগঠনের সদস্য অরিজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ, ‘‘আমাদের আবাসন থেকে ট্যাঙ্কের লোহার ঢাকনা খুলে নিয়ে চলে গিয়েছে। থানায়
গিয়ে এমনও শুনতে হয়েছে যে লোকের অভাব। তাই তদন্ত করা যাচ্ছে না।’’

উল্লেখ্য, নিউ টাউনে চুরি, ছিনতাই ঠেকানো-সহ জরুরি পরিস্থতির মোকাবিলায় রাস্তায় প্যানিক বোতাম বসানো হয়েছিল। যেগুলির সংযোগ থানার সঙ্গে থাকার কথা ছিল। কিন্তু সেই সব প্যানিক বোতাম রাস্তায় বসানো হলেও আজ পর্যন্ত চালু করা যায়নি। যদিও নিউ টাউন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (এনকেডিএ) সূত্রে জানানো হয়েছে, মাটির নীচের কেব্‌ল কাটা পড়ার কারণে ওই প্রযুক্তি এখনও শুরু করা যায়নি। এনকেডিএ সূত্রে আশ্বাস, চলতি বছরের পুজোর মধ্যে ওই ব্যবস্থা চালু করা সম্ভব হবে।

সেই প্রসঙ্গ টেনে ওই সব ব্লকের বাসিন্দারা এলাকায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ করেছেন। তাঁদের প্রশ্ন, সাজানো-গোছানো নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখার কী প্রয়োজন, যদি প্রশাসনের পরিকাঠামোই নড়বড়ে হয়?

নিউ টাউনের আবাসিকদের সংগঠন ‘সিটিজেনস ওয়েলফেয়ার ফ্রেটারনিটি’র সাধারণ সম্পাদক সমীর গুপ্ত জানান, তাঁদের সিই ব্লকে গত এক মাসে তিনটি চুরি হয়েছে। তা নিয়ে ব্লকের তরফে পুলিশকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। সমীর বলেন, ‘‘পাড়ায় মন্দিরের তালা ভেঙে প্রণামীর বাক্স লুট করে নিয়ে গিয়েছে চোরেরা। গাড়ি, বাইক থেকে তেল চুরি, মুদির
দোকানে চুরির একাধিক ঘটনা ঘটেছে। সব বাসিন্দাদের ফোরামের থেকে বাড়িতে সিসি ক্যামেরা বসাতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে ব্লকগুলিতে নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগের পরিকল্পনা করা হয়েছে।’’

এ নিয়ে কথা বলতে নিউ টাউনের ডিসি মানব সিংলাকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘সব
ঘটনার অভিযোগই গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হয়। এ ক্ষেত্রেও অবশ্যই তদন্ত হবে।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

New Town Stealing

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy