Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
STF

কলকাতায় বিস্ফোরক, ওড়িশা থেকে ধৃত বিক্রেতা

এসটিএফ সূত্রে খবর, সুকান্ত সাহুর সংস্থা সাই ট্রেডার্সের কাছ থেকেই ১ হাজার ৩৫০ কিলোগ্রাম পটাশিয়াম নাইট্রেট কিনেছিল নৈহাটির মালিকাপাড়ার বাসিন্দা রবিউল ইসলাম। শনিবার মাঝরাতে মিনি ট্রাক বোঝাই সেই বিস্ফোরকের মালমশলা উদ্ধারের পরই গ্রেফতার করা হয়েছিল চালক এবং খালাসিকে।

উদ্ধার হওয়া বস্তাবন্দি বিস্ফোরক। নিজস্ব চিত্র।

উদ্ধার হওয়া বস্তাবন্দি বিস্ফোরক। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ মার্চ ২০১৯ ২১:২২
Share: Save:

শহরে বিস্ফোরক উদ্ধারের ঘটনায় মূল সরবরাহকারীকে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)। ওড়িশার বালেশ্বরের কাছে রূপসার বাসিন্দা সুকান্ত সাহুকে সোমবার বারিপদা আদালতে পেশ করে কলকাতা পুলিশ। বিচারক দু’দিনের ট্রানজিট রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। বিস্ফোরক কাণ্ডে এখন পর্যন্ত মোট চার জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ।

এসটিএফ সূত্রে খবর, সুকান্ত সাহুর সংস্থা সাই ট্রেডার্সের কাছ থেকেই ১ হাজার ৩৫০ কিলোগ্রাম পটাশিয়াম নাইট্রেট কিনেছিল নৈহাটির মালিকাপাড়ার বাসিন্দা রবিউল ইসলাম। শনিবার মাঝরাতে মিনি ট্রাক বোঝাই সেই বিস্ফোরকের মালমশলা উদ্ধারের পরই গ্রেফতার করা হয়েছিল চালক এবং খালাসিকে। তাঁদের জেরা করেই পূর্ব মেদিনীপুর থেকে হদিশ মেলে রবিউলের। তাঁকে জেরা করে জানা যায় এক দালালের মাধ্যমে সে সাই ট্রেডার্স-এর কাছ থেকে ওই বিস্ফোরক কিনেছিল।

রবিবার রাতেই এসটিএফের গোয়েন্দারা রূপসার সাই ট্রেডার্সের অফিসে হানা দেয়। সূত্রের খবর, প্রথমে সংস্থার মালিক সুকান্ত সাহু বিক্রয় করের কিছু নথি দেখিয়ে দাবি করেল যে, তাঁর সংস্থা ওই রাসায়নিক বিক্রি করার বৈধ ডিলার। কিন্তু তল্লাশির সময় সুকান্ত সাহু কোনও লাইসেন্স দেখাতে পারেননি। অন্য দিকে, রবিউলেরও বিস্ফোরক তৈরির কাঁচামাল কেনা এবং ব্যবহার করার জন্য প্রয়োজনীয় কোনও নথি নেই। এক এসটিএফ কর্তা বলেন, “সাহুকে গ্রেফতার করা হয়েছে কারণ, তাঁর নিজের কোনও লাইসেন্স নেই। অতএব তিনি অবৈধ ভাবেই ব্যবসা করছিলেন। ঠিক একই ভাবে কোনও নথি ছাড়াই তিনি রবিউলকে বিপুল পরিমান ওই রাসায়নিক বিক্রি করেছিলেন।” তদন্তকারীদের আশঙ্কা সুকান্ত একই ভাবে মাওবাদী বা অন্য দুষ্কৃতীদেরও বিস্ফোরক তৈরির কাঁচামাল সরবরাহ করেছেন। এক গোয়েন্দা আধিকারিক বলেন, “সাহুকে জেরা করা প্রয়োজন কাকে কাকে ওই সংস্থা রাসায়নিক সরবরাহ করেছিল।”

আরও পড়ুন: দমদমে রাস্তার উপর মত্ত যুবকদের তাণ্ডব, প্রহৃত শিক্ষক দম্পতি

অন্য দিকে পুলিশ এখনও রবিউল এবং সাই ট্রেডার্সের মধ্যে যোগাযোগকারী দালালের খোঁজ করছে। তাঁকে এখনও পাওয়া যায়নি। গোয়েন্দারা মনে করছেন, ওই দালালকে পাওয়া গেলে জানা যাবে রবিউল ছাড়াও আর কাকে বিস্ফোরকের কাঁচামাল কেনার ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। সে ক্ষেত্রে ওই বিস্ফোরক তৈরির মালমশলা ঠিক কী কাজে ব্যবহার করার জন্য আমদানি করা হচ্ছে তা স্পষ্ট হবে।

আরও পড়ুন: সন্তানদের পাশের ঘরে আটকে রেখে তরুণীকে গণধর্ষণ দুই জামাইবাবুর!

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE