সত্যজিৎ রায় সবচেয়ে অবাক হয়েছিলেন বিনোদবিহারী মুখোপাধ্যায়ের সেই সব ড্রয়িং দেখে, যেগুলি তিনি এঁকেছিলেন সম্পূর্ণ দৃষ্টিশক্তিরহিত হয়ে যাওয়ার পর। সত্তর দশকের গোড়ায় যখন বিনোদবিহারীকে নিয়ে ডকুমেন্টারি তুলতে শান্তিনিকেতনে যান সত্যজিৎ, তাঁর ফিল্ম ইউনিটের সহকারীদের খেয়াল করতে বলেন নিবিষ্ট কর্মময়তার সময় শিল্পীর মুখে ফুটে ওঠা অভিব্যক্তি: “আঁকার সময় বিনোদবিহারীর মুখে কত ভাষা ফুটে ওঠে— তোমরা কেউ লক্ষ করেছ?” সত্যজিতের সেই শান্তিনিকেতনে শুটিংয়ের স্মৃতি নিমাই ঘোষের বয়ানে। (‘সাক্ষাৎকার’/দেবভাষা)। নিমাইবাবু সে যাত্রায় সত্যজিৎ ও অন্যদের আগেই হাওড়া স্টেশনে পৌঁছে যান, সত্যজিৎ এলে তাঁর কামরায় উঠে পড়েন, সঙ্গে একটি ফিক্সড লেন্সের ক্যামেরা। বিনোদবিহারী ও সত্যজিৎ বসে আছেন পিঠে শীতের রোদ নিয়ে, নিবিষ্ট হয়ে কথা বলছেন, সে বার শান্তিনিকেতনের এমন স্মৃতি মনের মণিকোঠায় তো বটেই, কোনও কোনও মুহূর্তও ক্যামেরায় তুলে রেখেছিলেন নিমাইবাবু। যেমন, কলাভবনে নিজ শিল্পকর্ম স্পর্শ করে দাঁড়িয়ে বিনোদবিহারী, অনতিদূরে সত্যজিৎ স্থিরচিত্রের ক্যামেরায় ফ্রেমবন্দি করছেন তাঁর শিক্ষককে।
নিমাই ঘোষের তোলা স্থিরচিত্রাবলি ষাটের দশকের শেষ থেকে সত্যজিতের কর্মময় জীবনের ইতিহাস বুনে গিয়েছে নব্বইয়ের দশকের গোড়ায় তাঁর প্রয়াণ পর্যন্ত, চিনিয়ে দিয়েছে তাঁর শিল্পনির্মাণের জাদু: “স্ক্রিপ্ট লেখা থেকে শুরু করে ফিল্ম হয়ে ওঠা... মানিকদাকে দেখেছি এই প্রতিটি পর্বেই— কী নিবিষ্ট মনে এক ধাপ থেকে আরেক ধাপে তিনি পৌঁছচ্ছেন। আমার ক্যামেরা সেই প্রতিটি পর্যায়কে ধরে রেখেছে,” জানিয়েছেন নিমাইবাবু। অঁরি কার্তিয়ে-ব্রেসঁ তাঁকে বলেছিলেন সত্যজিতের ‘ফোটো-বায়োগ্রাফার’, লিখেছিলেন: সত্যজিৎ রায়ের মতো ‘জায়ান্ট অব সিনেমা’র কাছে পৌঁছে দিয়েছেন নিমাই ঘোষই, “থ্রু হিজ ভিস্যুয়াল গিফ্ট, হি অ্যালাওজ় আস টু বি ইন্টিমেট উইথ ফিল্ম-মেকিং”। প্যারিসে ব্রেসঁ-র সঙ্গে দেখা হওয়ার কয়েক দশক আগে থেকেই তাঁর আলোকচিত্রে আলোছায়ার সূক্ষ্ম ব্যঞ্জনা নিয়ে মেতে থাকতেন নিমাইবাবু; স্টুডিয়ো রেনেসাঁসের ভূপেন্দ্রকুমার সান্যাল, যাঁকে মেজদা বলে ডাকতেন, তাঁর কাছেই ব্রেসঁ সম্বন্ধে পাঠ পেতেন: “ব্রেসঁ কীভাবে ছবি তোলেন, কীভাবে লাইটটা ধরেন সেগুলো মেজদা আমাকে শিখিয়েছেন। তখন কিছু কিছু ম্যাগাজিন-বইপত্তর আসত, যেগুলো সচরাচর পাওয়াই যেত না... উনি সেগুলো আমাকে দেখাতেন। মানিকদা ব্রেসঁ'র খুব ভক্ত ছিলেন।”
পাঁচ বছর হল প্রয়াত হয়েছেন নিমাই ঘোষ। তাঁর আলোকচিত্র এ শহরের ধারাবাহিক শিল্পচর্চার অচ্ছেদ্য অঙ্গ, স্বাধীনতা পরবর্তী এ-বাংলার যে সংস্কৃতি আন্তর্জাতিক স্তরে পৌঁছেছিল তার অংশীদার। আত্মবিস্মৃত বাঙালিকে ঐহিত্যের পুনরাবিষ্কারে শামিল করতে দিল্লি আর্ট গ্যালারি (ডিএজি) আয়োজন করেছে ‘লাইট অ্যান্ড শ্যাডো: সত্যজিৎ রায় থ্রু নিমাই ঘোষ’স লেন্স’, কর্মমগ্ন সত্যজিৎকে নিয়ে নিমাইবাবুর প্রায় দেড়শো আলোকচিত্রের প্রদর্শনী। গতকাল বিকেলে শুরু হল আলিপুর মিউজ়িয়মে ধৃতিমান চট্টোপাধ্যায় ও রুদ্রাংশু মুখোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে। চলবে ১৩ সেপ্টেম্বর অবধি।
২৪ জুলাই
শ্রাবণের জলভারাবনত মেঘ মনে করিয়ে দিচ্ছে, এসে গেল আর একটি ২৪ জুলাই, উত্তমকুমারের (ছবি) প্রয়াণদিন। সময়, প্রযুক্তি, মূল্যবোধের পরিবর্তন-বিবর্তনের পথ বেয়ে বাংলা সিনেমার জগৎ পাল্টেছে চোখের সামনে, কিন্তু মহানায়কের মহিমা অম্লান আজও। উত্তমকুমার প্রয়াণবার্ষিকী স্মারক সাংস্কৃতিক কমিটি প্রতি বছর তাঁর জন্মদিন (৩ সেপ্টেম্বর) ও প্রয়াণদিনে আয়োজন করে নানা অনুষ্ঠান, এ বছরও ব্যতিক্রম নয়। উত্তম মঞ্চে আগামী বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় একত্র হবেন শিল্পী গায়ক অভিনেতৃ-সহ গুণিজন; গানে কথায় স্মরণ করবেন মহানায়ককে। এ বছর বিশিষ্ট অভিনেত্রী শকুন্তলা বড়ুয়া ভূষিত হবেন উত্তম স্মৃতি সম্মানে। মহানায়কের সময়ে চলচ্চিত্র-নির্মাণের নেপথ্যে ছিলেন যে চলচ্চিত্র-কর্মীরা, এই দিনেই তাঁদেরও হাতে তুলে দেওয়া হবে স্বাস্থ্য-পরিষেবামূলক আর্থিক সহায়তা। অভিনয়-জীবনের সমান্তরালে বঙ্গীয় সিনে-জগতের কলাকুশলীদের কল্যাণে কম কাজ করেননি উত্তমকুমার, খুব খুশি হতেন নিশ্চয়ই এই উদ্যোগে।
ভেনেজ়ুয়েলার ছবি
দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ভেনেজ়ুয়েলা। একদা স্পেনের উপনিবেশ এই দেশটি বিশ শতকের মাঝামাঝি সময় থেকে পেয়েছে গণতান্ত্রিক সরকার, আশপাশের বহু দেশ যখন সামরিক বা একতন্ত্রী শাসনে ওষ্ঠাগত। ছোট্ট দেশটির ভাষা-সংস্কৃতি, শিল্প-সাহিত্যের ইতিহাসও বহুবর্ণ, সিনেমাতেও আছে নিজস্ব ছাপ। এই দেশেরই চারটি সাম্প্রতিক ছবি নিয়ে, ভারতে ভেনেজ়ুয়েলার দূতাবাসের সহযোগিতায় ছবির উৎসব আয়োজন করেছে ফোরাম ফর ফিল্ম স্টাডিজ় অ্যান্ড অ্যালায়েড আর্টস। নন্দন ৩-এ আগামী ২১-২২ জুলাই বিকেল ৩.৪৫ থেকে দেখানো হবে তারকারি দে চিভো, আলি প্রিমেরা, ট্যাঙ্গো বার ও জুলিয়া হ্যাজ় শুগার ছবিগুলি।
বাদল-মেলা
চর্চা থেকে চর্যা হয়ে উঠতে হয় থিয়েটারকে, নইলে তা মেলে না জীবন ও দর্শনে, রয়ে যায় বহিরঙ্গের জিনিস। এই সুর ও স্বর শিরোধার্য করেছে ‘গোত্রহীন দমদম’ নাট্যগোষ্ঠীর ‘বাদল মেলা’। ২০১১ অর্থাৎ বাদল সরকারের প্রয়াণের বছর থেকেই শুরু, কোভিড-অতিমারির দু’বছর ব্যাপী ছেদটুকু বাদ দিলে এ বার মেলা ছুঁল ত্রয়োদশ বর্ষ। বাদল সরকারের জন্মশতবর্ষ পূর্তির বছরে প্রতিশ্রুতি ও প্রত্যাশা দুই-ই অনেক। এ বারের বাদল মেলা ২০ জুলাই বিকেল ৫টা থেকে সল্ট লেকের ন্যাশনাল মাইম ইনস্টিটিউট-এ, রয়েছে ‘আলোর অপেরা’ আর অনিন্দ্য-শ্রাবস্তীর গান। সঙ্গে দু’টি নাটকের অভিনয়, বাদল সরকারের লেখা বীজ— গোত্রহীনের প্রযোজনায়; আর প্রজেক্ট প্রমিথিউস-এর মেটামরফোসিস: রবীন্দ্রনাথের ডাকঘর আর বাদল সরকারের বীজ, ভোমা, বাকি ইতিহাস আশ্রয়ে।
কবির জন্য
“বেরিয়ে পড়েছি সকালবেলায় কলকাতাটাকে কিনে নেব আমি।/ কিনে নেব দিন রাত্রি কিনব চিন্তাভাবনা পাঠাব দিল্লী...” কলকাতার রন্ধ্রবাসী বিষাদ আর মজ্জাগত পুলক, দুইয়েরই আধার ভাস্কর চক্রবর্তীর কবিতা। চলে গেছেন পেরিয়েছে দু’দশক, সজল বর্ষায় প্রতি বছর তাঁকে মনে রেখে যাপিত হয় একটি সন্ধ্যা। এ বছরের আয়োজন ‘প্রতিবিম্ব’, ‘ভালো বই’ ও কবির আত্মজনদের, আগামী ২৩ জুলাই বুধবার নন্দন ৩-এ, বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে। বাসবী চক্রবর্তী ও অরণি বসুর সম্পাদনায় প্রকাশ পাবে স্মরণপুস্তিকা ভাস্বর ভাস্কর (প্রকা: আখরকথা), স্মারক বক্তৃতায় পূর্বা মুখোপাধ্যায় বলবেন ভাস্কর চক্রবর্তীর ‘চিয়ারফুল পেসিমিজ়ম’ নিয়ে। দীপান্বিতা সরকার ভূষিত হবেন কবির নামাঙ্কিত স্মৃতি সম্মানে, পড়া হবে ভাস্কর চক্রবর্তীর কবিতা, গদ্যও।
আসল সত্য
আদতে সে রণথম্ভোরের বাঘিনি। বাঁ কানে মাছের আকৃতির দাগ থাকায় নাম হয়েছিল ‘মছলি’। পোশাকি নাম টি-১৬ ছাপিয়ে মছলি নামেই বন্যপ্রাণপ্রেমীদের সঙ্গে আত্মিক সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল তার, মত বন্যপ্রাণ সংক্রান্ত চিত্রনির্মাতা সুব্বাইয়া নাল্লামুথু-র। ২০১৬-য় মছলির জীবনের অন্তিম পর্ব ফিল্মবন্দি করেন ভি শান্তারাম পুরস্কারে ভূষিত এই চিত্রকার। দীর্ঘ, কষ্টসাধ্য পথ অতিক্রম করে কী ভাবে বন্যপ্রাণ ও প্রকৃতির গল্প তুলে আনতে হয় এই ঘরানার চলচ্চিত্রকারদের, সমাজমাধ্যম ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রতাপে সত্য ও কল্পনা গুলিয়ে দেওয়ার এই যুগে তা বলবেন নাল্লামুথু স্বয়ং। আজ বিড়লা অ্যাকাডেমিতে বিকেল সাড়ে ৫টায়; দেখানো হবে নাল্লামুথুর সাম্প্রতিক কাজও। ‘শের’ ও বিড়লা অ্যাকাডেমির উদ্যোগ, সঙ্গী ‘নাল্লা’জ় আর্ক’ও।
স্পন্দনের মাঝে
২০২৩-এর জানুয়ারি, অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে। তা বলে কি মনের ভিতর দিয়ে দেখা থেমে থাকে? সৃষ্টির মন ধায় সুদূরে, হাসপাতালেই ‘স্পন্দনের মাঝে’ নামে কবিতা লেখেন গণেশ হালুই: “নিস্তব্ধতায় বদ্ধ আমি/ বদ্ধ চারিদিক/ তাহার মাঝে ধ্বনিরে খুঁজি/ ধ্বনি লুকায়ে থাকে/ স্পন্দনের মাঝে।” শিল্পী গণেশ হালুইয়ের সাম্প্রতিকতম চিত্রকৃতি (ছবি) নিয়ে আজ থেকে ‘দেবভাষা বই ও শিল্পের আবাস’-এ শুরু হচ্ছে যে প্রদর্শনী, তার মুখবন্ধ এই কবিতাতেই বাঁধা, নামকরণও: ‘অ্যাট দ্য কোর অব দ্য থ্রব’। প্রদর্শিত ছবি নিয়ে প্রকাশ পাবে ছবির বই, শিল্পীর ভূমিকা-সহ ড্রয়িং-সঙ্কলনও। প্রদর্শনী ১৯ অগস্ট অবধি, ছুটির দিন বাদে রোজ দুপুর ২টো-রাত ৮টা)। ও দিকে ১৬ জুলাই থেকে নবরূপে দেবভাষা-র ওয়েবসাইটও (www.debovasha.com), বাংলার শিল্পীদের কাজ দেখা ও সংগ্রহের ঠিকানা। সমসাময়িক দশ শিল্পীর একক প্রদর্শনী চলছে সেখানে, ‘টেন আর্টিস্টস: টেন ভিস্তাজ়’।
প্রতিষ্ঠাদিবসে
৮ শ্রাবণ তারিখটি বঙ্গীয়-সাহিত্য-পরিষদের (ছবি) প্রতিষ্ঠাদিবস। শতবর্ষ পেরিয়েছে, আরও তিনটি দশকও, ১৩৩তম প্রতিষ্ঠাদিবসের উদ্যাপন আগামী ২৫ জুলাই দুপুর ৩টে থেকে, রমেশ ভবনে পরিষৎ-সভাকক্ষে। এ প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাদিবস-অভিভাষণও ঐতিহাসিক গুরুত্বের, এ বছর বক্তা বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ অধ্যাপক সুরঞ্জন দাস, বলবেন ‘ভারতবর্ষের উচ্চশিক্ষায় গান্ধীজির চিন্তাভাবনার প্রাসঙ্গিকতা’ নিয়ে। বিদ্যাচর্চার নানা দিকে গুরুত্বপূর্ণ কৃতির জন্য এই অনুষ্ঠানে সম্মানিত হন গুণিজন, এ বছর মলয়শঙ্কর ভট্টাচার্য অনিল আচার্য শিবশঙ্কর ঘোষ রজতশুভ্র মজুমদার ও প্রসেনজিৎ ঘোষ ভূষিত হবেন সম্মাননায়। ২৫ জুলাই থেকে ১০ অগস্ট পর্যন্ত (পরিষদের ছুটির দিন বাদে) পরিষৎ-প্রকাশিত বই ও পত্রিকা-প্রদর্শনীও চলবে, বই কেনায় বিশেষ ছাড়ও।
আদর্শব্রতী
তখন কলেজের ছাত্র, জড়িয়ে পড়েন বামপন্থী আন্দোলনে। ১৯৪৩-এ ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টির প্রথম পার্টি কংগ্রেসে সর্বকনিষ্ঠ প্রতিনিধি হিসাবে যোগ দেন নৃপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে নিখিল ভারত ছাত্র ফেডারেশনের রাজ্য সভাপতি, ১৯৪৯-এ পার্টি নিষিদ্ধ হলে গ্রেফতার, কারাবাস, অনশন ও মুক্তি। উজ্জ্বল কর্মজীবনও: কলকাতায় আইএসআই, বোলপুরে অ্যাগ্রো-ইকনমিক রিসার্চ সেন্টার, সেন্টার ফর স্টাডিজ় ইন সোশ্যাল সায়েন্সেস-এ গবেষক-অধ্যাপক রূপে বহু গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা-উদ্যোগে নেতৃত্ব দিয়েছেন। বামফ্রন্ট সরকার নিযুক্ত ফিনান্স কমিশনে ছিলেন উপদেষ্টা। তাঁকে নিয়ে তথ্যচিত্র করেছেন গৌতম ঘোষ; তাঁর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন শমীক বন্দ্যোপাধ্যায়, বেরোবে বই হয়ে। নবতিপর মানুষটি প্রয়াত হলেন সম্প্রতি, ২৮ জুলাই বিকেল ৪টেয় ভূপেশ ভবনে তাঁকে স্মরণ করবে কালান্তর পত্রিকা, যোশী অধিকারী ইনস্টিটিউট ও আত্মজনেরা।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)