ফাইল চিত্র।
যান চলাচলের বিকল্প রাস্তা নেই। তাই আপাতত আটকে রইল ইস্টার্ন মেট্রোপলিটন বাইপাসে অম্বেডকর সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা। বিকল্প রাস্তার ব্যবস্থা বা অন্য কোনও রাস্তা দিয়ে গাড়ি ঘুরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা যত দিন না হচ্ছে, তত দিন এই সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা নিয়ে সমস্যা থেকেই যাবে বলে কেএমডিএ কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে।এই সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য কলকাতা পুলিশের অনুমতি চাওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছে কেএমডিএ। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, রাস্তা বন্ধ করে ওই সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা সম্ভব নয়। সে ক্ষেত্রে শহরের যানবাহন চলাচলে অসুবিধা হবে। সেতুর রাস্তা বন্ধ না করে, তার বদলে সেটির নীচের রাস্তা মেরামত করে যানবাহন চলার উপযোগী করার পরেই ওই কাজ শুরু করা হবে।
কেএমডিএ-র সেতু বিশেষজ্ঞ কমিটির এক আধিকারিক জানান, সেতুর নীচের রাস্তা সারানোর জন্য ইতিমধ্যেই দরপত্র ডাকা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে যে সমীক্ষা করা হয়েছে, তাতে এই কাজের জন্য বিকল্প কোনও রাস্তা তৈরি করা সম্ভব নয়। সে ক্ষেত্রে সেতুর নীচের রাস্তাটি ব্যবহার করেই যানবাহন
চলাচলের সমস্যাটি মেটানো সম্ভব বলে মনে করছেন তাঁরা। এক আধিকারিক জানান, ওই সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য আপাতত সপ্তাহখানেক সময় চাওয়া হয়েছে। ওই সাত দিন সেতুতে যানবাহন উঠতে পারবে না।
কেএমডিএ সূত্রের খবর, বাইপাসের উপরে সায়েন্স সিটির কাছে তৃণমূল Aভবন পর্যন্ত বিস্তৃত এই সেতু প্রায় ৬০০ মিটার দীর্ঘ। বাইপাসে যানজট কমাতে এই সেতু তৈরি করা হয়েছিল বামফ্রন্ট সরকারের আমলে। তার পর থেকে এই সেতুর কোনও স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়নি। মাঝেরহাট সেতু ভেঙে পড়ার পরে শহর এবং শহরতলিতে কেএমডিএ-র অধীনে থাকা ১৫টি উড়ালপুল এবং সেতু স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার জন্য চিহ্নিত করা হয়েছিল। কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ জানান, প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায় মিলিয়ে আপাতত ১৪টি সেতু ও উড়ালপুলের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। অর্থ বরাদ্দ হলে স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী সেগুলির প্রয়োজনীয় মেরামতি করা হবে।অন্য দিকে, পাটুলির কাছে বাঘা যতীন উড়ালপুলের মেরামতির জন্য প্রায় ৪৪ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে রাজ্য সরকার। রাস্তা বন্ধ না করে ওই উড়ালপুলের মেরামতির পরিকল্পনা করা হয়েছে। আগামী ডিসেম্বরেই কাজ শুরু করা হবে বলে কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ আগেই জানিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy