— নিজস্ব চিত্র।
সপ্তাহের প্রথম পাঁচ দিনে পাঁচ বার!
প্রথম চার দিন মেট্রো আটকে গেল লাইনে ঝাঁপ দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে। আর শুক্রবার সকালে যাত্রিবোঝাই একটি বাতানুকূল রেকে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেওয়ায় মাঝপথে আটকে গেল মেট্রো। এ দিনও এই ঘটনায় যাত্রীরা চূড়ান্ত দুর্ভোগে পড়লেন।
যাত্রীদের বক্তব্য, ঘটনার সূত্রপাত ট্রেন ছাড়ার শুরুতেই। কবি সুভাষ থেকে মেট্রোটি ছাড়ার পরেই তাতে গোলমাল ধরা পড়ে। প্রত্যেকটি স্টেশনেই দরজা বন্ধ না হওয়ায় অনেক বেশি সময় ধরে দাঁড় করিয়ে রাখা হচ্ছিল ট্রেনটিকে। শেষ পর্ষন্ত রবীন্দ্রসদন স্টেশনে ট্রেনটি পৌঁছনোর পরে দরজা আর খোলা যাচ্ছিল না। আর সেটাকে কেন্দ্র করেই যাত্রীদের ধৈর্য্যের বাঁধ ভেঙে যায়। অনেক ক্ষণ পরে ট্রেনটির দরজা খুলতে পারেন মোটরম্যান। আর তার পরেই রবীন্দ্রসদন স্টেশনে গোলমাল শুরু হয়ে যায়।
দেখুন ভিডিও:
ঠিক কী ঘটেছিল রবীন্দ্রসদনে?
এমনিতেই মাঝপথে ট্রেন আটকে যাওয়ায় যাত্রীরা ক্ষেপে ছিলেন। তারপরে এক বার মাইকে ট্রেন খালি দেওয়ার জন্য ঘোষণা, পর ক্ষণেই যাত্রীরা নামতে না নামতেই ট্রেন ছেড়ে দেওয়ায় কয়েকশো যাত্রী মোটরম্যানের দিকে তেড়ে যান। এর মধ্যেই উত্তেজিত যাত্রীদের অনেকে স্টেশনমাস্টারের ঘরে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান। তত ক্ষণে আবার আর এক দল যাত্রী প্ল্যাটফর্মে রেলসুরক্ষা বাহিনীর এক জওয়ানকে তাড়া করে মারধর শুরু করে দেন। অবস্থা ক্রমশ খারাপ হচ্ছে দেখে মেট্রো কর্মীরাই এসে অবস্থার সামাল দেন। সব মিলিয়ে অফিসের ব্যস্ত সময়ে এই ঘটনায় এ দিন সকালেও প্রায় এক ঘণ্টা মেট্রো চলাচলে বিঘ্ন ঘটেছে।
কী বলছেন মেট্রো কতৃর্পক্ষ?
কবি সুভাষ থেকে সকাল ৯টা ৫৮ মিনিটে মেট্রোটি ছাড়ার পরেই তাতে গোলমাল ধরা পরে। মোটরম্যান কন্ট্রোলে জানান, অত্যধিক ভিড়ে মেট্রোটির দরজা বন্ধ করা যাচ্ছে না। তার পরে ক্ষুদিরাম স্টেশনে ট্রেনটি থেকে যাত্রীদের নেমে যেতে বলা হয়। কিন্তু যাত্রীরা তাতে রাজি হননি। ফলে ওই বোঝাই ভিড় নিয়েই মেট্রো ফের চলা শুরু করে। পরের স্টেশনে ট্রেনটি ঢুকতেই তাতে আরও ভিড় ঝাঁপিয়ে পড়ে। এর পরে আর কোনও ভাবেই দরজা বন্ধ করা যাচ্ছিল না। উল্টে অতিরিক্ত ভিড়ে বাতানুকূল ব্যবস্থাও কাজ করছিল না। ওই অবস্থাতেই কোনও মতে মেট্রোটি রবীন্দ্রসদনে পৌঁছয়। তখন আর দরজা খোলাই যাচ্ছিল না। তাতেই গোলমাল শুরু হয়ে যায়।
মেট্রোর জনসংযোগ আধিকারিক ইন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, প্রথমেই যদি যাত্রীদের একটা অংশ নেমে গিয়ে পরের মেট্রোতে আসন গ্রহণ করতেন তা হলে এই দরজা খোলা-বন্ধের গোলমালটি এড়ানো যেত। কিন্তু অফিসের ব্যস্ত সময়ে যাত্রীরা ট্রেন থেকে নামতে না চাওয়ায় মোটরম্যানের আর কিছু করার ছিল না। রবীন্দ্রসদনে অবশেষে যাত্রীরা নেমে যাওয়ার পরে খালি ট্রেনটিকে নোয়াপাড়া কারশেডে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে আরপিএফকে মারধর করার অভিযোগে পুলিশের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে মেট্রো।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy