Advertisement
E-Paper

শহরে ফের সোয়াইন ফ্লু

সোয়াইন ফ্লু-র উপসর্গ নিয়ে গত কয়েক দিনে শহরের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে রোগী ভর্তি শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই একাধিক রোগীর রক্তের রিপোর্ট পজিটিভ-ও পাওয়া গিয়েছে।

সোমা মুখোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ২৬ এপ্রিল ২০১৭ ০১:৪৫

সোয়াইন ফ্লু-র উপসর্গ নিয়ে গত কয়েক দিনে শহরের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে রোগী ভর্তি শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই একাধিক রোগীর রক্তের রিপোর্ট পজিটিভ-ও পাওয়া গিয়েছে। যদিও স্বাস্থ্য ভবনের তরফে এখনই এ নিয়ে সচেতনতা প্রসারের কোনও উদ্যোগ নেই। কলকাতার পাশাপাশি জেলাগুলির পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে দফতরের অন্দরে কিছুটা তৎপরতা শুরু হলেও সরকারি ভাবে সাধারণ মানুষকে সতর্ক করতে কোনও প্রয়াস এখনও শুরু হয়নি।

২০০৯ সালের পরে ২০১৫ সালে জাঁকিয়ে বসেছিল সোয়াইন ফ্লু। কয়েকশো আক্রান্তের পাশাপাশি বেশ কয়েক জনের মৃত্যুও হয়েছিল। রক্ত পরীক্ষার ব্যবস্থা ছিল মাত্র হাতে গোনা কয়েকটি জায়গায়। তাতে পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হয়ে দাঁড়িয়েছিল সে বার। এ বারও শুরুতেই তৎপরতা দেখা না দিলে পরিস্থিতি ফের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে বলে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের। তাঁদের বক্তব্য, প্রত্যেক বারই সোয়াইন ফ্লু-র নতুন কিছু উপসর্গ পাচ্ছেন তাঁরা। যা আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। যেমন, ২০১৫ সালে জ্বরের পাশাপাশি নাক-মুখ থেকে রক্ত বেরোনোর উপসর্গটা প্রধান হয়ে উঠেছিল অনেকের। কাশির সঙ্গে রক্ত পড়ছিল বহু রোগীর। এ ছাড়া, শরীরে র‌্যাশও বেরোচ্ছিল অনেকের। জিনের পরিবর্তনের কারণেই এমনটা হয়েছিল বলে মনে করছিলেন বিশেষজ্ঞেরা। কারণ, তাঁদের মতে, চেনা শত্রুর সঙ্গে লড়াই করা সহজ, অচেনা শত্রুর সঙ্গে লড়া বেশ কঠিন। এ বারে অবশ্য সোয়াইন ফ্লু এখনও চেনা উপসর্গের মধ্যেই রয়েছে।

তবে ক্রিটিক্যাল কেয়ার বিশেষজ্ঞেরা এ-ও বলছেন, সোয়াইন ফ্লু নিয়ে অযথা আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। কারণ, এর মারণ-ক্ষমতা বেশি নয়। তবে অন্তঃসত্ত্বা মহিলা, বৃদ্ধ বা শিশুদের ক্ষেত্রে ঝুঁকি তুলনামূলক ভাবে বেশি। যাঁরা দীর্ঘদিন স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ খাচ্ছেন, তাঁদের এই ফ্লু হলে বাড়তি সতর্কতা নিতে হবে। শুধু জ্বর, গা-হাত পায়ে ব্যথা এবং ডায়েরিয়ার উপসর্গ নিয়ে যে সোয়াইন ফ্লু হচ্ছে, সেগুলির চেয়ে শ্বাসকষ্ট
থাকা সোয়াইন ফ্লু অনেক গুরুতর। এ ক্ষেত্রে শুরুতেই হাসপাতালে ভর্তি করা জরুরি।

স্বাস্থ্য-অধিকর্তা বিশ্বরঞ্জন শতপথী অবশ্য দাবি করেছেন, এখনই আতঙ্কিত হওয়ার মতো কোনও পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। তিনি বলেন, ‘‘প্রতি বছরই বিচ্ছিন্ন ভাবে কিছু মানুষ আক্রান্ত হন। এ বারও হচ্ছেন।’’ রাজ্যে সোয়াইন ফ্লু পরীক্ষার পরিকাঠামো কী ? তিনি জানান, সরকারি ভাবে কলকাতার স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিন এবং নাইসেড-এ পরীক্ষা হয়। এ ছাড়া শহরের তিনটি বেসরকারি হাসপাতালে এই পরিকাঠামো রয়েছে।

Swine Flu
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy