পাড়ার এক দাদার কোচিং ক্লাসে ভর্তি হয়েছিলেন ক্লাস নাইনের এক ছাত্রী। কিন্তু, সেই ‘দাদা’র বিরুদ্ধেই উঠল ওই ছাত্রীকে যৌন নিগ্রহ করার অভিযোগ।
ওই ছাত্রীর পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, পাড়ার দাদা হিসাবে ওই কিশোরীর সঙ্গে আশিস সাউ নামে এক যুবকের ছোট থেকেই আলাপ। সম্প্রতি দুই বন্ধুর সঙ্গে এলাকায় কোচিং সেন্টার খুলেছেন আশিস। এলাকায় শিক্ষক হিসাবে তাঁর বেশ নামডাক। ‘আশিস স্যারের কোচিং’-এ ভর্তি হলে ছাত্রছাত্রীরা ভাল রেজাল্ট করে বলেও সুনাম রয়েছে। সে কথা ভেবেই প্রাইভেট টিউশনের জন্য ওই কোচিং-এ ভর্তি হয়েছিল বছর পনেরোর ওই কিশোরী।
যে হেতু পাড়ার মেয়ে, তাই ভর্তি হওয়ার পর থেকেই বিশেষ যত্ন সহকারেই নাকি পড়াতেন আশিস। কিন্তু, বছর পঁচিশের ওই যুবক এমন একটা কাণ্ড ঘটিয়ে বসবেন তা ভাবতেও পারেননি ওই ছাত্রীর বাবা-মা। তাঁদের অভিযোগ, প্রতি দিনের মতো সোমবার রাতেও আশিসের কাছে পড়তে গিয়েছিল ওই ছাত্রী। অভিযোগ, সে দিন অন্য কোনও ছাত্রছাত্রী ছিল না। তখনই ঘটনাটি ঘটে। যদিও ওই দিন বাড়ি ফিরে বাবা-মাকে কিছুই জানায়নি সে। কিন্তু মেয়ের আচরণ অস্বাভাবিক দেখে সন্দেহ হয় বাবা-মায়ের। অবশেষে সে বাবা-মাকে বিষয়টি জানায়। এর পরেই ক্ষোভে ফেটে পড়ে ছাত্রীর পরিবার। কোচিং সেন্টারে গিয়ে ভাঙচুর করেন ছাত্রীর আত্মীয় এবং পাড়ার লোকজন। বেধড়ক মারধর করা হয় অভিযুক্ত শিক্ষককেও।
আরও পড়ুন: সাতসকালে কলকাতায় পুলিশের সামনেই ট্যাক্সিতে উঠে ছিনতাই!
আরও পড়ুন: পুলিশের হাতে জাল পাসপোর্ট চক্রের পাণ্ডা
অভিযুক্ত গৃহশিক্ষক বাঘাযতীনের আজাদগড়ের বাসিন্দা। ওই ঘটনায় যাদবপুর থানার পুলিশ পকসো (প্রোটেকশন অফ চিলড্রেন ফ্রম সেক্সুয়াল অফেসেন্স) আইনে অভিযুক্ত আশিস সাউকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে।