দীপিকা দাস।
এক ছাত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেফতার হল এক যুবক। বৃহস্পতিবার মহেশতলা থেকে সুজয় সর্দার নামে ওই যুবককে ধরে পুলিশ। পুলিশ জানায়, গত মঙ্গলবার থেকে নিখোঁজ ছিল মহেশতলার বেগড় খাল এলাকার বাসিন্দা দীপিকা দাস (১৭) নামে ওই ছাত্রী। বুধবার রাতে আশুতি এলাকা থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার হয়। পুলিশের অনুমান, দীপিকাকে খুন করে ঝোপে ফেলে দেওয়া হয়। প্রেমঘটিত কারণেই ওই খুন বলে জানায় পুলিশ।
পুলিশ জানায়, পড়শি এক যুবকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা ছিল দ্বাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রীর। সম্প্রতি ওই যুবককে এড়িয়ে চলা শুরু করেছিল সে। পুলিশের অনুমান, সেই আক্রোশেই এই খুন। পুলিশ জেনেছে, মঙ্গলবার ম্যান্টনে পড়তে যাওয়ার পথে দীপিকাকে রাস্তায় আটকায় ওই যুবক। দু’জনের ঝামেলা হয়। ওই ছাত্রীর সঙ্গে কয়েক জন বান্ধবীও ছিল। তারা পড়তে চলে যায়। বান্ধবীদের কথায়, দীপিকা পড়তে আসেনি। রাতেও বাড়ি না ফেরায় দীপিকার মাসি ওই বান্ধবীদের বাড়িতে খোঁজ করেন। খোঁজ নেন পড়শি ওই যুবককে বাড়িতেও। সে তখন বাড়ি ছিল না। এক তদন্তকারীর কথায়, বুধবার সন্ধ্যায় আশুতি এলাকায় এক কিশোরীর মৃতদেহ পড়ে রয়েছে বলে থানায় খবর আসে। শনাক্ত হলে দেখা যায় তা দীপিকার মৃতদেহ।
দীপিকার বান্ধবীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জেনেছে, মঙ্গলবার তার সঙ্গে ওই যুবককের ঝগড়ার সময়ে সুজয় সর্দার নামে এক জন সেখানে ছিল। আটক করা হয় সুজয়কে। জেরায় সুজয় জানায়, ওই ছাত্রীকে মোটরবাইকে চাপিয়ে নির্জন এলাকায় নিয়ে গিয়ে তার গলা টিপে ও মাথায় ইট দিয়ে মেরে খুন করেছে পড়শি ওই যুবক। তখন সে-ও সেখানে ছিল। এর পরেই গ্রেফতার করা হয় সুজয়কে। মূল অভিযুক্ত পড়শি ওই যুবকের খোঁজ চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy