Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪

২০ হাজার বর্গফুট জুড়ে অস্থায়ী পার্কিং

কলকাতা পুলিশ জানিয়েছে, স্টেডিয়াম থেকে বেরিয়ে গাড়িগুলি ইএম বাইপাস হয়ে ঢুকবে সুভাষ সরোবরে। ওই রাস্তার সামনেই থাকবে পার্কিংয়ের ব্যবস্থা। এর পরে গাড়ি নিয়ে বেরনোর সময়ে ব্যবহার করা হবে নারকেলডাঙা রোড।

জোরকদমে: সুভাষ সরোবরের এই জায়গাতেই তৈরি হবে অস্থায়ী পার্কিং। ছবি: শৌভিক দে।

জোরকদমে: সুভাষ সরোবরের এই জায়গাতেই তৈরি হবে অস্থায়ী পার্কিং। ছবি: শৌভিক দে।

জয়তী রাহা
শেষ আপডেট: ১৯ অগস্ট ২০১৭ ০৬:৩০
Share: Save:

আর মাত্র পঞ্চাশ দিন। শহরে বসতে চলেছে যুব বিশ্বকাপ ফুটবলের আসর। এত বড় মাপের প্রতিযোগিতা ফুটবল পাগল কলকাতায় শেষ কবে হয়েছিল মনে করতে পারছেন না ক্রীড়া প্রেমিকেরা। তাই অনূর্ধ্ব ১৭ এই ফুটবল প্রতিযোগিতা ঘিরে সাজ সাজ রব পড়ে গিয়েছে।

সে কাজেরই একটি পর্যায় হিসেবে সুভাষ সরোবরে তৈরি হতে চলেছে এক হাজার গাড়ি রাখার মতো জায়গা। প্রতিযোগিতা ঘিরে শহরে আসা দেশি-বিদেশি অতিথি, কর্মকর্তা এবং দর্শকদের নিরাপত্তা নিয়ে আঁটোসাঁটো পদক্ষেপ করার চিন্তা-ভাবনা শুরু হয়েছে। পাশাপাশি, প্রতিযোগিতা চলাকালীন শহরের রাস্তায় যে বাড়তি গাড়ি চলবে, সেগুলিকে কী ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে তা নিয়েও ভাবছে পুলিশ প্রশাসন।

ক্রীড়া দফতর সূত্রের খবর, খেলোয়াড়, কর্মকর্তা-সহ খেলার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ব্যক্তিদের গাড়ি রাখা থাকবে সল্টলেকের যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে। কিন্তু দেশি-বিদেশি অভ্যাগত-সহ অসংখ্য দর্শকদের গাড়ি রাখার জায়গা ওখানে হবে না। সে ক্ষেত্রে ভরসা স্টেডিয়াম থেকে গাড়িতে প্রায় সাত মিনিট দূরের সুভাষ সরোবর। ইএম বাইপাস এবং নারকেলডাঙা রোডের উপরে অবস্থিত এই সুভাষ সরোবর।

কলকাতা পুলিশ জানিয়েছে, স্টেডিয়াম থেকে বেরিয়ে গাড়িগুলি ইএম বাইপাস হয়ে ঢুকবে সুভাষ সরোবরে। ওই রাস্তার সামনেই থাকবে পার্কিংয়ের ব্যবস্থা। এর পরে গাড়ি নিয়ে বেরনোর সময়ে ব্যবহার করা হবে নারকেলডাঙা রোড।

পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের সঙ্গে ইতিমধ্যেই রাজ্য ক্রীড়া দফতর, কলকাতা পুলিশ এবং কলকাতা পুরসভার বৈঠক হয়েছে। যৌথ পরিদর্শনও হয়ে গিয়েছে। এই কাজ করছে কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (কেএমডিএ)।

কেএমডিএ সূত্রের খবর, ধাপে ধাপে সুভাষ সরোবরের সৌন্দর্যায়ন চলছিলই। তবে নারকেলডাঙা সংলগ্ন সরোবরের অংশে মেট্রো রেলের কাজ চলায় পরিত্যক্ত হয়েছিল ওই দিক। মেট্রো রেলের ব্রিজের নীচের ওই অংশেই ২০,০০০ বর্গফুট জুড়ে হবে এই পার্কিং। পার্কিংয়ের জায়গায় পেভার ব্লক বসবে। সরোবরের ভিতরে রাস্তায়ও বিটুমিন হচ্ছে।

ওই জায়গায় হাই-মাস্ট আলো লাগানো হবে। পার্কিং করতে আসা মানুষের সুবিধায় দশ-বারোটি বায়ো-টয়লেট, পর্যাপ্ত পানীয় জল থাকবে। পার্কিং-এর আশপাশের খোলা অংশে গাছ এবং ঘাস লাগিয়ে সবুজায়ন করা হবে। তবে প্রতিযোগিতা শেষে ভেঙে দেওয়া হবে ওই পার্কিং।

পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর সূত্রের খবর, পার্কিংয়ের জায়গা ও বেশ কিছু পরিকাঠামো করতে এগারো কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। কাজ শুরুও হয়ে গিয়েছে। কাজ শেষের সময়সীমা ধার্য হয়েছে ১৫ সেপ্টেম্বর। তাই যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে কাজ চলবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE