—ফাইল চিত্র।
চলতি সপ্তাহে বন্ধ থাকবে কাশী মিত্র মহাশ্মশানের বৈদ্যুতিক চুল্লি। গত রবিবার থেকেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে উত্তর কলকাতার এই শ্মশানের চুল্লিটি। সম্প্রতি বিজ্ঞপ্তি জারি করে সে কথা জানিয়েছিল কলকাতা পুরসভা। কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগ কলকাতার শ্মশানগুলির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে। মাত্র একটি বৈদ্যুতিক চুল্লি নিয়ে চলে এই মহাশ্মশানটি। যদিও, বিকল্প হিসাবে কাঠের চুল্লিও রয়েছে এই শ্মশানে। তবে শ্মশানযাত্রীদের শবদাহ করার ক্ষেত্রে বেশি ঝোঁক বৈদ্যুতিক চুল্লির দিকেই। উত্তর কলকাতা ও শহরতলির বড় অংশের শবদাহ হয় এই শ্মশানেই। তাই অনেক সময় বাড়তি চাপও সহ্য করতে হয়। তাতেই কাশী মিত্র ঘাটের বৈদ্যুতিক চুল্লিটির সংস্কার জরুরি হয়ে পড়েছে। যে কারণে ১৬-২৩ জুন কলকাতা পুরসভার তরফে শ্মশানের বৈদ্যুতিক চুল্লিটি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
কলকাতা পুরসভার একটি সূত্র জানাচ্ছে, কাশী মিত্র শ্মশানে আরও একটি বৈদ্যুতিক চুল্লির নির্মাণ ও সংস্কারের অনুমতি চেয়ে আবেদন করা হয়েছিল কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে। কিন্তু, দীর্ঘ দিন অপেক্ষা করা সত্ত্বেও সেই অনুমতি মেলেনি। তাই বাধ্য হয়েই এ বার শ্মশান বন্ধ রেখে একটি মাত্র বৈদ্যুতিক চুল্লির সংস্কার করা হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে ডেপুটি মেয়র তথা মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) অতীন ঘোষ বলেন, ‘‘আমরা ২০১০ সাল থেকে কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে শ্মশান সংস্কার ও অতিরিক্ত বৈদ্যুতিক চুল্লি নির্মাণের জন্য আবেদন করেছিলাম। কিন্তু সেখান থেকে আমাদের আবেদনের কোনও উত্তর আসেনি। তাই বাধ্য হয়েই আমরা শ্মশান বন্ধ রেখে তার সংস্কারে উদ্যোগী হয়েছি।’’ উল্লেখ্য, যে হেতু উত্তর কলকাতা ও শহরতলির বহু শবদেহ এই শ্মশানেই দাহ হয়, তাই কাশী মিত্র ঘাটের উপর চাপ দিন দিন বাড়ছে। তাই শ্মশানের সম্প্রসারণ জরুরি হয়ে পড়েছিল। কিন্তু সম্প্রসারণের অনুমতি না মেলায় বাধ্য হয়েই একটি মাত্র চুল্লিকেই সংস্কার করে কাজ চালানোর চেষ্টা করছে কলকাতা পুরসভা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy