Advertisement
৩০ মার্চ ২০২৩
Covid -19

করোনা পরিস্থিতির দিকে নজর, চিকিৎসা নিয়ে প্রশিক্ষণ

গত বছর অক্সিজেন থেরাপি নিয়ে একটি ভিডিয়ো তৈরি করেছিল রাজ্য় স্বাস্থ্য দফতর। প্রয়োজনে আগের ভেন্টিলেশন যন্ত্র ফের ব্যবহারযোগ্য করার পদ্ধতি ও চিকিৎসায় নতুন ওষুধ ব্যবহার নিয়ে আলোচনা হয়।

রাজ্যে ইতিমধ্যেই চার জনের দেহে বিএফ.৭ ভ্যারিয়েন্টের অস্তিত্ব মিলেছে। শেষ ১০ দিনের পরিসংখ্যান বলছে, সংক্রমণের হার ১ শতাংশের উপরে ওঠেনি।

রাজ্যে ইতিমধ্যেই চার জনের দেহে বিএফ.৭ ভ্যারিয়েন্টের অস্তিত্ব মিলেছে। শেষ ১০ দিনের পরিসংখ্যান বলছে, সংক্রমণের হার ১ শতাংশের উপরে ওঠেনি। প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ জানুয়ারি ২০২৩ ০৭:১৭
Share: Save:

রোগীকে অক্সিজেন দেওয়ার সময়ে সিলিন্ডার বা পাইপলাইনের সঙ্গে যুক্ত বোতলে (হিউমিডিফায়ার) জলের বুদবুদ দেখা যায়। মঙ্গলবার করোনা মোকাবিলা সংক্রান্ত একটি প্রশিক্ষণ শিবিরে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ক্রিটিক্যাল কেয়ারের প্রধান চিকিৎসক সুগত দাশগুপ্ত জানালেন, চেনা ওই পদ্ধতির কোনও প্রয়োজন নেই। বরং বোতলটি ফাঁকা রাখার কথা বলেন তিনি। তিনি অবশ্য এ-ও জানান, ভেন্টিলেশন বা হাই-ফ্লো ন্যাজ়াল ক্যানুলা ব্যবহারের সময়ে জল থাকা প্রয়োজন। তবে সেটি গরম জল হতে হবে।

Advertisement

সুগত বলেন, ‘‘এটা বৈজ্ঞানিক ভাবে প্রমাণিত যে, অক্সিজেন থেরাপির সঙ্গে ঠান্ডা জলের সম্পর্ক নেই। জল ব্যবহার করা হয় আর্দ্রতা বজায় রাখতে। কিন্তু রোগীর শ্বাসনালি স্বাভাবিক থাকলে আর্দ্রতা বজায় রাখার (হিউমিডিফিকেশন) জন্য জলের মাধ্যমে অক্সিজেন দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। বরং ঠান্ডা জল ব্যবহার করলে সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কা থাকে।’’ এ দিনের প্রশিক্ষণে রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজ, জেলা, মহকুমা, সুপারস্পেশ্যালিটি, ব্লক স্তর মিলিয়ে ৯২টি হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স, মেডিক্যাল টেকনোলজিস্টদের সামনে এই পদ্ধতির কথা তুলে ধরা হয়।

রাজ্যে করোনা এখনও ফের মাথাচাড়া দেয়নি। চিন-সহ অন্যান্য দেশে বিএফ.৭ ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ দ্রুত বাড়ায় সব রাজ্যকে সতর্ক ও প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। রাজ্যে ইতিমধ্যেই চার জনের দেহে ওই ভ্যারিয়েন্টের অস্তিত্ব মিলেছে। কিন্তু তা থেকে যে বহু জন সংক্রমিত হয়েছেন, তেমনটা নয়। শেষ ১০ দিনের পরিসংখ্যান বলছে, সংক্রমণের হার ১ শতাংশের উপরে ওঠেনি। দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা দুই থেকে সাতের মধ্যে। তবু আগাম প্রস্তুতিতে খামতি রাখতে চাইছেন না স্বাস্থ্যকর্তারা। তাই এ দিন ওই সব হাসপাতালের ক্রিটিক্যাল কেয়ার, এইচডিইউ-এর মেডিক্যাল অফিসার এবং জেনারেল মেডিসিন, অ্যানাস্থেশিয়া, রেসপিরেটরি মেডিসিন, বক্ষরোগ ও ট্রপিক্যাল মেডিসিনের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, যাঁরা আগে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন, তাঁদের ফের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। অক্সিজেন থেরাপি, নন-ইনভেসিভ রেসপিরেটরি সাপোর্ট সম্পর্কে বলেন সুগত। কোভিডের অন্যান্য চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে বলেন পিজি-রশিক্ষক-চিকিৎসক যোগীরাজ রায় ও শান্তশীল পাইন।

গত বছর অক্সিজেন থেরাপি নিয়ে একটি ভিডিয়ো তৈরি করেছিল রাজ্য় স্বাস্থ্য দফতর। সেটি এ দিন দেখানো হয়। প্রয়োজনে আগের ভেন্টিলেশন যন্ত্র ফের ব্যবহারযোগ্য করার পদ্ধতি ও চিকিৎসায় নতুন ওষুধ ব্যবহার নিয়ে আলোচনা হয়। স্বাস্থ্যকর্তাদের কথায়, ‘‘প্রশিক্ষণ নিয়ে এঁরা অন্যদের শেখাবেন। যাতে আপৎকালীন পরিস্থিতি সামলাতে কোনও রকম অসুবিধা না হয়।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE
Popup Close
Something isn't right! Please refresh.