চার বছর আগে, ২০২১-এ শতবর্ষ পূর্ণ হয়েছে শিল্পী সোমনাথ হোরের। আর এ বছর শতবর্ষ স্পর্শ করছেন শিল্পী রেবা হোর। এই দু’জনেরই জীবন ও কাজ ‘শিল্পীদম্পতি’ শব্দটির আভিধানিক অর্থকে অতিক্রম করে এক ভিন্নতর সংবেদনবোধে উন্নীত, যেখানে তাঁদের সংসার হয়ে উঠেছিল সারা জীবনের শিল্প-কর্মশালা। দুই স্বাধীন ও স্বতন্ত্র মন, কিন্তু অবিচ্ছিন্ন তাদের আত্মিক যোগাযোগ। রেবা হোর তাঁর স্মৃতিকথা আমার কথা—কিছুমিছু-তে লিখেছিলেন, “আমাদের পরের ক্লাসে পড়ত সোমনাথ হোর। হাত খুব ভালো বলে নাম ছিল সকলের মধ্যে।... লম্বা চুল রাখত কপালের উপর। তখনকার দিনের তুলনায় খুব সাদামাটা পোশাক আর খালি পায়ে আর্টস্কুলে আসত।” সেই সময় কোনও এক ট্রাম ধর্মঘট চলছিল, টিফিনের সময় ক্লাসে একা কাজ করছিলেন রেবা, সোমনাথ এসে বলেন, “ট্রাম শ্রমিকদের জন্য কিছু সাহায্য করুন না!” রেবার সঙ্গে সামনাসামনি সেই প্রথম আলাপ।
সুপ্রিম কোর্টের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি কুলদাচরণ দাশগুপ্তের কন্যা রেবার সঙ্গে সোমনাথ হোরের সেই আলাপ পরবর্তী কালে আরও বাড়ল কলেজে ছাত্র আন্দোলন আর ছবি আঁকার কাজে। অবশেষে, ১৯৫৪ সালে তাঁদের বিবাহ, রেবা লেখেন: “পার্কসার্কাসের ছোট্ট দু-কামরা একটা বাসা (flat)-তে জীবন শুরু হল। তার মধ্যেই আমরা দু’জনে মশগুল হয়ে কাজ করার চেষ্টা করতাম। আর্থিক অনটন কিছু ছিল। কিন্তু সেটা কোনোরকম বাধা ছিল না।” সে বছরই এই শহরে যতীন মজুমদারের চৌরঙ্গি টেরেসের বাড়িতে তাঁদের যৌথ প্রদর্শনী হয়। অত্মিক বন্ধনেই সকল প্রতিকূলতা সঙ্গে নিয়ে তাঁদের সাধনাজীবনেরও এক সঙ্গে পথ চলার শুরু। বিয়ের আগেই ১৯৫১ সাল থেকে এই শহরের ডায়োসেশন স্কুলে রেবার শিক্ষকতা জীবনের সূচনা। সোমনাথও জগদ্বন্ধু ইনস্টিটিউশনে প্রথম যুগে কিছু দিন শিক্ষকতা করেছেন, তার পর ইন্ডিয়ান আর্ট কলেজ হয়ে দিল্লির পলিটেকনিক কলেজে কাজে যোগদান, সেই সূত্রে দিল্লি যাত্রা ১৯৫৮-য়। সেখানকারই এক স্কুলে রেবাও বেশ কিছু দিন শিক্ষক ছিলেন, দিল্লি পর্বেই কন্যা চন্দনার জন্ম। শেষে থিতু শান্তিনিকেতনে।
সেই ১৯৫৪ সালের পর, রেবা হোরের শতবর্ষের প্রাক্কালে চন্দনা হোরের সক্রিয় সহযোগিতায় আবার সোমনাথ-রেবা হোরের যৌথ প্রদর্শনী কলকাতায়, আজ ২৯ নভেম্বর থেকে দেবভাষা বই ও শিল্পের আবাসে। প্রায় ৮০টি ছবিতে সাজানো প্রদর্শনীর শিরোনাম, ‘রেবা-সোমনাথ: আ পাথ টুগেদার, আ পাথ অ্যাপার্ট’। দুই শিল্পীর চিত্রকৃতি তো দেখা যাবেই, সঙ্গে একের আঁকা অন্যের প্রতিকৃতি এবং বাবা ও মায়ের রেখায় কন্যারও প্রতিকৃতিচিত্র (উপরে)— বড় প্রাপ্তি। প্রদর্শিত সব ছবি নিয়ে প্রদর্শনীর শুভারম্ভে প্রকাশিত হবে একটি ছবির বই; সেই সঙ্গে ‘দেবভাষা’ থেকে গ্রন্থাকারে প্রকাশ পাবে মা-বাবাকে নিয়ে শিল্পী চন্দনা হোরের স্মৃতিগ্রন্থ জীবনবন্ধনে। প্রদর্শনী চলবে ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত, রবিবার বাদে রোজ দুপুর ২টো থেকে রাত ৮টা। মাঝের ছবিতে সোমনাথ হোরের চিত্রকৃতি।
লতা-গাথা
গানের ভুবনে তিনি সম্রাজ্ঞী। যখন যে ভাষায় গেয়েছেন, শ্রোতার মনে হয়েছে সেটাই যেন লতা মঙ্গেশকরের মাতৃভাষা। ৩৮টি ভাষায় গাওয়া, শিল্পীর সেই সব গানের তথ্য দীর্ঘ ৪২ বছর ধরে গেঁথে চলেছেন স্নেহাশিস চট্টোপাধ্যায়। ১৫ খণ্ডের লতা-গীতকোষ সেই অক্লান্ত পরিশ্রমের ফসল। এ ছাড়াও দীর্ঘদিন ধরে তিনি সংগ্রহ করছেন ভারতরত্ন শিল্পীর গাওয়া বিভিন্ন ভাষার গানের রেকর্ড, সিডি, ভিসিডি, তাঁকে নিয়ে পুস্তিকা, অগণিত নথি, পত্রপত্রিকা, ছবি, আরও নানান উপাত্ত। এই সব নিয়েই এক প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে প্রভা-খৈতান ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে, আইসিসিআর-এর যামিনী রায় গ্যালারিতে। দেখা যাবে লতা মঙ্গেশকরকে নিয়ে এইচএমভি-র প্রকাশিত নোটপ্যাড, ১৯৯৮ সালে তাঁর আমেরিকা-কানাডা সফরের ব্রোশিয়োর, ওঁকে নিয়ে তথ্যবহুল ক্যালেন্ডার (ছবি)। আর লতা-গীতকোষ তো আছেই। গতকাল শুরু হওয়া প্রদর্শনী চলবে ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত, দুপুর ৩টে থেকে রাত ৮টা।
বহুস্বর
১৩টি দেশের কবিরা এসেছেন শহরে। কলকাতা কবিতা শুনবে তাঁদের মুখে, ১৬টি ভাষায়। মহানগরের আন্তর্জাতিক কবিতা উৎসব ‘চেয়ার পোয়েট্রি ইভনিংস’ আট বছরে পড়ল, ২৮-৩০ নভেম্বর ভারতীয় ভাষা পরিষদ সভাঘর, স্যামিল্টন হোটেলের ক্লাউড ট্যাভার্ন আর গঙ্গাবক্ষে তরণীতে কবিতাযাপন। উৎসবের অঙ্গ ‘চেয়ার পোয়েট্রি বুকস’ গ্রন্থমালার কবিতাবই প্রকাশও— এ বছর বেরোচ্ছে দু’টি অনুবাদ-কবিতাবই: এফে দুয়ান-এর বেরিড হিস্ট্রি অব পভার্টি, আর ভ্লাদিমির কোরকুনভ-এর লস্ট অ্যান্ড রিকভারড লাইট। মানবিকতা যখন হয় হতমান, সমাজে বাড়ে হিংসা, তখন কবিতাও হতে পারে প্রতিরোধ, প্রতিকার— নানা ভাষা-সংস্কৃতির সেই কাব্যিক বহুস্বরই উচ্চারিত হবে এই উৎসবে।
সাহিত্যের সেতু
ভাষা-সংস্কৃতির ভিন্নতা পেরিয়ে সেতু গড়া সম্ভব হয় অনুবাদে, সাহিত্য-ভাবনা বিনিময়ের আন্তরিক সংলাপের মাধ্যমে৷ এই ভাবনা থেকেই এগিয়ে এসেছে অ্যান্টোনিম কাউন্সিল অব গ্লোবাল আর্টস অ্যান্ড লিটারেচার, সঙ্গী হয়েছে ইনস্টিটিউট অব ল্যাঙ্গুয়েজ স্টাডিজ় অ্যান্ড রিসার্চ (আইএলএসআর) ও কলকাতা সেন্টার ফর ক্রিয়েটিভিটি (কেসিসি)। আগামী কাল ৩০ নভেম্বর কেসিসি-তে তাদের সাহিত্য-উৎসব ‘রিভার অব ওয়ার্ডস’, থাকবেন লেখক অনুবাদক অঙ্কনশিল্পী নাট্যশিল্পী চলচ্চিত্রকার প্রকাশনাকর্মী, সাহিত্যপ্রেমী পাঠকও। দিনভর আলোচনা কর্মশালা বুক ক্লাব শিল্প-পারফরমেন্স’সহ নানা অনুষ্ঠান, বেরোবে তরুণদের জন্য ‘অ্যান্টোনিম কালেকশনস’-এর নতুন ইংরেজি পত্রিকা দ্য পেপার প্লেনস জার্নাল।
বই-সমবায়
বইপাড়ায় চার প্রকাশক গড়লেন যৌথ বিপণি। এত দিন আলাদা ভাবেই কাজ করছিল অনুষা, চিন্তা, দূর্বা এবং ঋতবাক চার প্রকাশনা, কাজের সাযুজ্যই তাদের নিয়ে এল এক ঠাঁইয়ে। অনুবাদের বই, বিশ্বসাহিত্য নিয়ে বেশ কিছু কাজ রয়েছে ওদের; স্পেন ফ্রান্স জার্মানি ইটালি জাপান প্যালেস্টাইন-সহ আমেরিকা, পূর্ব ইউরোপ, আফ্রিকা, ল্যাটিন আমেরিকার সাহিত্য নিয়েও। আর বাংলা সাহিত্য তো আছেই: কবিতা গল্প উপন্যাস প্রবন্ধ ভ্রমণ জীবনী সিনেমা নাটক চিত্রকলা শিশুসাহিত্য নিয়ে বইও, বাংলা-ইংরেজি দুই ভাষাতেই। বৌদ্ধিক কাজকে এক জায়গায় নিয়ে আসা, সঙ্গে মেধা ও মননের চর্চা, এই ইচ্ছাই রূপ পেয়েছে নতুন বই-বিপণিতে। ১৯/২ রাধানাথ মল্লিক লেন ঠিকানায় শুরু হচ্ছে আজ বিকেল ৪টেয়; ৮টা পর্যন্ত পাঠক-প্রকাশক আড্ডা।
কৃষ্টি-কথা
জাভা-যাত্রীর পত্র-এ রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন সেকালের ইন্দোনেশিয়ার কথা: ভারতের রামায়ণ-কাহিনির সঙ্গে তার মিল-অমিল, সংস্কৃতি-বৈশিষ্ট্য উঠে এসেছিল তাতে। এশিয়ার এই দুই দেশের সাংস্কৃতিক বিনিময়ের একটা বড় সূত্র তাদের মৌখিক কথন-ঐতিহ্য বা ‘ওরাল ট্রাডিশন’, দুই ভূখণ্ডের মানুষেরই সত্তার একটা বড় অংশ জুড়ে আছে সংস্কৃতিস্মৃতি। বাংলানাটক ডট কম ও আসোসিয়াসি ট্রাডিসি লিসান, দুই প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে সঙ্গী হয়েছে নেতাজি রিসার্চ ব্যুরো, আগামী ৪ ডিসেম্বর দুপুর ৩টেয় নেতাজি ভবনে তাদের অনুষ্ঠান ‘শেয়ারড ওয়ার্ল্ডস’। ইন্দোনেশিয়ার সংস্কৃতির নানা দিক নিয়ে বলবেন সে দেশের গবেষক ও শিল্পীরা, দেখা যাবে ইন্দোনেশিয়ার পুতুলনাচ ওয়াং পটেহি। পরে বাংলার পুতুল নিয়ে সুদীপ গুপ্ত ও শ্রীপর্ণা ভঞ্জ গুপ্তের বিশেষ আলোচনা-প্রদর্শন।
চৈনিক
বিশ্বের চিত্রকলা-ইতিহাসে নানা শৈলীর যে ঐতিহ্য, তাদের মধ্যে চিনা শৈলীর ব্রাশওয়ার্ক অতি প্রাচীন। এই ঘরানায় ব্রাশস্ট্রোকের স্বতন্ত্র ধরন কখনও মনে করায় চৈনিক ক্যালিগ্রাফি শৈলীকে; চৈনিক মতে যে কসমিক এনার্জি ‘চি’ নিসর্গময় পরিব্যাপ্ত, তা-ও ফুটে ওঠে এই ছবিতে। চিনা শৈলীর চিত্রকলার গুণগ্রাহী ছিলেন রবীন্দ্রনাথ, তাঁর ডাকে শান্তিনিকেতনে এসেছিলেন শু বেহং-এর মতো চিনা চিত্রশিল্পী; কলাভবনের কাজের ধারায় শান্তিনিকেতন তথা বাংলার নিজস্ব সংরূপের সঙ্গে পরিচয় হয় চিনা শৈলীর ব্রাশওয়ার্কের। রবীন্দ্রনাথ ও তাঁর অন্তরঙ্গ পরিকরদের প্রয়াণের পরে তত দেখা না গেলেও, এ কালে অনেক শিল্পী তাঁদের চর্চায় ফিরিয়ে এনেছেন এ ধারাটি, নন্দিতা ভট্টাচার্য যেমন। বিড়লা অ্যাকাডেমিতে ২৫-৩০ নভেম্বর চলছে তাঁর প্রদর্শনী ‘রিফ্লেকশনস অব নেচার’ (ছবি)। চিনা শৈলীর চিত্রকৃতির সঙ্গী সন্দীপ ভট্টাচার্যের বন্যপ্রাণ-আলোকচিত্রও।
রেল উৎসব
পরিবহণের ইতিহাস নিয়ে গবেষণা করেন, এমন অনেকের মত: রেলওয়ের বীজ লুকিয়ে দু’হাজার বছর আগের প্রাচীন গ্রিক সভ্যতার ‘দিয়োকোস’-এ; যে ‘ট্র্যাকওয়ে’র চিহ্ন পরে মিলেছে। ইংল্যান্ডে প্রথম বাণিজ্যিক রেলযাত্রার শুরু ১৮২৫, তার দু’শো পূর্ণ হচ্ছে এ বছর; আবার ভারতে ইলেকট্রিক ট্রেনযাত্রার শতবর্ষও। দুই ঐতিহাসিক ঘটনার উদ্যাপন করছে ‘রেল এনথুজ়িয়াস্টস’ সোসাইটি’, দেশ জুড়ে যাদের তিনশোরও বেশি সদস্য, কর্পোরেট সদস্য ভারতীয় রেলের পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব বিভাগ, মেট্রো রেলও। আগামী কাল ৩০ নভেম্বর দুপুর দেড়টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সোসাইটি-র উদ্যোগে ‘রেল উৎসব’ ইউনিভার্সিটি ইনস্টিটিউট হল-এ: থাকবে রেলওয়ে সংক্রান্ত ঐতিহ্য সাহিত্য সিনেমা ডাকটিকিট ইত্যাদি নিয়ে বক্তৃতা, আলোচনা, প্রদর্শনী, তথ্যচিত্র, পত্রিকা প্রকাশ। রেলপ্রেমীদের ডাকছেন ওঁরা এই সম্মিলনে। ছবিতে রেল-মডেল।
নাট্যসমারোহে
শীত-শুরুর শহরে একগুচ্ছ নাটক। ‘সায়ক’ নাট্যদল বাহান্ন পূর্তিতে করছে তিন দিনব্যাপী উৎসব, অ্যাকাডেমিতে ৩০ নভেম্বর-২ ডিসেম্বর তিন দিনে চারটি নাটক: প্রথম দিন দুপুর ৩টেয় ‘গেটউইং’-এর নতুন প্রযোজনা গল্পে যা নেই: উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়ের লেখা, চন্দন সেনের নির্দেশনা ও অভিনয়ে সঙ্গী মেঘনাদ ভট্টাচার্য শান্তিলাল মুখোপাধ্যায় ঋতব্রত মুখোপাধ্যায়; সন্ধেয় সুমন মুখোপাধ্যায়ের নির্দেশনা, ‘মুখোমুখি’র টিনের তলোয়ার। ১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বেঙ্গালুরু স্মরণিক-এর নাটক দৃষ্টিকন্যা, শেষ সন্ধ্যায় সায়ক-এর ধর্মাবতার। পঞ্চাশ পেরনো ‘নটধা’র নাট্যমালা আজ ও কাল মধুসূদন মঞ্চে: সম্মানিত হবেন কৌশিক সেন দেবেশ চট্টোপাধ্যায় অর্পিতা ঘোষ ও ব্রাত্য বসু; দু’দিন সকাল সাড়ে ১০টা ও বিকেল ৫টায় অভিনীত হবে আবহমান, নক্ষত্র শিকার, গৌর মোহ ও মহাভারত ২। কলকাতার বড় প্রাপ্তি, বিনোদিনীর শেষ জীবন নিয়ে এই প্রথম কোনও নাট্যপ্রযোজনা হতে চলেছে শহরে, ‘নাট্যরঙ্গ’র সেই এক বিনোদিনী। সুরজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের রচনা; নির্দেশনা ও নামভূমিকায় অনিন্দিতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৫ ডিসেম্বর সন্ধে সাড়ে ৬টায় প্রথম অভিনয় অ্যাকাডেমিতে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)