E-Paper

তরুণী-খুনে এখনও নিখোঁজ অভিযুক্ত নাবালকের বাবা

শনিবার রাফিয়া শাকিল শেখ নামে নিহত তরুণীর দেহের ময়না তদন্ত হয়। ময়না তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে খুনের ইঙ্গিত মিলেছে। তাঁর শরীরের পাঁচ জায়গায় গভীর ক্ষতচিহ্ন মিলেছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৫:৫৬
তরুণীকে নৃশংস ভাবে কুপিয়ে খুনের ঘটনার পরে ৪৮ ঘণ্টার বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও এখনও খোঁজ নেই অভিযুক্ত নাবালকের বাবার।

তরুণীকে নৃশংস ভাবে কুপিয়ে খুনের ঘটনার পরে ৪৮ ঘণ্টার বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও এখনও খোঁজ নেই অভিযুক্ত নাবালকের বাবার। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।

ই এম বাইপাসে প্রকাশ্যে এক তরুণীকে নৃশংস ভাবে কুপিয়ে খুনের ঘটনার পরে ৪৮ ঘণ্টার বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও এখনও খোঁজ নেই অভিযুক্ত নাবালকের বাবার। ঘটনার পরে বাইপাসে ওই তরুণীকে ফেলে পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে তিনি নিখোঁজ বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। তবে, এই খুনের ঘটনা আদৌ পূর্ব পরিকল্পিত কিনা, তা নিয়ে ধন্দে তদন্তকারীরা।

এই ঘটনায় শনিবার রাফিয়া শাকিল শেখ (২৪) নামে নিহত তরুণীর দেহের ময়না তদন্ত হয়। ময়না তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে খুনের ইঙ্গিত মিলেছে। তাঁর শরীরের পাঁচ জায়গায় গভীর ক্ষতচিহ্ন মিলেছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।

প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে, বছর চারেক আগে থেকে রাফিয়ার সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন ওই নাবালকের বাবা। বছরখানেক আগে এই সম্পর্কের কথা জানাজানি হয়। নাবালকের বাবা বাড়িতে এ কথা স্বীকার না করলেও এই সম্পর্ককে কেন্দ্র করেই পারিবারিক অশান্তি বাড়ছিল। ইদানীং তিনি নিজের পরিবারেরও ঠিক মতো খেয়াল রাখছিলেন না বলে অভিযোগ। ফলে, মা-বাবার সম্পর্কের অবনতির প্রভাব পড়েছিল নাবালকের উপরেও। সেই আক্রোশেই রাফিয়ার উপরে ছুরি নিয়ে ওই নাবালক চড়াও হয় বলে মনে করা হচ্ছে। বাইপাসে ওই তরুণীকে কুপিয়ে খুনের ঘটনার প্রাথমিক তদন্তে এমনই জানতে পেরেছে পুলিশ। যদিও ঘটনার পর থেকে নিখোঁজ নাবালকের বাবা, তাঁর মোবাইল ফোনও বন্ধ।

অভিযুক্ত নাবালক-সহ বাকিদের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ জানতে পেরেছে, রাফিয়ার সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়া বাবাকে হাতেনাতে ধরতেই গত বৃহস্পতিবার রাতে মা ও এক আত্মীয়ের সঙ্গে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল নাবালক। তবে, কেন সে সঙ্গে ছুরি নিয়ে গিয়েছিল, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে তদন্তকারীদের মধ্যে।

প্রাথমিক ভাবে জিজ্ঞাসাবাদে ধৃতেরা দাবি করেছে, স্রেফ ভয় দেখানোর জন্যই ছুরি নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু রাফিয়ার সঙ্গে তর্কাতর্কির সময়ে আচমকা সেই ছুরি দিয়ে তাঁকে কোপাতে শুরু করে নাবালক। এর পরে ওই তরুণীকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও বাঁচানো যায়নি। রাতেই মৃত্যু হয় তাঁর।

ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় অভিযুক্ত নাবালককে আটক করে হোমে পাঠিয়েছে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে তার মা এবং আত্মীয়কে। এক তদন্তকারী আধিকারিক বলেন, ‘‘পরিকল্পনামাফিক খুন, না কি বচসার সময়ে আচমকা এই ঘটনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই প্রত্যক্ষদর্শী থেকে শুরু করে হেফাজতে থাকা অভিযুক্তদের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

EM Bypass Murder police investigation

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy