মেয়ের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় জামাইয়ের বিরুদ্ধে নির্যাতন ও আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করলেন মা। শুক্রবার উল্টোডাঙা থানায় তিনি ওই অভিযোগ দায়ের করেছেন। যার ভিত্তিতে পুলিশ অভিযুক্ত জামাইয়ের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার ধারায় মামলা রুজু করেছে। তবে, শনিবার বিকেল পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি বলেই পুলিশ সূত্রের খবর।
পুলিশ জানিয়েছে, প্রায় ১২ বছর আগে বারাসতের এক বাসিন্দার সঙ্গে বিয়ে হয় উল্টোডাঙার গুরুদাস গার্ডেন লেনের বাসিন্দা নূপুর নন্দীর (৩০)। তদন্তে পুলিশ জেনেছে, শুক্রবার সকালে ওই দম্পতির মধ্যে কোনও কারণে বচসা হয়। তার পরে সে দিনই বারাসত থেকে উল্টোডাঙায় নিজের মায়ের কাছে চলে আসেন নূপুর। এর কিছু ক্ষণ পরে ওই বাড়ির একটি ঘর থেকে উদ্ধার করা হয় তাঁর ঝুলন্ত দেহ। পরিবারের লোকজন তাঁকে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসকেরা নূপুরকে মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশ জানিয়েছে, হাসপাতাল থেকে খবর পেয়ে তারা ওই ঘটনাস্থলে গিয়ে তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করেছে। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে দেহটি ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এর পরেই নূপুরের মা রাণু নন্দী উল্টোডাঙা থানায় জামাইয়ের বিরুদ্ধে তাঁর মেয়েকে অত্যাচার ও আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করেন। যার ভিত্তিতে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে উল্টোডাঙা থানা। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানিয়েছে, কেন ওই মহিলা শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে উল্টোডাঙায় চলে এসেছিলেন, তা জানার চেষ্টা চলছে। সেই সঙ্গে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কী নিয়ে ঝামেলা হয়েছিল, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)