প্রতীকী ছবি।
সন্ধ্যা হলেই বাসের সংখ্যা কমে আসায় যাত্রীদের হয়রানির সমস্যা নতুন নয়। কিন্তু অভিযোগ, যে সমস্ত বাসচালক সন্ধ্যায় বাস নামাচ্ছেন, ফেরার পথে প্রায়ই তাঁদের পুলিশের কড়াকড়িতে নাকাল হতে হচ্ছে। বাসমালিকদের দাবি, শহরের মধ্যে ২০ কিলোমিটারের কাছাকাছি কোনও রুটে এক বার গন্তব্যে পৌঁছে ফিরে আসতে অন্তত ঘণ্টা তিনেক লাগে। রুটের দৈর্ঘ্য বেশি হলে ঘণ্টা চারেকও লেগে যায়। সন্ধ্যার যানজটে ওই সময় আরও বাড়ে।
চালকদের বক্তব্য, ফেরার পথে ৯টা বাজলেই বিভিন্ন ট্র্যাফিক গার্ডের আধিকারিকেরা বাস থামিয়ে জরিমানা করছেন। দু’-একটি ক্ষেত্রে যাত্রীদের নামিয়ে বাস খালি করে দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে। চালক ও বাসকর্মীদের ছবি তুলে অতিমারি আইনে মামলা দায়ের করা ছাড়াও কান ধরে ওঠবস করানোর অভিযোগও উঠেছে। তাই পুলিশি ঝামেলা এড়াতে বাসকর্মীদের অনেকেই এখন বিকেল ৫টার পরে বাস নামাতে চাইছেন না। ফলে যাত্রীদের ভোগান্তি বাড়ছে। উত্তরের তুলনায় দক্ষিণে এই সমস্যা বেশি। উত্তরের বেশির ভাগ রুট লম্বা হওয়ায় চালকেরা বিকেলে বাস প্রায় নামাচ্ছেনই না। দক্ষিণে যে সব বাস-মিনিবাস পথে নামছে, তাদের প্রায়ই নাকাল হতে হচ্ছে বলে অভিযোগ।
‘মিনিবাস অপারেটর্স কোঅর্ডিনেশন কমিটি’র সাধারণ সম্পাদক স্বপন ঘোষ বললেন, ‘‘৯টা পেরোলেই পুলিশ বাস আটকাচ্ছে। জরিমানা ও মামলার নামে আটকে রাখছে। চালকেরা আতঙ্কিত।’’ ‘বাস-মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর সাধারণ সম্পাদক প্রদীপনারায়ণ বসুর কথায়, ‘‘এখানে বেশির ভাগ বাস যেখান থেকে ছাড়ে, সেখানেই ফিরতে হয়। অন্য প্রান্তে বাস রাখার জায়গা নেই। ফলে ট্রিপ সম্পূর্ণ না করলে খুব সমস্যা।’’ ‘‘সিটি সাবার্বান বাস সার্ভিস’-এর সাধারণ সম্পাদক টিটু সাহা বললেন, ‘‘যাত্রীদের কথা ভেবেই রাতের ট্রিপ করছেন বাসকর্মীরা। সেখানে সমস্যা হলে বাস আরও কমে যাবে। ভোগান্তি বাড়বে।’’ সমস্যা মেটাতে বাসমালিক সংগঠন পরিবহণ দফতরের দ্বারস্থ হয়েছে। কিন্তু, সুরাহা হয়নি এখনও। এ নিয়ে পরিবহণ দফতরের আধিকারিকেরা মন্তব্য করতে চাননি। প্রদীপনারায়ণবাবুর দাবি, বিষয়টি নিয়ে পুলিশের কর্তাদের সঙ্গে দেখা করার কথা ভাবছেন তাঁরা। বাসকর্মীরা জানাচ্ছেন, নিয়মের গেরোয় বাস চালিয়ে বাড়ি ফিরতেও সমস্যা হচ্ছে। ফলে বাসেই রাত কাটাতে হচ্ছে অনেককে।
পুলিশ আধিকারিকদের অবশ্য বক্তব্য, তাঁরা সরকারি নির্দেশ পালন করছেন মাত্র। করোনা ঠেকাতে রাত ৯টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত কঠোর ভাবে নিয়ন্ত্রণ-বিধি কার্যকর করার নির্দেশ রয়েছে। পুলিশের এক আধিকারিকের দাবি, ‘‘কড়াকড়ি না থাকলে রাতে এক শ্রেণির মানুষের ঘোরাঘুরিতে রাশ টানা যাবে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy