আলিপুরকে কেন্দ্র করে বিনোদন এবং বিপণনের নতুন একটি গন্তব্য তৈরি করতে চলেছে রাজ্য সরকার। এ ব্যাপারে উদ্যোগী হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী নিজেই। তাঁর নির্দেশের পরে নবান্নের সর্বোচ্চ মহল এই সংক্রান্ত সমীক্ষা ও পরিকল্পনা শুরু করেছে বলে প্রশাসনিক সূত্রের দাবি।
নবান্ন সূত্র জানাচ্ছে, প্রথম কেন্দ্রটি তৈরির পরিকল্পনা হয়েছে চিড়িয়াখানার উল্টো দিকের একটি জমিতে। এখন সেখানে একটি অ্যাকোয়ারিয়াম রয়েছে। কয়েক দিন আগে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে নিয়ে সেখানে গিয়েছিলেন মমতা নিজেই। সেখানকার জমি এবং অবস্থান দেখে একটি বিনোদন কেন্দ্রের পরিকল্পনাও সেরে ফেলেন তিনি। স্থির হয়েছে, সেখানে একটি শপিং মল তৈরি হবে। তাতে থাকবে মাল্টিপ্লেক্সও। অ্যাকোয়ারিয়ামটি যেখানে রয়েছে, সেখানেই সেটিকে রেখে সংস্কার করা হবে। গোটা এই পরিকাঠামোটি বাণিজ্যিক এবং বিনোদনের কাজে ব্যবহার করতে চাইছে সরকার। তাতে আয়ও হবে রাজ্যের। মমতার পদক্ষেপের পরে মুখ্যসচিব ভগবতীপ্রসাদ গোপালিকা-সহ প্রশাসনের শীর্ষ আমলারা সেখানে গিয়ে সমীক্ষার কাজ করেন। মঙ্গলবার নবান্ন থেকে ফেরার সময়ে ফের সেখানে যান মমতা।
এর পাশাপাশি, আলিপুর জেলের পিছনেও একটি বিপণন কেন্দ্র তৈরির কাজ চলছে বলে সরকারি সূত্রের দাবি। সেখানে একটি জমি ছিল আগে থেকেই। সেই জমিতেই চর্মজাত দ্রব্য এবং বাংলার শাড়ির বিপণন কেন্দ্র তৈরির পরিকল্পনা করেছে সরকার।
আধিকারিকদের অনেকেই জানাচ্ছেন, ওই এলাকায় ধনধান্য এবং উত্তীর্ণ প্রেক্ষাগৃহ হয়েছে। সেই সঙ্গে সেখানে বড় আয়তনের আধুনিক পার্কিংয়ের জায়গাও রয়েছে। কলকাতা শহরের এমন প্রাণকেন্দ্রে যাতায়াত রয়েছে উচ্চবিত্ত থেকে সাধারণ মানুষ, সকলেরই। ফলে ওই গোটা তল্লাট বিনোদন এবং বিপণনের কেন্দ্রস্থল হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করছে সরকার।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)