প্যানেল থেকে অযোগ্যদের বাদ দিতে হবে। কোনও ভাবেই পুরো প্যানেল বাতিল করা চলবে না। অযোগ্যদের প্যানেল থেকে বাদ দেওয়ার দাবিতে প্রয়োজনে আরও বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। রবিবার ওয়াই চ্যানেলে ‘যোগ্য শিক্ষক শিক্ষিকা অধিকার মঞ্চ, ২০১৬’-র তরফ থেকে গণ কনভেশনের ডাক দেওয়া হয়। সেখানেই উঠে এল এই সব দাবি। আন্দোলনরত শিক্ষকেরা জানাচ্ছেন, ওই কনভেশনে শহরের একাধিক বিশিষ্টজন এবং বেশ কিছু শিক্ষক সংগঠন উপস্থিত ছিলেন। বিশিষ্টজনদের অধিকাংশের মতে, সরকার পক্ষের গাফিলতি এবং দুর্নীতির কারণেই হাই কোর্ট পুরো প্যানেল বাতিল করেছে। তাই শিক্ষকদের সুপ্রিম কোর্টে যেতে হয়েছে। এ বার সরকার এবং এসএসসি-কে উদ্যোগী হয়ে প্যানেল থেকে অযোগ্যদের বাদ দিতে হবে।
আন্দোলনরত শিক্ষকদের অভিযোগ, সিবিআইয়ের কাছে অযোগ্যদের তালিকা থাকা সত্ত্বেও প্যানেল থেকে অযোগ্যদের বাদ দেওয়া হচ্ছে না। এসএসসি-র আইনজীবীরা সুপ্রিম কোর্টে সব তথ্য সঠিক ভাবে তুলে ধরছেন না। মেহবুব মণ্ডল নামে এক শিক্ষক বলেন, ‘‘আগামী ১৫ জানুয়ারি আবার সুপ্রিম কোর্টে শুনানি আছে। তার আগে আমরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে বসে আমাদের দাবির কথা জানাতে চাই। ১৫ তারিখে সুপ্রিম কোর্টের রায় যদি আমাদের বিপক্ষে যায়, তা হলে আমাদের যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকা অধিকার মঞ্চের তরফ থেকে আন্দোলনের ঝড় উঠবে। তখন কিন্তু আর অবস্থান বিক্ষোভ করে আন্দোলন চলবে না।’’
হুমায়ুন ফিরোজ মণ্ডল নামে আর এক শিক্ষক জানান, ২৭ ডিসেম্বর থেকে ওয়াই চ্যানেলে তাঁদের অবস্থান শুরু হয়েছে। বহু শিক্ষক সকালে স্কুল করে বিকেলে এই বিক্ষোভ মঞ্চে এসে বসছেন। কেউ কিন্তু তাঁদের কর্তব্যে অবহেলা করছেন না। হুমায়ুনের প্রশ্ন, ‘‘ছ’-সাত বছর চাকরি করার পরে আমাদের এই পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হবে কেন? শিক্ষা দফতরের গাফিলতি, দুর্নীতির জন্যই আমাদের চাকরি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)