Advertisement
E-Paper

ভাগাড়ের ‘দৃষ্টিনন্দন’ কি যথেষ্ট, উঠছে প্রশ্ন

প্রমোদনগরের ভাগাড়ের এই দৃশ্যদূষণ নিয়ে মানুষ দীর্ঘ দিন সরব। এ বার তা ঠেকাতেই পদক্ষেপ করল রাজ্য প্রশাসন। ভাগাড়ের চারদিক গ্যালভানাইজড আয়রন শিট দিয়ে ঘেরা হচ্ছে। শুরু হয়েছে সৌন্দর্যায়নের কাজ। এর পোশাকি নাম দৃষ্টিনন্দন।

কাজল গুপ্ত

শেষ আপডেট: ০১ জুলাই ২০১৭ ০১:৪৩
রুদ্ধ: ছড়িয়ে থাকা দুধের প্যাকেটে বুজে গিয়েছে নিকাশি নালা। ফলে ভারী বৃষ্টি হলেই জল জমে এমন দশা হয় বেলগাছিয়ার মিল্ক কলোনির সেন্ট্রাল ডেয়ারির প্রবেশপথের। অভিযোগ, তা নামে না সহজে। নিজস্ব চিত্র

রুদ্ধ: ছড়িয়ে থাকা দুধের প্যাকেটে বুজে গিয়েছে নিকাশি নালা। ফলে ভারী বৃষ্টি হলেই জল জমে এমন দশা হয় বেলগাছিয়ার মিল্ক কলোনির সেন্ট্রাল ডেয়ারির প্রবেশপথের। অভিযোগ, তা নামে না সহজে। নিজস্ব চিত্র

বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে ধরে যাতায়াত করলে চোখে পড়ত আবর্জনার পাহাড়। প্রমোদনগরের ভাগাড়ের এই দৃশ্যদূষণ নিয়ে মানুষ দীর্ঘ দিন সরব। এ বার তা ঠেকাতেই পদক্ষেপ করল রাজ্য প্রশাসন। ভাগাড়ের চারদিক গ্যালভানাইজড আয়রন শিট দিয়ে ঘেরা হচ্ছে। শুরু হয়েছে সৌন্দর্যায়নের কাজ। এর পোশাকি নাম দৃষ্টিনন্দন।

কিন্তু তাতে কতটা কাজের কাজ হবে, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠছে। পাশাপাশি ভাগাড়কে ঘিরে যে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ রয়েছে তা বদলাতে কী ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন, প্রশ্ন মানুষের। কেএমডিএ সূত্রের খবর, কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে ৫০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।

মূলত প্রমোদনগরের এই ভাগাড়ে উত্তর দমদম, দমদম, দক্ষিণ দমদম এবং বরাহনগর পুর এলাকার আবর্জনা জড়ো হয়। কয়েক বছরে বসতির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে আবর্জনা। ফলে স্থান সঙ্কুলানের কারণে ভাগাড়েও বেড়েছে আবর্জনার পাহাড়।

দক্ষিণ দমদম পুরসভার এক কর্তা জানান, নয়া প্রকল্পে পচনশীল এবং পচনশীল নয় এমন পদার্থের জন্য আলাদা আলাদা বিন ব্যবহার করা হবে। প্রতি বাড়ি থেকে পৃথক বিনে দু’ভাগে ওই আবর্জনা সংগ্রহ করা হবে। পচনশীল বর্জ্য থেকে জৈব সার, বায়ো গ্যাস তৈরি হবে। পাশাপাশি অজৈব বর্জ্য কম্প্যাক্টর যন্ত্রে চূর্ণ করা হবে। ভাগাড়ে গাছ বসিয়ে সৌন্দর্যায়নের পরিকল্পনাও রয়েছে। উত্তরপাড়া পুরসভাকে মডেল করেই রাজ্য প্রশাসন দমদম থেকে বরাহনগরে এমন পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করতে চাইছে।

তবে জনবসতি বৃদ্ধির কথা মাথায় রেখে পুরসভাগুলির পরিকাঠামোগত সংস্কার প্রয়োজন বলে মনে করছেন ওই চার পুরসভার কর্তৃপক্ষ। দক্ষিণ দমদম পুরসভার চেয়ারম্যান পারিষদ (জনস্বাস্থ্য) দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আধুনিক গাড়ি এবং কর্মীসংখ্যা বৃদ্ধি করে পরিকাঠামো বাড়ানো প্রয়োজন। কিন্তু টাকার সমস্যা তো রয়েই যাচ্ছে। আর কি ভাবে পরিকাঠামো বাড়ানো যায় তা নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে।’’
যদিও বরানগরের চেয়ারম্যান পারিষদ (বর্জ্য অপসারণ) দিলীপনারায়ণ বসু বলেন, ‘‘এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে বদলে যাবে বরানগর থেকে দমদমের ছবিটাই। রাজ্য প্রশাসন থেকে বর্জ্য অপসারণের পরিকাঠামো উন্নত করার প্রয়োজনীয় অর্থ সাহায্যের আশ্বাস মিলেছে। আশা করছি সেই সহায়তা পাওয়া যাবে।’’

Beautification Supervision Promod Nagar
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy