প্রতি বছরই এক জট। আর সেই জটেই পিছিয়ে যায় ময়দানে বাজি বাজার শুরু হওয়ার দিন। এ বছরেও তার ব্যতিক্রম হল না। সূত্রের খবর, সেনাবাহিনীর দফতরে সময় মতো ময়দান ভাড়ার টাকা জমা না দেওয়ায় এ বছরেও পিছিয়ে গেল বাজি বাজার শুরুর দিন।
কালীপুজোর আগে প্রতি বছর ময়দানের শহিদ মিনার লাগোয়া এলাকায় অস্থায়ী বাজারে বাজি বিক্রি করেন শহরের বাজি বিক্রেতাদের একাংশ। এ জন্য প্রতিরক্ষা দফতরের অফিসে বাজি বাজারের উদ্যোক্তাদের ভাড়া বাবদ টাকা জমা দিতে হয়।
অভিযোগ, ফি বছর সেই টাকা জমা দিতে উদ্যোক্তাদের দেরি হয়। বৃহস্পতিবার সকালে ময়দানে গিয়ে দেখা গেল স্টল বানানোর কাজ বন্ধ। বাইরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে ত্রিপল-বাঁশ-কাঠ।
কারণ জিজ্ঞাসা করতেই মাঠে কর্মরত এক শ্রমিক বলেন, “বুধবার কয়েক জন মিলিটারি এসে মাপজোক করেন। তাঁরাই কাজ বন্ধ রাখতে বলেন। বাবুরা সামনের মিলিটারি অফিসে টাকা জমা দিলে ফের কাজ শুরু হবে। প্রতি বারই এমন হয়।”
সেনাবাহিনী সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতি বছর ময়দানের ভাড়া হিসেবে সামান্য কিছু টাকা বাড়ানো হয়। তা নিয়ে বাজি বাজারের উদ্যোক্তাদের সঙ্গে আলোচনাও করা হয়। সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় মুখপাত্র গ্রুপ ক্যাপ্টেন তরুণকুমার সিঙ্ঘা বলেন, “শুক্রবার বৈঠক আছে। প্রত্যেক বারই আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা হয়। এ বারেও তাই হবে। কোনও সমস্যা নেই।”
এ বার বাজি বাজারে মোট ৬০টি স্টল রয়েছে। তবে এই সব স্টলে কবে থেকে বাজি বিক্রি হবে তা বৃহস্পতিবারেও জানাতে পারেননি কলকাতা পুলিশের কর্তারা। লালবাজারের এক কর্তা বলেন, “শুক্রবার বাজি বাজার নিয়ে আমাদের বৈঠক আছে। সেই বৈঠকে আলোচনা হবে।” বড়বাজার ফায়ার ওয়ার্কস ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক চিত্তরঞ্জন মাইতির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “এখন সেনার অফিসে কাজে ব্যস্ত আছি। কোনও কথা বলতে পারব না।”