পুরভোটের দিন গিরিশ পার্কে সাব-ইনস্পেক্টরের গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় আরও তিন যুবককে গ্রেফতার করল লালবাজার। পুলিশ জানিয়েছে, প্রথমে শনিবার দুপুরে মধ্য কলকাতার মেছুয়া এলাকা থেকে পাকড়াও করা হয় দুই যুবককে। তাদের নাম মহম্মদ কামাল এবং কলিম খান ওরফে চিনা। সন্ধের দিকে এসপ্ল্যানেড বাস গুমটি থেকে ধরা হয় তারক কোটাল ওরফে বাবলি নামে আরও এক জনকে। পুলিশের দাবি, কলকাতায় ভোটের দিন পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমা মেরেছিল বাবলি। সে মূল অভিযুক্ত গোপাল তিওয়ারির অন্যতম ঘনিষ্ঠ। সে দিন পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় কামাল ও চিনাও জড়িত ছিল বলে অভিযোগ।
গত ১৮ এপ্রিল বিকেলে গিরিশ পার্ক এলাকার সিংহিবাগানে হাঙ্গামা থামাতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হন জগন্নাথ মণ্ডল নামে কলকাতা পুলিশের এক সাব-ইনস্পেক্টর। সেই ঘটনার ঘণ্টা খানেকের মধ্যেই গিরিশ পার্কে শাসক দলের একটি অফিস থেকে অশোক শাহ ও দীপক সিংহ নামে দুই তৃণমূলকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। তার পরের দিন ধরা পড়ে এই ঘটনার মূল চক্রী গোপাল তিওয়ারির ঘনিষ্ঠ চার দুষ্কৃতী। তার পর বৃহস্পতিবার রাতে বীরভূমের নলহাটির বরাগ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয় গোপাল ঘনিষ্ঠ আর এক দুষ্কৃতী সমীর দাস ওরফে ছোট্টুকে। এ দিন আরও তিন জনের গ্রেফতারের পর এই ঘটনায় মোট ধৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১০।
পুলিশ সূত্রের খবর, মেছুয়ার বাসিন্দা কামাল ও চিনা এলাকায় তৃণমূল কর্মী বলে পরিচিত। এ দিন ফের একটি ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। তাতে জোড়াসাঁকোর তৃণমূল বিধায়ক স্মিতা বক্সীর পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে কামাল ও চিনাকে। এই দু’জনের সঙ্গে গিরিশ পার্ক কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত রাজা শর্মারও যোগাযোগ রয়েছে বলে লালবাজার সূত্রের খবর। এ দিন ওই ছবি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে স্মিতাদেবী বলেন, ‘‘জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমাকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যেতে হয়। সেই সময় অনেকেই ছবি তোলে। আমার সঙ্গে ছবি থাকলেই তাকে আমি চিনব এমন তো হতে পারে না।’’ প্রসঙ্গত, এর আগে এই ঘটনার মূল চক্রী গোপাল তিওয়ারির সঙ্গেও রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা ও মধ্য কলকাতার তৃণমূল নেতা সঞ্জয় বক্সীর (স্মিতাদেবীর স্বামী) ছবি প্রকাশ্যে এসেছিল। তখনও শশীদেবী ও সঞ্জয়বাবু কার্যত একই কারণ দেখিয়ে গোপালকে চেনেন না বলে দাবি করেছিলেন।