বন্যপ্রাণীর দেহাংশ উদ্ধারের ঘটনায় তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রতীকী ছবি।
এক জ্যোতিষী এবং তাঁর ঘনিষ্ঠের বাড়িতে হানা দিয়ে বন্যপ্রাণীর দেহাংশ উদ্ধার করল বন দফতর। এই ঘটনায় তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বন দফতর জানিয়েছে, ধৃতদের নাম রাখাল চৌধুরী, অরিজিৎ গুপ্ত এবং দুলাল অধিকারী। ওই বাড়ি থেকে মানুষের কয়েকটি করোটিও উদ্ধার হয়েছে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। তবে এই ঘটনায় সৌরভ চৌধুরী নামে আর এক অভিযুক্ত পলাতক।
জানা গিয়েছে, দমদমের প্রাইভেট রোডের আমবাগানে বাড়ি সৌরভদের। ওই পরিবারটি প্রায় ৪০ বছর ধরে সেখানে বাস করছে। তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, প্রতিবেশীদের সঙ্গে চৌধুরী পরিবারের তেমন ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল না।
বন দফতরের খবর, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বুধবার রাতে ওই বাড়িতে হানা দেন উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুর এবং বারাসত রেঞ্জের অফিসারেরা। যান জেলা বন আধিকারিক (ডিএফও) রাজু সরকার। উপস্থিত ছিল নাগেরবাজার থানার পুলিশও। বাড়ির একটি ঘরে তল্লাশি চালিয়ে বন্যপ্রাণীর দেহাংশ মিলেছে। পরে দুলালের বাড়িতেও তল্লাশি হয়। ডিএফও জানান, হরিণের করোটি এবং শিং, চামড়া, সজারুর কাঁটা, বাঘের নখ মিলেছে। বাঘের নখটি রাখাল গলায় পরে থাকতেন। যে ঘর থেকে ওই জিনিসগুলি মিলেছে, সেখানে তন্ত্রসাধনা হত বলে মনে করছেন বন দফতরের অফিসারেরা। মানুষের করোটিগুলি উদ্ধারের পরে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। সেগুলি আদতে মানুষের, না কি নকল, তা পরীক্ষা করে দেখা হবে।
সৌরভের মা সংবাদমাধ্যমের কাছে স্বীকার করেছেন, ওই জিনিসগুলি তন্ত্র সাধনায় ব্যবহৃত হত। তাঁর পুত্রবধূও তন্ত্র সাধনা করেন। পাচারের উদ্দেশ্যে ওই দেহাংশ আনা হয়নি বলেও জানান ওই মহিলা। তাঁর আরও দাবি, স্বামীর সঙ্গে ‘গোলমালের’ জেরে পুত্রবধূ বন দফতরে খবর দিয়েছেন। যদিও বন দফতর এমন সত্যতা স্বীকার করতে চায়নি। বরং ‘গোপন সূত্রের’ যুক্তি দেখিয়ে অভিযোগকারীর ব্যাপারে মুখে কুলুপ এঁটেছে তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy