E-Paper

নরেন্দ্রপুরে মায়ের পরে মৃত্যু বাবা ও মেয়েরও

কিছু ক্ষণের মধ্যেই মত্যু হয় প্রৌঢ়া জলি রায়ের (৫৫)। তাঁর স্বামী দীপক রায় (৬৩) ও মেয়ে দিশানী রায় (২৪) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। রাতে মারা যান তাঁরাও।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৭:১৪
ঘটনাস্থল থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করে পুলিশ।

ঘটনাস্থল থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করে পুলিশ। —প্রতীকী চিত্র।

প্রৌঢ়ার পরে মৃত্যু হল তাঁর স্বামী ও মেয়েরও। নরেন্দ্রপুর থানার অন্তর্গত রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের লস্করপুরে বৃহস্পতিবার সকালে ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন একই পরিবারের তিন জন। কিছু ক্ষণের মধ্যেই মত্যু হয় প্রৌঢ়া জলি রায়ের (৫৫)। তাঁর স্বামী দীপক রায় (৬৩) ও মেয়ে দিশানী রায় (২৪) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। রাতে মারা যান তাঁরাও।

লস্করপুরে বাবার বাড়িতেই স্বামী ও মেয়েকে নিয়ে থাকতেন জলি। তাঁর বাবা মারা গিয়েছেন। বাড়ির অন্য অংশে থাকতেন জলির মা মলিনা। স্থানীয় সূত্রের খবর,আর্থিক অনটনে ছিল পরিবারটি। বাড়িতে একটি দোকান করেছিলেন দীপক। কিন্তু পরে সেই দোকান বন্ধ করে দেন। জলি এবং দীপক অসুস্থও ছিলেন। দিশানী কখনও শপিং মলে, কখনও ব্যাঙ্কে কাজ করে সংসার চালাতেন।

বৃহস্পতিবার সকালে তিন জনেই ঘুমের ওষুধ খান। ওই দিন বাড়িতে আসার কথা ছিল জলির বোন ডলির। তিনি এলে দিশানী দরজা খোলেন। তাঁকে দেখে অসুস্থ বলে মনে হয় ডলির। জিজ্ঞাসা করায় দিশানী জানান, তাঁরা তিন জন ঘুমের ওষুধ খেয়েছেন। ডলিই পাড়ার যুবকদের ডেকে তিন জনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেন। সেখানে জলিকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।

ঘটনাস্থল থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করে পুলিশ। তাতে আর্থিক প্রতারণার জেরে মানসিক ভাবে বিধ্বস্ত হয়ে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে লেখা ছিল। জলি ও দীপক এ-ও লিখেছিলেন, এক যুবক তাঁদের সঙ্গে প্রতারণা করেছিলেন।

ওই যুবক এলাকারই বাসিন্দা বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। তাঁর জমি-বাড়ি দালালির ব্যবসা ছিল। তবে, বর্তমানে তিনি দুর্ঘটনায় জখম হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলে স্থানীয় সূত্রের খবর। কী ভাবে তিনি ওই পরিবারটির সঙ্গে প্রতারণা করেন, কত টাকার প্রতারণা হয়েছিল— সে সব খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পাশাপাশি, এই ঘটনার পিছনে আর কোনও কারণ রয়েছে কিনা, তা-ও দেখা হচ্ছে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Death Suicide Suicide Attempt

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy