শহরে তিনটি ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। শনিবার এক তরুণীর দেহ পুলিশ উদ্ধার করেছে রিজেন্ট পার্ক থানা এলাকার এম এন সেন লেন থেকে। মৃতার নাম দীপা মল্লিক (৩২)। তিনি টলিউডে হেয়ার ড্রেসারের কাজ করতেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দীপাদেবীর বেলেঘাটা এবং টালিগঞ্জে দু’টি বাড়ি রয়েছে। শুক্রবার রাতে বেলেঘাটার বাড়ি থেকে টালিগঞ্জে নিজের আর একটি বাড়িতে এসেছিলেন দীপাদেবী। শনিবার সকালে রোজকার মতোই কাজে বেরিয়েছিলেন তিনি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ তাঁর বান্ধবী সীমা ঘোষকে দীপাদেবী ফোন করে বলেন যে, তিনি আর বাঁচতে চান না। সীমাদেবীকে তাঁর টালিগঞ্জের বাড়িতে আসতেও বলেন তিনি।
দীপাদেবীর ফোন পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে টালিগঞ্জের ওই বাড়িতে আসেন সীমাদেবী। বারবার ডেকেও প্রথমে তাঁর সাড়া মেলেনি। তার পরে দরজা ভেঙে দেখা যায়, সিলিং ফ্যানের সঙ্গে শাড়ির ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছেন দীপাদেবী। স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা দীপাদেবীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। সেখানে এসেছিলেন পূর্তমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।
প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের অনুমান, আত্মহত্যাই করেছেন দীপাদেবী। তবে সীমাদেবীকে জিজ্ঞাসাবাদে বেশ কিছু অসঙ্গতিও মিলেছে। ঠিক কী কারণে এই আত্মহত্যা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
অন্য দিকে, শুক্রবার রাতে পাটুলি থেকে স্বপন নস্কর (৩৬) নামে আর এক ব্যক্তির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, মামার বাড়িতেই থাকতেন স্বপনবাবু। শুক্রবার রাতে খাবারের জন্য তাঁকে অনেক ডাকাডাকি করা হয়। তবুও তাঁর সাড়া না মেলায় স্বপনবাবুর পরিজনেরা তাঁর ঘরে যান। সেখানেই তাঁরা সিলিং ফ্যানের সঙ্গে স্বপনবাবুর ঝু়লন্ত দেহ দেখতে পান। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, স্বপনবাবুর মা-বাবা নেই। এ ছাড়াও, সম্প্রতি তিনি মানসিক অবসাদেও ভুগছিলেন।
বৃহস্পতিবারও এক যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম সৌমেন মিত্র (২০)। ওই দিন বিকেলে আনন্দপুরের নেতাজি নগর কলোনির একটি বাড়ি থেকে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, ভিআইপি নগরে এক তরুণীর সঙ্গে সৌমেনের দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ছিল। সম্প্রতি সেই তরুণী তাঁকে প্রত্যাখ্যান করেন। তার পরেই সৌমেন আত্মহত্যা করার সিদ্ধান্ত নেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। এই ঘটনার জেরে শুক্রবার রাতে সৌমেনের প্রতিবেশীরা ভিআইপি নগরে ওই তরুণীর বাড়িতে গিয়ে ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ। রাতেই পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy