Advertisement
E-Paper

তৃণমূল বনাম তৃণমূল! উত্তর কলকাতায় মহিলা কাউন্সিলরের হাতে মার খেলেন দলেরই যুবনেতা

কাউন্সিলরের অভিযোগ, ওই এলাকায় পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মীদের মারধর করেছিলেন কেদার ও তাঁর অনুগামীরা। তাই ঘটনার কথা জানতে পেরেই সুনন্দা সেখানে যান। তার পর উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় শুরু হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ জুলাই ২০২৪ ১৫:৩৫
TMC Councilor Sunanda Sarkar has been accused of slapping youth leader in Kolkata over tolabaji allegation

(বাঁ দিকে) ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সুনন্দা সরকার। ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন যুব সংগঠনের সভাপতি কেদার দাস। (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।

উত্তর কলকাতায় আবারও কোন্দল তৃণমূলের অন্দরে। অভিযোগ, ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সুনন্দা সরকারের হাতে মার খেলেন ওই ওয়ার্ডের প্রাক্তন যুব সংগঠনের সভাপতি কেদার দাস। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, কথা কাটাকাটি হতে হতেই সুনন্দা কেদারকে থাপ্পড় মারেন। যদিও সুনন্দা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

শ্যামপুকুর বিধানসভা এলাকায় কেদার পরিচিত বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজার অনুগামী হিসাবে। তৃণমূলেরই একটি অংশের বক্তব্য, শশীর সঙ্গে সুনন্দা ও তাঁর স্বামী বাবু সরকারের সুসম্পর্ক নেই। তাই ওই অংশের মতে, প্রকাশ্যে কেদারের সঙ্গে কাউন্সিলরের বিবাদ হলেও আসলে এর নেপথ্যে রয়েছে বিধায়কের সঙ্গে কাউন্সিলরের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব।

মঙ্গলবার দুপুরে শোভাবাজারের ঢুলিপাড়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সামনে বচসা শুরু হয় কাউন্সিলর ও যুবনেতার মধ্যে। কথা চলতে চলতেই অচমকাই সুনন্দা কেদারের গালে থাপ্পড় মারেন বলে অভিযোগ। কাউন্সিলরের অভিযোগ, ওই এলাকায় পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মীদের মারধর করেছিলেন কেদার ও তাঁর অনুগামীরা। তাই ঘটনার কথা জানতে পেরেই সুনন্দা সেখানে যান। তার পর উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় শুরু হয়। সে সময়ই সুনন্দাকে কেদারের দিকে ছুটে যেতে দেখা যায় একটি ভিডিয়োয় (যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা স্বীকার করেনি আনন্দবাজার অনলাইন)

সুনন্দার পাল্টা দাবি, কখনওই কেদারকে থাপ্পড় মারা হয়নি। কিন্তু কেদারের অভিযোগ, ‘‘কাউন্সিলর এলাকায় বেআইনি নির্মাণ থেকে শুরু করে জুয়া-সাট্টার ব্যবসায় সরাসরি মদত দিচ্ছেন। অর্থ উপার্জনের জন্য এলাকাকে দূষিত করে তুলেছেন তাঁর স্বামী ও তিনি। তাই তাঁর সেই সব অনৈতিক কাজের প্রতিবাদ জানানোয় আমাকে মারা হয়েছে।’’

সুনন্দার পাল্টা অভিযোগ, ‘‘কেদার আসলে একজন সমাজবিরোধী। পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মীদের মারধর করছিল। তা জানতে পেরেই ওখানে যাই। কেদারের হাতে লাঠি ও ইট ছিল। আমি সেগুলো কেড়ে নিতে যাই। সেই কেড়ে নেওয়ার দৃশ্যকেই ওরা থাপ্পড় মারা হিসাবে তুলে ধরছে।’’ তাঁর আরও অভিযোগ, ‘‘এলাকায় তোলাবাজি থেকে শুরু করে সব রকম অপকর্মের সঙ্গে যুক্ত কেদার। ওর অনৈতিক কাজকে সমর্থন করি না। তাই প্রতিবাদ করেছি।’’ ঘটনার প্রতিবাদে বড়তলা থানা ঘেরাও করেন কেদার অনুগামীরা। কাউন্সিলরও ঘটনা নিয়ে পুলিশ প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন বলেই খবর।

TMC TMC Councilor North Kolkata
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy