Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

যানজট কমাতে পাঁচিল ভাঙা হবে বিমানবন্দরে

এক পুলিশকর্তা জানান, যশোর রোডে ঢোকা ও বেরোনো— দুই ধরনের গাড়ির জন্যই এত দিন একটি গেট ব্যবহার করা হচ্ছিল। এর ফলে এক দিকের গাড়ি যখন ছাড়া হচ্ছিল, তখন অন্য দিকের গাড়িকে অপেক্ষা করতে হচ্ছিল।

সুনন্দ ঘোষ
শেষ আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭ ০০:৪৬
Share: Save:

গাড়ির যাতায়াত মসৃণ করতে ভেঙে ফেলা হচ্ছে কলকাতা বিমানবন্দরের পাঁচিলের একাংশ।

সম্প্রতি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ এবং বিধাননগর পুলিশের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। ওই পাঁচিল বিমানবন্দরের টার্মিনাল বিল্ডিং থেকে অনেকটা দূরে। সেটি ভেঙে ফেললে বিমানবন্দরের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা হবে না বলেই জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তারা।

পুলিশ সূত্রের খবর, বিমানবন্দরের আড়াই নম্বর গেটটি সকাল থেকে রাত পর্যন্ত খোলা থাকে। ভিআইপি রোডের দিক থেকে যে সমস্ত গাড়ি বিরাটি-মধ্যমগ্রামের দিকে যায়, সেগুলি এখন এক নম্বর গেটের আগেই ডান দিকে বিমানবন্দরের রাস্তায় ঢুকে পড়ে। ওই রাস্তা ধরে বিমানবন্দরের প্রশাসনিক ভবনের পাশ দিয়ে গিয়ে আড়াই নম্বর গেট থেকে বেরিয়ে যশোর রোডে গিয়ে পড়ে।

পুলিশের এক কর্তা জানিয়েছেন, এক নম্বরে গাড়ির চাপ কমাতেই এ ভাবে বিমানবন্দরের ভিতরে গাড়ি ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। একই ভাবে যে সব গাড়ি বিরাটির দিক থেকে এসে উল্টোডাঙার দিকে যায়, সেগুলি এক নম্বরের আগে ওই আড়াই নম্বর গেট দিয়ে বিমানবন্দরের চৌহদ্দির মধ্যে ঢুকে প্রশাসনিক ভবনের পাশ দিয়ে ভিআইপি রোডে পড়ে।

এক পুলিশকর্তা জানান, যশোর রোডে ঢোকা ও বেরোনো— দুই ধরনের গাড়ির জন্যই এত দিন একটি গেট ব্যবহার করা হচ্ছিল। এর ফলে এক দিকের গাড়ি যখন ছাড়া হচ্ছিল, তখন অন্য দিকের গাড়িকে অপেক্ষা করতে হচ্ছিল। এ বার ঠিক হয়েছে, ওই গেটের পাশে পাঁচিল ভেঙে আরও একটি রাস্তা বার করা হবে। বিরাটির দিক থেকে আসা গাড়ি নতুন এই রাস্তা দিয়ে বিমানবন্দরের রাস্তায় উঠে আসবে। আর ভিআইপি রোড থেকে যাওয়া গাড়ি আগের গেট ব্যবহার করবে। এর ফলে একই সঙ্গে দু’দিকের গাড়ি অবাধে যাতায়াত করতে পারবে।

এক পুলিশ অফিসারের কথায়, ‘‘উড়ালপুল হয়ে যাওয়ার পরে বাগুইআটি, কেষ্টপুরে এখন আর যানজট হয় না। উল্টোডাঙার দিক থেকে গাড়ি চট করে পৌঁছে যায় বিমানবন্দর পর্যন্ত। একই ভাবে রাজারহাটের দিক থেকেও গাড়ি কোনও যানজটে না পড়েই চলে যায় বিমানবন্দরের কাছে। অন্য দিকে, যশোর রোড চওড়া হয়ে যাওয়ায় বারাসতের দিক থেকেও গাড়ি এক নম্বরে পৌঁছতে বেশি সময় নিচ্ছে না। এর ফলে এক নম্বর গেটের কাছে প্রবল যানজট তৈরি হচ্ছে। এক-এক সময়ে প্রায় এক ঘণ্টারও বেশি অপেক্ষা করতে হচ্ছে গাড়িগুলিকে।’’

পুলিশ জানিয়েছে, ভিআইপি রোড ও যশোর রোডের গাড়ি একই সঙ্গে যাতায়াত করলে অসুবিধা হবে সেই সব গাড়ির, যেগুলি বিরাটির দিক থেকে এক নম্বর হয়ে নাগেরবাজারের দিকে যায়। নাগেরবাজারের দিক থেকে যে সব গাড়ি বিরাটির দিকে যায়, তাদেরও অপেক্ষা করতে হবে। প্রাথমিক সমীক্ষা বলছে, যশোর রোড দিয়ে প্রতিদিন যত গাড়ি যাতায়াত করে, তার ৭০ শতাংশই ভিআইপি রোডমুখী। ফলে, সমস্যা হলে ৩০ শতাংশ গাড়ির হতে পারে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Traffic Jam Kolkata
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE